চট্টগ্রাম: চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী বলেছেন, দক্ষিণ আফ্রিকার দেশ সিয়েরা লিওনে ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি’ গানটি যে মমত্বের সঙ্গে গাওয়া হয়, তা শুনে আমাদের চোখে তো বটেই, এমন গানে মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী পক্ষের চোখেও পানি আসতে বাধ্য। গানটি আমাদের অনুভূতিকে নাড়া দেয়।
শুক্রবার নগরীর থিয়েটার ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে ‘নাট্য ভাষা বাংলা আমার’ উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এভাবে বাংলা ভাষার মাহাত্ম্য তুলে ধরেন তিনি। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে তির্যক নাট্যদল তিন দিনব্যাপী এ উৎসবের আয়োজন করে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সংক্ষিপ্ত কথামালায় অধ্যাপক ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী বলেন, বাংলা ভাষা শুধু আমাদের ভাষা নয়। সারাবিশ্বের মানুষ বাংলা ভাষাকে সম্মানের চোখে দেখছে।
তিনি বলেন, আমাদেরকে সমাজের অগ্রগতি উপলব্ধি করতে হবে। সুষ্ঠ সংস্কৃতি চর্চায় নতুন প্রজন্মকে সম্পৃক্ত করতে হবে। তা না হলে দেশে জঙ্গিবাদ ও মৌলবাদের উত্থান হতে বাধ্য।
সভাপতির বক্তব্যে তির্যক নাট্যদলের দলীয় প্রধান আহমেদ ইকবাল হায়দার বলেন, ১০ বছর ধরে তির্যক নাট্যদল একুশ স্মরণে বিষয়ভিত্তিক আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে আসছে। আমরা একুশকে স্মরণ করতে চাই, স্মরণ করি। আমাদের ভাষা বাংলা, আমাদের ভাবনা বাংলা।
‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি, আমি কি ভুলিতে পারি?’ ও ‘মোদের গরব মোদের আশা, আ মরি বাংলা ভাষা’ উদ্বোধনী সঙ্গীত হিসেবে গানগুলো পরিবেশন করে তির্যক নাট্যদলের নাট্যকর্মীরা।
আলোচনা সভার পর টিআইসির গ্যালারিতে তির্যক এর নাট্য-স্মারক প্রদর্শনীরও উদ্বোধন করেন চবি উপাচার্য। এছাড়া সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় মূল মিলনাতয়নে মঞ্চস্থ হয় তির্যক নাট্যদলের প্রযোজনা মাইকেল মধুসূদন দত্তের প্রহসন ‘বুড়ো সালিকের ঘাড়ে রোঁ’ এর ৯৯তম প্রদর্শনী।
উৎসবের দ্বিতীয় দিন শনিবার বিকেল ৫টায় একুশের কথা মালায় অতিথি হিসেবে থাকবেন অধ্যাপক লায়লা জামান। আবৃত্তি পরিবেশন করবে ‘বোধন আবৃত্তি পরিষদ’ এবং নৃত্য পরিবেশন করবে ‘স্কুল অব ওরিয়েন্টাল ডান্স’। সন্ধ্যায় সাড়ে ৬টায় মূল মিলনায়তনে মঞ্চস্থ হবে ‘বুড়ো সালিকের ঘাড়ে রোঁ’ প্রহসনের ১০০তম মঞ্চায়ন।