চট্টগ্রাম বন্দরের কাঙ্কিত উন্নয়ন নেই – ড. মাহমুদ হাসান

0

গোলাম শরীফ টিটু  :  বাংলাদেশে কখনও কোন সরকারের আমলে সুষ্ট নির্বাচন শতভাগ হয়েছে বলতে পারবেন না। ২০০৮ এর ২৯ ডিসেম্বর দেশে যেভাবে সুষ্ট ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হয়েছে তার নজির অতীতে নেই। সে সময়ও বিএনপি জামায়াত জোট বলেছিল কারচুপি হয়েছে। আওয়ামী লীগ ৩০ সিটের বেশি পাবে না বলেও বলেছিল। এ কথাগুলো বলেছেন চট্টগ্রাম উত্তর জেলা সেক্টর কমান্ডার ফোরামের সভাপতি, মালয়েশিয়া আওয়ামী লীগের প্রতিষ্টাতা সভাপতি, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও স্বাধীনতা মেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ড. মাহমুদ হাসান। গত সপ্তাহে আজকের সুর্যোদয়ের সাথে এক একান্ত সাক্ষাতকারে তিনি বলেন, ১৯৭৫ পরবর্তী বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর এ দেশে কোন খুনের বিচার হয়নি। খুনিদের কে বিদেশে লাল পাসপোর্ট দিয়ে পাঠিয়ে পুনর্বাসন করা হয়েছিল। একাত্তরের মানবতা বিরোধী অপরাধী মুক্তিযুদ্ধের সময় যে পরিবেশ সৃষ্টি করেছিল, সে সময় মানবতা ভুলুন্ঠিত হয়েছিল। ১৯৯৮ সালে রেফারেন্ডাম দিল, ১৯৭৯ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারী জিয়াউর রহমান ১১০ ভোট পর্যন্ত কালেকশান করা হয়েছিল। সে সময় নির্বাচনের ফলাফল দেওয়া হত ক্যান্টনমেন্ট থেকে। জিয়ার মৃত্যুর পর এলেন বিচারপ্রতি আবদুস সাত্তার। ১১ মাস পর তিনি বললেন, রাজনীতিবিদরা ভাল মানুষ না। গনতান্ত্রিকভাবে ক্ষমতা না দিয়ে সে সময় এরশাদকে ডেকে এনে ক্ষমতায় বসালেন।

তখন বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার আবির্ভাব হল রাজনীতিতে। উনাকে পেট্রোনাইজ করে এরশাদ সাহেব ১৯৯১ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় ছিল। ৮৬ ও ৮৮ এর নির্বাচনে এরশাদ একজনকেও গনতান্ত্রিক ভাবে নির্বাচিত করেননি। ৯১এর নির্বাচনে হয়েছে সুক্ষ কারচুপি। ৯৬ এর নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসল। ২০০১ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতা থেকে বিতাড়িত হল। ২০০১ সাল থেকে দেশে বিএনপি জামায়াত জোট সরকার সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের রাজত্ব কায়েম করে। ২১ শে আগষ্ট গ্রেনেড হামলা করে বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার ষড়যন্ত্র করে। আহসান উল্লাহ মাষ্টার, শাহ এম.এস কিবরিয়া, আইভি রহমান সহ অসংখ্য নেতাকর্মীকে হত্যা করা হয়েছিল বিএনপি জামায়াত জোট সরকারের আমলে। বিএনপি নেত্রী বার বার সেনাবাহিনীর হাতে ক্ষমতা তুলে দিয়েছেন গনতান্ত্রিক পদ্ধতি ছাড়া। বর্তমান সরকারের আমলের নির্বাচনগুলো সুষ্ট হয়েছে। তবে কিছু কিছু জায়গায় বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটেছে। এভাবে স্থানীয় নির্বাচন হয়ে থাকে। বিশিষ্ট সংগঠক ও সমাজ সেবক ড.মাহমুদ হাসান বলেন, ’গয়েশ্বর বাবু ও খালেদা জিয়ার জানা উচিত তাদের গঠনতন্ত্রে লেখা আছে ৩০ লক্ষ শহীদের বিনিময়ে অর্জিত এই দেশ।

