চট্রগ্রাম অফিস :: নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জামায়াতুল মোজাহিদিন বাংলাদেশের (জেএমবি) তিন সদস্যকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচদিনের রিমাণ্ডে পেয়েছে পুলিশ। নগরীর কর্ণফুলী থানায় দায়ের হওয়া অস্ত্র আইনের একটি মামলায় এ রিমাণ্ড মঞ্জুর করেছে আদালত।
সোমবার (২৮ ডিসেম্বর) চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম রহমত আলী তাদের রিমাণ্ডে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দিয়েছেন।
নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ কমিশনার (প্রসিকিউশন) কাজী মুত্তাকী ইবনু মিনান বলেন, কর্ণফুলী থানার মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ ১০ দিনের রিমাণ্ড চেয়েছিল। শুনানি শেষে আদালত পাঁচদিন মঞ্জুর করেছেন।
শনিবার (২৬ ডিসেম্বর) রাতে নগরীর কাজীর দেউড়ি থেকে নাইমুর রহমান, নালাপাড়া থেকে ফয়সাল মাহমুদ ও কসমোপলিটন এলাকা থেকে মো. শওকত রাসেলকে আটক করে পুলিশ।
পরে তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে হাটহাজারী আমানবাজারে জেএমবির সামরিক কমাণ্ডারের আস্তানায় অভিযান চালায় পুলিশ। সেখান থেকে গুলি, অস্ত্র, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পোশাকসহ বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক দ্রব্য উদ্ধার করা হয়। ওই আস্তানায় জেএমবির বৃহত্তর চট্টগ্রাম অঞ্চলের সামরিক কমান্ডার ফারদিন ওরফে পিয়াস থাকতেন।
রোববার (২৭ ডিসেম্বর) রাতে অস্ত্র এবং বিস্ফোরক আইনের পৃথক ধারায় হাটহাজারী থানায় পৃথকভাবে মামলা দু’টি দায়ের করেছেন নগর গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) ফররুখ আহমেদ মিনহাজ। মামলা নম্বর ২৭ ও ২৮।
আটক তিনজনই চবি’র পদার্থ বিদ্যা বিভাগের স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থী বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
এর আগে গত ৫ অক্টোবর নগরীর কর্ণফুলী থানার খোয়াজনগর এলাকায় জেএমবির আরও একটি আস্তানায় অভিযান চালিয়েছিল বাবুল আক্তারের নেতৃত্বে নগর গোয়েন্দা পুলিশ। এসময় সেখান থেকে বিপুল পরিমাণ হ্যাণ্ড গ্রেনেড ও বিস্ফোরকসহ পাঁচজন গ্রেফতার হয়। পরে নিজের ছোঁড়া গ্রেনেড বিস্ফোরণে একজন মারা যায়।
ওই ঘটনায় কর্ণফুলী থানায় তিনটি মামলা দায়ের হয়েছিল। এর মধ্যে অস্ত্র আইনের মামলায় তিন জেএমবি সদস্যকে রিমাণ্ডে নেয়ার আবেদন জানায় নগর গোয়েন্দা পুলিশ।