ন্যাশনাল ডেস্ক :: বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলের পক্ষে পৌর নির্বাচনের প্রচারণায় এখন থেকে জোটের নেতারা অংশ নিবেন বলে জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। শনিবার বেলা ১১টার দিকে রাজধানীর গুলশানে খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক কার্যালয়ে ২০ দলীয় জোটের মহাসচিবদের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি। বৈঠক শেষে মির্জা ফখরুল সাংবাদিকদের জানান, পৌর নির্বাচনে ২০ দল জোটগতভাবে প্রচার-প্রচারণা চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বৈঠকে। তবে বৈঠকে জামায়াতের কোনো প্রতিনিধি উপস্থিত হননি।
এদিকে জামায়াতের প্রার্থীদের পক্ষে জোট নেতারা প্রচারণা চালাবেন কি-না, এ প্রশ্নের জবাব এড়িয়ে গিয়ে ফখরুল বলেন, স্থানীয়ভাবে কিছু কিছু বিষয়ে সমস্যা আছে। সেগুলোর সমাধান স্থানীয়ভাবেই করা হবে। ইতোমধ্যে রংপুর-দিনাজপুরে ঐক্যবদ্ধভাবে ২০ দলীয় জোট প্রচারণা শুরু করেছে। তিনি আরো বলেন, গণতন্ত্র আজ সবচেয়ে বিপদগ্রস্ত। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য আমরা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছি। এটি গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনেরই অংশ। নির্বাচন কমিশন সম্পর্কে ফখরুল বলেন, অতীতের কর্মকাণ্ডে তাদের ওপর আস্থা রাখা কঠিন।
এখনও নির্বাচন কমিশন অযোগ্যতার প্রমাণ দিচ্ছে। সরকারি দলের মন্ত্রী-এমপিরা তাদের প্রার্থীদের পক্ষে প্রচারণা চালাচ্ছেন। যদি ভোট দেওয়ার পরিবেশ থাকে, সরকার হস্তক্ষেপ না করে এবং সাধারণ ভোটাররা ভোট দিতে পারেন, তাহলে পৌর নির্বাচনে গণতন্ত্রের বিজয় হবে। নির্বাচন কমিশনকে তাদের ব্যর্থতা ঢাকতে অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন করার আহবানও জানিয়ে তিনি বলেন, নেতাকর্মীদের গ্রেফতার এবং সরকারি দলের মন্ত্রী-এমপিদের প্রচারণা বন্ধের দাবিতে দু’একদিনের মধ্যেই বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোটের একটি প্রতিনিধিদল নির্বাচন কমিশনে যাবে।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টির (জাফর) মহাসচিব মোস্তফা জামাল হায়দার, এলডিপির মহাসচিব ডা. রেদওয়ান আহমেদ, খেলাফত মজলিসের মহাসচিব আহমেদ আবদুল কাদের, জাগপার মহাসচিব খোন্দকার লুৎফার রহমান, ন্যাপের মহাসচিব গোলাম মোস্তফা, মুসলিম লীগের মহাসচিব সেখ জুলফিকার বুলবুল, বিএলের মহাসচিব খোকন চন্দ্র দাস, কল্যাণ পার্টির মহাসচিব আমিনুর রহমান, সাম্যবাদী দলের মহাসচিব সাইদ আহমেদ, লেবার পার্টির মহাসচিব হামদুল্লাহ আল মেহেদি প্রমুখ।