আর আজ এত বছর পর গয়েশ্বর ও খালেদা জিয়া বলছেন, ’৩০ লক্ষ শহীদদের নিয়ে বিতর্ক আছে। পাকিস্তানের সাথে সুর মিলিয়ে যদি এরা এসব আজগুবি কথা বলেন, তবে তা রাষ্ট্রদ্রোহিতার সামিল। আমাদের নেত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা যতদিন বেঁচে থাকবেন ততদিন তাদের এই সব পাকিস্তানি এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে পারবেনা। তাদের ইতিহাস থেকে শিক্ষা নেয়া উচিত। বিশিষ্ট সমাজ সেবক ও রাজনীতিবিদ ড. মাহমুদ হাসান বলেন, পৃিথবীর ইতিহাসে একটি বিরল ঘটনা যে, খুনিদের এখানে এমপি-মন্ত্রী করা হয়েছে। সাকা চৌধুরী তখন বলেছিল,’পৃথিবীতে এমন কোন শক্তি নেই তাদের বিচার করতে পারবে। দেশে এমন কোন কারাগার নেই যে তাকে রাখা হবে। এসব দম্ভোক্তি ছিল সাকা চৌধুরীর। যারা স্বাধীনতার বিপক্ষে ছিল তাদের হাতে এখনো রক্তের দাগ লেগে আছে। জননেত্রী শেখ হাসিনা নিজের জীবনকে বিপন্ন ও চ্যালেঞ্জের মধ্যেও এসব ঘৃন্য অপরাধীদের বিচার করছেন এবং শাস্তি নিশ্চিত করেছেন। এই নিজামী বুদ্ধিজীবি হত্যাকান্ডেও জড়িত ছিল। এই দেশের সুয্য সন্তানদের এরা নির্মমভাবে হত্যা করেছিল। তাদের বিচার অবশ্যই হওয়া উচিত। তারপরও এরা অনেক ভাগ্যবান এদেশের স্বাধীনতা সহ পৃথিবীর বিলাস শেষ করে যাচ্ছে।

এখন আমরা পৃথিবীর কাছে মাথা উচু করে বলতে পারি এখানে অপরাধী যে যত ক্ষমতাবান হোক তার বিচার হবে। আমরা দেশবাসী এই বিচার প্রক্রিয়াকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। যারা এই ট্রাইব্যুনালে কষ্ট করে বিচারকার্য পরিচালনা করেছেন তাদের অভিনন্দন জানাচ্ছি। শেখ হাসিনার কাছেও আমরা কৃতজ্ঞ। নিচের থেকে উচ্চ আদালত পর্যন্ত তাদের বিচার প্রক্রিয়াতে সুযোগ সুবিধা ও আপিল করার সুযোগও দেওয়া হয়েছে। সুন্দরভাবে এই বিচারের রায় কার্যকর করা হয়েছে। বিশিষ্ট সমাজ সেবক ও দানবীর ড. মাহমুদ হাসান বলেন, ফটিকছড়িতে অতীতের চেয়ে উন্নয়ন অনেক বেশি হয়েছে। তবে ফেনি জেলা থেকেও আয়তনে বড় এই ফটিকছড়ি। ফেনীতে ৫টি উপজেলা রয়েছে। ফটিকছড়ি থেকে ছোট ফেনিতে একজন এসপি সহ কর্মকর্তারা আছেন। ফটিকছড়িতে পুলিশ প্রশাসনের আরও প্রসার লাভ করা দরকার। আমি মনে করি, ফেনির সাথে যদি আপনি তুলনা করেন ফটিকছড়িতে একজন এসপি, একজন ডিসি প্রয়োজন।

তারপরও চট্টগ্রাম বন্দরের কাঙ্খিত উন্নয়ন নেই। ঢাকা চট্টগ্রাম চার লেন সড়কের কাজের অগ্রগতিও সন্তোষজনক নয়। তবে সরকার পদ্মা সেতুর কাজ শুরু করেছে। শুধু চট্টগ্রাম বন্দরের উপার্জিত আয় দিয়ে চট্টগ্রামের উন্নয়ন সম্ভব। তারপরও সরকার কাজ করছে, দেশ এগিয়ে যাবে।

 ড. মাহমুদ হাসান , সভাপতি, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা সেক্টর কমান্ডারস ফোরাম

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.