তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্ক :: ফেসবুকের বার্তা আদান-প্রদান করার সেবা মেসেঞ্জার ব্যবহারকারী ৮০ কোটি পার হয়েছে। গবেষণা প্রতিষ্ঠান নিয়েলসেনের জরিপে ২০১৫ সালে সবচেয়ে দ্রুত ব্যবহারকারী বাড়ার অ্যাপ হিসেবে উঠে এসেছে এটি। এবার এই অ্যাপ থেকে অর্থ আয় করার পরিকল্পনা নিচ্ছে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ। মেসেঞ্জারে বিজ্ঞাপন দেখানো হবে। আজ শুক্রবার বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
২০১৪ সালে ফেসবুক থেকে মেসেঞ্জার অ্যাপটি পৃথক করে তার প্রসারে ব্যবস্থা নেয় ফেসবুক।
বর্তমানে তথ্য আদান-প্রদানে প্রতিদ্বন্দ্বী স্ন্যাপচ্যাট ও ভাইবারের চেয়ে বেশি মাসিক সক্রিয় ব্যবহারকারী রয়েছে মেসেঞ্জারের। বার্তা আদান-প্রদানের জনপ্রিয় মেসেঞ্জার হিসেবে হোয়াটসঅ্যাপের চেয়ে পিছিয়ে আছে মেসেঞ্জার। হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারী ৯০ কোটি। হোয়াটসঅ্যাপের মালিকানাও ফেসবুকের। নেটওয়ার্ক চার্জ ছাড়াই স্মার্টফোনে বিনা মূল্যে বার্তা আদান-প্রদানের অন্যতম অ্যাপ ছিল হোয়াটসঅ্যাপ।
মেসেঞ্জারও এ রকম সেবার পাশাপাশি ভিডিও কল ও কিছু ব্যবসায়িক সেবা দেয়। মেসেঞ্জার বিভাগের প্রধান ডেভিড মার্কাস বলেন, এ বছর একটি বিষয় নিয়ে আমাদের কাজ করতে হবে তা হচ্ছে-মানুষের ধারণা। মানুষ ভাবে মেসেঞ্জার শুধু ফেসবুকের বন্ধুদের মধ্যেই ব্যবহার করা যায়। এ ছাড়াও মেসেঞ্জারে বিজ্ঞাপন বসিয়ে অর্থ আয় করার পরিকল্পনাও আছে। তবে এটি কবে থেকে শুরু হবে তা ঠিক হয়নি।
বর্তমানে ১৫৫ কোটি ব্যবহারকারীর সামাজিক যোগাযোগের প্ল্যাটফর্ম ফেসবুক ব্যবহারকারীদের টাইমলাইনে বিজ্ঞাপন প্রদর্শন করে অর্থ আয় করে।
গত কয়েক মাস ধরে বেশ কিছু নতুন ফিচার যুক্ত করতে কাজ করেছে ফেসবুক। এর মধ্যে আছে ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ছাড়াই মেসেঞ্জার ব্যবহারের সুযোগ, মেসেঞ্জারে পেমেন্ট, ভিডিও কল ও ব্যবসা বিষয়ক ফিচার।
মেসেঞ্জারের মধ্যে ডিজিটাল সহকারী সফটওয়্যার ‘এম’ নিয়ে কাজ শুরু করেছে ফেসবুক। এই ডিজিটাল সহকারী হোটেল, টিকিট বুকিংসহ নানা কাজে লাগবে। বর্তমানে এটি পরীক্ষামূলক অবস্থায় রয়েছে। শিগগিরই ব্যবহারকারীদের জন্য ‘এম’ উন্মুক্ত করবে ফেসবুক।