ফাইনালের টিকিট উধাও

ঢাকা: এশিয়া কাপে ফাইনাল ম্যাচ বাংলাদেশের ক্রিকেট ভক্তদের কাছে বিশ্বকাপের ফাইনালের সমান। ক্রিকেট পাগল এই জাতি মাঠে গিয়ে নিজ দলকে সমর্থন জানাতে সব কিছু বিসর্জন দিতে প্রস্তুত। এভাবে সারা রাত ঘুম বিসর্জন দিয়ে লাইনে দাঁড়িয়ে থেকেছেন। কিন্তু টিকিট প্রত্যাশীরা অনেকেই টিকিট পাচ্ছেন না। টিকিট উধাও হয়ে যাওয়ায় হট্টগোল বেজে গেছে। এতে পুলিশের সঙ্গে টিকিট প্রত্যাশীদের সঙ্গে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পুলিশ টিয়ার শেল নিক্ষেপ করেছে।

শুক্রবার সকাল ৭টা থেকেই ফাইনাল ম্যাচের একটি টিকিট পেতে বাংলাদেশের ক্রিকেটপ্রেমীদের ইউসিবি ব্যাংকের মিরপুর শাখায় লাইনে দাঁড়াতে দেখা গেছে। শনিবার সকালে শুরু হয় টিকিট বিক্রি। এ সময় ক্রেতাদের সঙ্গে পুলিশের কয়েক দফা ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনাও ঘটেছে। অন্যদিকে জলকামান ও রায়টকার বসিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে পুলিশ।

জানা গেছে, কয়েক হাজার মানুষ সেখানে লাইনে দাঁড়িয়ে রয়েছেন। লাইন বিস্তৃত হয়ে মিরপুর প্রধান সড়কের অনেকটা অংশ দখল করেছে। এতে মিরপুর-১০ গোলচত্বর এলাকায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। বিশৃঙ্খলা রুখতে বেশ কয়েকবার ক্রেতা ও পুলিশের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। লাইনে থাকা বেশ কয়েকজন অভিযোগ করেন, সেখানে লাইনে থাকা মানুষদের ধীরে টিকিট দেওয়া হলেও অনেকেই প্রভাব খাটিয়ে পরিচিত ব্যাংকারদের মাধ্যমে টিকিট সংগ্রহ করছে।

রাজধানী ছাড়াও নারায়াণগঞ্জ, নরসিংদী ও মানিকগঞ্জ থেকে অনেককে টিকিট কিনতে এসেছেন। ইউক্যাশের মাধ্যমে টিকিট কিনতে না পারায় তারা লাইনে এসে দাঁড়িয়েছেন।

শুক্রবার রাত দুইটার মূল সড়কে লাইনের শেষ মাথায় হুড়োহুড়ির সময় হঠাৎ লাঠিচার্জ করে পুলিশ। এতে ডান হাত ভেঙে যায় মিরপুর এভিনিউ ফাইভ এলাকার আব্দুস সালামের ছেলে শাকিলের।  তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

আগামী ৬ মার্চ ঢাকার মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে এশিয়া কাপের ফাইনালে ভারতের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে প্রায় ২৫ হাজার দর্শক ধারণ ক্ষমতা আছে। কিন্তু টিকিটের চাহিদা লাখেরও বেশি।

আরব আমিরাত, শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তানকে হারিয়ে এবারের এশিয়া কাপের ফাইনাল নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ। সোমবার ভারতের বিপক্ষে মাঠে নামবেন মাশরাফিরা।

এ বিভাগের আরও খবর

Comments are closed.