ঢাকা অফিস,সিটিনিউজবিডি : শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু বলেন, ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের ভাষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতির আদানপ্রদান ও অবাধ যাতায়াতের মাধ্যমেই দুই দেশের সম্প্রীতি বৃদ্ধি পাবে। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে যে সম্প্রীতি গড়ে উঠেছে, তা অটুট রাখতে হবে। ভিসা প্রক্রিয়া সহজ করতে বাংলাদেশে অবস্থিত ভারতীয় দূতাবাসে ওই দেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি শাখা খোলার দাবি জানিয়েছেন শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু। তিনি বলেছেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের শাখা খুললে সহজেই ভিসা দেওয়া সম্ভব হবে।
আজ বুধবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে বাংলাদেশ-ভারত সম্প্রীতি পরিষদের দ্বিবার্ষিক-বার্ষিক কেন্দ্রীয় সম্মেলনে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। সম্মেলনে অন্য বক্তারাও ভিসা প্রক্রিয়া সহজ করার দাবি জানান।
পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যসভার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান প্রদীপ ভট্টাচার্য বলেন, বাংলাদেশ-ভারতের সাংস্কৃতিক জগতে কেমন জানি একটা পরিবর্তন এসে গেছে। দুই দেশের মধ্যে নিবিড় সাংস্কৃতিক ঐক্যবদ্ধতার মাধ্যমে এর সমাধান করতে হবে। তিনিও ভিসা প্রক্রিয়া সহজ করা ও তিস্তার পানির সুষ্ঠু বণ্টনের কথা বলেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতের সম্পর্ক শুধু কূটনৈতিক সীমারেখায় আবদ্ধ নয়, ব্যবসা-বাণিজ্য, শিক্ষা-সংস্কৃতি, ক্রীড়াসহ সব ক্ষেত্রে এই সম্পর্ক একাকার হয়ে আছে। এটি রক্তের সম্পর্ক। দুই দেশের এই সম্পর্ক সুদৃঢ় করতে নতুন প্রজন্মের মাঝে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সঞ্চালন করতে হবে এবং ভ্রমণের ক্ষেত্রে বিদ্যমান জটিলতা দূর করতে হবে।
ভারতের সাবেক মন্ত্রী সরদার আমজাদ আলী বলেন, একটি দেশের সঙ্গে আরেকটি দেশের কিছু সমস্যা থাকবে, এটা স্বাভাবিক। কিন্তু এসব সমস্যার সমাধানও নিশ্চয়ই আছে। অস্ত্রের মাধ্যমে সমস্যার সমাধান হবে না, সমাধান হবে একে অন্যের বোঝাপড়ার ওপর। এই বোঝাপড়া সংকীর্ণ দৃষ্টিভঙ্গিতে হবে না।
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান অর্থনৈতিক কর্মকর্তা বিরুপাক্ষ পাল বলেন, ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্যের হেরফের রয়েছে। এটা কাটিয়ে উঠতে হবে। উন্নয়নের সম্প্রীতি বাড়াতে হবে। পর্যটনশিল্প ও বাণিজ্য ক্ষেত্রে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের আরও সম্পর্ক উন্নয়ন ঘটাতে হবে।