ট্যাক্স না বাড়িয়ে আয়বর্ধক প্রকল্পের মাধ্যমে শহর চালিয়েছি – মহিউদ্দিন চৌধুরী

0

গোলাম সরওয়ার :  ট্যাক্স না বাড়িয়ে আয়বর্ধক প্রকল্পের মাধ্যমে শহর চালিয়েছি। আপনি জানেন, অনেক ট্যাক্স কমিয়ে এব্ং কাঁচাঘরের ট্যাক্স বাতিল করেছিলাম। সিটি গভ: এর মাধ্যমে সরকারের টাকা ছাড়াই কাজ করতে চেয়েছিলাম। ট্যাক্স না বাড়িয়েই শহরের উন্নয়ন করা সম্ভব। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার পর থেকে গ্রামের গরীব দু:খী সাধারন মানুষবে স্বাবলম্বী করে দেশকে এগিয়ে নিতে নানামুখী উদ্যোগ নিয়েছেন। এই সরকার উন্নয়ন বান্ধব সরকার। এ কথাগুলো বলেছেন সাবেক মেয়র ও চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী  ।   যুদ্ধে ছিলাম, একাত্তরের রনাঙ্গনে। দেশে গনহত্যা, ধর্ষন, অগ্নিসংযোগ সহ জুলুম অত্যাচারে পাকিস্তানী বাহিনীর দোসর ছিল মানবতাবিরোধী অপরাধীরা।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবীতে চট্টগ্রামে সর্বপ্রথম দেওয়ালে লাল কালিতে লেখা, লিফলেট বিতরন করেছি। জনগনের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি করেছিলাম সেই সময় হতে মাঠে, ঘাটে, পথে প্রান্তরে। ।  যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের ট্রাইব্যুনাল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান করেছিলেন। বাংলাদেশের সংবিধানে এটা লেখা আছে। কোন নিরপরাধ লোক যেন শাস্তি না পায়, সে জন্য আপীলেরও ব্যবস্থা এই ট্রাইব্যুনালে রয়েছে। ট্রাইব্যুনালের বিচারের রায় কার্যকর হচ্ছে। খুনিরে পক্ষে কোন আইনজীবি না থাকা উচিত। আমাদের নেত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানাচ্ছি। অনেক জাদরেল ব্যক্তি বিচারের মাধ্যমে শাস্তির আওতায় এসেছেন। যারা ট্রাইব্যুনালে মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষে কাজ করেছেন তাদের ধন্যবাদ জানাচ্ছি। যারা রাজাকারের পক্ষে কাজ করছেন তাদের বলবো, অনুগ্রহ করে জনগনের সাথে বেঈমানী করবেন না।

বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সাবেক মেয়র এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী বলেন, মন্ত্রীত্বের কোন লোভ নেই আমার। মেয়র হতে পারিনি আমি। এই শহরটাকে একটি সুন্দর শহরে পরিনত করেছিলাম। দেশে বিএনপি জামায়াত জোট দেশপ্রেমের কথা বলে মানুষকে বিভ্রান্ত করছে। আবার তারাই এখন স্বাধীনতা বিরোধী অবস্থানে অনড় রয়েছে। প্রকাশ্যে স্বাধীনতা বিরোধীদের আশ্রয় প্রশ্রয় দিয়ে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে রাজাকার ও তার দোসরদের কঠোর শাস্তির যে প্রক্রিয়া চলছে তার ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে হবে। তবেই এদেশ কলঙ্কমুক্ত হবে। মহিউদ্দিন চৌধুরী বলেন, আমরা যারা জীবন বাজি রেখে এদেশকে স্বাধীন করেছি তাদের বৈষয়িক চাওয়া পাওয়ার কিছু নেই। আমাদের একটা মাত্র লক্ষ্য, স্বাধীনতা ও সার্ববৌমত্ত্বকে নিরাপদ রাখা এবং গনমানুষের অর্থনৈতিক মুক্তির চাকাকে সচল রাখা। তিনি বলেন, আমাদেরকে সাধারন মানুষের সমস্যার সমাধান এবং এলাকাভিত্বিক নাগরিক সুযোগ সুবিধার নিশ্চিতকরনে উদ্যোগী ভুমিকা পালন করতে হবে। বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে বুকে ধারন করে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ক্ষুধা, দারিদ্রতা ও জঙ্গিবাদমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে সকলকে আজ ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানচিত্র যতদিন থাকবে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু ততদনি অমর হয়ে থাকবেন বাঙালির মনে প্রানে।

বঙ্গবন্ধু বাঙ্গালী জাতিকে বিশ্বে মাথা উচু করে দাঁড়ানোর স্বপ্ন নিয়ে কাজ করেছিলেন। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মানে বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করতে নতুন প্রজন্মকে জাতির পিতার আদর্শকে ধরে রাখতে অগ্রনী ভুমিকা পালনের মাধ্যমে দেশকে এগিয়ে নিতে হবে। মহিউদ্দিন চৌধুরী বলেন, সমৃদ্ধ দেশ গড়ার চাবিকাঠি বর্তমান প্রজন্মের হাতেই রয়েছে। বর্তমান প্রজন্মকে যাবতীয় অন্যায় অবিচার দুর করতে একটি সুখি ও উন্নত দেশ গড়তে এগিয়ে আসতে হবে। তিনি বলেন, দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পুর্ন। এক সময় দেশের জনসংখ্যা কম ছিল। জমির পরিমান বেশি থাকলেও খাদ্যে ঘাটতি দেখা দিত।

বর্তমানে জমির পরিমান কয়েকগুন কমে গেলেও খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে। দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পুর্নতা অর্জন করেছে। মহিউদ্দিন চৌধুরী বলেন, বৃহত্তর চট্টগ্রামের উন্নয়নে বর্তমান সরকার কাজ করছে। আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এলে দেশের উন্নয়ন হয় তা জনগন উপলব্দি করছে। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, যোগাযোগ এবং তথ্য প্রযুক্তির ব্যাপক উন্নয়ন ঘটেছে। শিক্ষার্থীরা বছরের প্রথমদিনে বিনামুল্যে বই পাচ্ছে। আওয়ামী লীগ দেশকে এগিয়ে নিতে কাজ করলেও বিএনপি জামায়াত জোট দেশকে পিছিয়ে দিতে কাজ করছে। মানুষের মৌলিক অধিকার ও তাদের নুন্যতম চাহিদা পুরনে সরকার আন্তরিক বলে আমি মনে করি।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.