জামাল জাহেদ, মহেশখালি : মহামান্য হাইকোর্টের নির্দেশ অমান্য করে মহেশখালির ৩০টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মাদ্রাসা কতৃক ২০১৬ সালের এসএসসি পরীক্ষার্থীদের নিকট থেকে ফরম ফিলাপ বাবদ নেয়া অতিরিক্ত অর্থ এখনো ফেরত দেয়া হয়নি।অতিরিক্ত ফি আদায়কৃত টাকা ফেরত দানের জন্য শিক্ষা মন্ত্রনালয় কতৃক নির্দেশ দেওয়া হহয় ৭দিনের মধ্যে ছাত্রছাত্রীদের অর্থ ফেরত দানের, যার স্মারক নং ৩৭.০০.০০০০.০৭২.৪৪.০৯৭.১২.৭৬৯ এর প্রেক্ষিতে সকল উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়,ফি আদায়ের অতিরিক্ত ফি ফেরত দেয়ার জন্য কিন্তু এখনো অবধি মহেশখালির ৩০টি মাধ্যমিক পর্যায়ের কোন প্রতিষ্টানে ফেরত দানের খবর পাওয়া যায়নি।সরকারী নির্দেশের আজ ৫ম দিন পেরিয়ে গেলেও অতিরিক্ত টাকা ফেরত দেয়ার কোন উদ্যোগ নেয়নি মহেশখালি উপজেলা প্রশাসন ও মহেশখালি মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস।
অন্যদিকে যেসব শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ফি আদায় করে,তাদের তথ্যসুএে জানা যায়,প্রতিটি প্রতিষ্টান মহেশখালিতে আনুমানিক লক্ষাধিক করে,২৫লক্ষ টাকার উপরে হাতিয়ে নিয়েছে কতিপয় সংশ্লিষ্ট দুর্নীতি পরায়ন প্রতিষ্টান প্রধানের সহযোগিতায়।ইতিপুর্বে সংবাদ কর্মীদের কাছে অতিরিক্ত টাকা নেয়ার বিষয়টি স্বীকার ও করেছে অনেক বিদ্যালয়ের শিক্ষক।অনেক প্রতিষ্টান, ব্যবহারিক পরীক্ষায় কম নম্বর দেয়া হবে বলে প্রধান শিক্ষক ও কয়েকজন সহকারী শিক্ষক তাদেরকে ভয়ভীতি দেখাচ্ছেন বলে অভিযোগ ও উঠেছে। এতে কোমলমতি ওই সব শিক্ষার্থীরা মানসিক ভাবে ভেঙ্গে পড়েছে।আনোয়ার হোসেন নামে বড়মহেশখালীর একজন অভিভাবক জানান,বঙ্গবন্ধু বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও মহেশখালি আইল্যান্ড হাই স্কুল অতিরিক্ত টাকা নিলেও এখনো তারা নীরব।কাউকে কোন টাকা ফেরত দিচ্ছেনা।
এসব ঘটনায় মহেশখালির হাজার হাজার হতদরিদ্র অভিভাবকদের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে। প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের এসএসসি পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগের পরীক্ষার্থীদের নিকট থেকে সর্বসাকুল্যে ৩৯০০ টাকা এবং মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের পরীক্ষার্থীদের নিকট থেকে ৩৭০০টাকা আদায় করেছে,এমননি কারো কারো কাছ থেকে ৪/৫হাজার টাকাও নিয়েছে বরে জানান কুতুবজোমের মন্নান মিয়া হাইকোর্টের সুয়োমোটো রুল মোতাবেক কোন অজুহাতেই বোর্ড নির্ধারিত ফি এর অতিরিক্ত টাকা না নেয়ার জন্য সকল মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ও কর্তৃপক্ষ বরাবর নির্দেশনা পত্র প্রেরণ করেন।তারপরেও মাধ্যমিক বিদ্যালয়সহ উপজেলার অধিকাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এই নির্দেশনাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করে অতিরিক্ত টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন বলে বিভিন্ন সূত্র থেকে প্রাপ্ততথ্যে নিশ্চিত হওয়া যায়।মহেশখালি উপজেলায় দাখিল মাদ্রাসা ১৪টি,সিনিয়র মাদ্রাসা ৪টি,সরকারি বালিকা ১টি,মাধ্যমিক বিদ্যালয় ১১টি মোট ৩০টি প্রতিষ্টান প্রধান নীরব ভুমিকায় রয়েছে।
এ বিষয়ে মাধ্যমিক অফিসারকে কয়েকবার রিং করার পরও ফোন রিসিভ না করাতে কোন মন্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।তবে মহেশখালির সচেতনমহল এ বিষয়ে উপজেলা প্রশাসন ও মাননীয় সংসদ সদস্যের হস্তক্ষেপ কামনা করে,জরুরী ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন জানায় বিভিন্ন গনমাধ্যম কর্মীদের।