ব্ল্যাটার-প্লাতিনি ৮ বছরের জন্য নিষিদ্ধ

0

স্পোর্টস ডেস্ক :: এবার ফিফার প্রেসিডেন্ট সেপ ব্ল্যাটার ও উয়েফার প্রধান মিশেল প্লাতিনিকে বড় সময়ের জন্য নিষিদ্ধ করা হলো। ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা ফিফার নৈতিকতা কমিটি তাদের আট বছরের জন্য নিষিদ্ধ করেছে। তদন্তে দোষী প্রমাণিত হয়েছেন দুজনই। আর ফুটবল বিশ্বের সর্বোচ্চ ক্ষমতাধর এই মানুষ দুটি আগামী আট বছরের মধ্যে ফুটবল সংশ্লিষ্ট কোনো কর্মকাণ্ডে নিজেদের জড়াতে পারবেন না। কমিটি জানিয়েছে, প্লাতিনিকে ২০১১ সালে প্রায় ২০ লাখ ডলার দেয়া হয়েছিল। এটা অনৈতিক অর্থ প্রদান হিসেবে প্রমাণিত হয়েছে।

সুইজারল্যান্ডের ব্ল্যাটার ও ফ্রান্সের প্লাতিনি তাদের বিরুদ্ধে তোলা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। কিন্তু ফিফার নৈতিকতা কমিটি তাদের নিষিদ্ধ করার ঘোষণার সাথে সাথেই এটি প্রয়োগের ঘোষণা দিয়েছে। এর আগে এই দুজনকে ৯০ দিনের জন্য সাময়ীক বরখাস্ত করা হয়েছিল। ব্ল্যাটারকে ৫০ হাজার সুইস ফ্রা ও প্লাতিনিকে ৮০ হাজার সুইস ফ্রা জরিমানাও করা হয়েছে।

১৯৯৮ সাল থেকে ব্ল্যাটার ফিফার প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করে আসছেন। এখন তার বয়স ৭৯। তিনি অবশ্য আগেই দায়িত্ব ছাড়ার কথা বলেছিলেন। ৬০ বছরের প্লাতিনি ফিফার পরবর্তী প্রেসিডেন্ট পদের জন্য এগিয়ে ছিলেন। ব্ল্যাটারের জায়গা নেবেন তিনি, এটাই ভাবা হচ্ছিল। তিনি সফল খেলোয়াড় ছিলেন। তিনবার জিতেছিলেন ইউরোপের বর্ষসেরা ফুটবলারের পুরস্কার। ফ্রান্সের সাবেক অধিনায়ক ছিলেন। ২০০৭ সাল থেকে ইউরোপিয়ান ফুটবল সংস্থা উয়েফার প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন তিনি।

বলা হচ্ছে প্লাতিনিকে দেয়া ২ মিলিয়ন ডলারের পেমেন্ট অনৈতিক ছিল। ব্ল্যাটার ও প্লাতিনির পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, ১৯৯৮ সালে সম্পাদিত একটি চুক্তির কারণেই একটি কাজের সম্মানে টাকাটা দেয়া হয়েছিল। ১৯৯৮ থেকে ২০০২ সাল পর্যন্ত প্লাতিনি ব্ল্যাটারের টেকনিক্যাল অ্যাডভাইজার হিসেবে কাজ করেছেন। এটা কোনো লিখিত চুক্তির ওপর ভর করে দেয়া হয়নি। দুই পক্ষই বলেছে চুক্তিটি ছিল মৌখিক। সুইস আইনে এটা বৈধ। কিন্তু ফিফার নৈতিকতা কমিটির কাছে তা বৈধতা পেল না।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.