পেকুয়ায় বিএনপি প্রার্থীদের প্রচারণায় পুলিশি বাধা

সিটিনিউজবিডি: কক্সবাজারের পেকুয়ায় পুলিশের বাধায় বিএনপি সমর্থিত ইউপি চেয়ারম্যান-মেম্বার প্রার্থীদের নির্বাচনী প্রচারণায় ভাটা হয়ে পড়েছে। উপজেলার ৭ ইউনিয়ন ঘুরে এ ঘটনার সত্যতা পাওয়া যায়। এ নিয়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের মাঝে চাপা ক্ষোভ ও উত্তেজনা বিরাজ করছে। জানা যায়, চলতি মাসের ৩১ মার্চ পেকুয়া উপজেলার ৭ ইউনিয়নে ইউপি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। প্রতীক বরাদ্দের পর প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা শুরু করে তাদের নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা। প্রথম পর্যায়ে নির্বাচনী আচরণবিধি বিষয়ে সচেতন রাখতে ও আইন শৃংখলা রক্ষার্থে প্রতিন্দ্বী প্রার্থীদের জরুরি সংগে মতবিনিময় সভার আয়োজন করে উপজেলা প্রশাসন। এরপরও নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গ করে দেয়ালে পোস্টার লাগানোয় ৫ জন প্রার্থীকে অর্থদণ্ড ও অনেককে সতর্ক করে দেয়া হয়।

এদিকে গত সপ্তাহজুড়ে চলা নির্বাচনী প্রচারণাকালে পুলিশ দফায় দফায় অভিযান চালিয়ে ৬জন বিএনপি সমর্থিত চেয়ারম্যান-মেম্বার প্রার্থীকে অর্থদন্ড দেয় ও ব্যবহৃত মাইক জব্দ করে। এনিয়ে বিএনপি সমর্থিত চেয়ারম্যান-মেম্বার প্রার্থীদের নির্বাচনী প্রচারণায় ভাটা পড়ে। স’ানীয় বিএনপি’র নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সমন্বয়কারী ও প্রচার সেল প্রধান, শ্রমিকদল নেতা মুজিবুল হক চৌধুরী অভিযোগ করে বলেন, এবারের ইউপি নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোটের মনোনীত প্রতিদ্বন্দ্বী চেয়ারম্যান-মেম্বার প্রার্থীদের প্রচারণায় পুলিশ ও স’ানীয় উপজেলা প্রশাসন নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গের অজুহাতে ব্যাপকহারে অভিযান চালিয়ে অর্থদণ্ড ও প্রচার যন্ত্র জব্দ করছে। এতে বিএনপি সমর্থিত চেয়ারম্যান-মেম্বার প্রার্থীদের প্রচার-প্রচারণায় ভাটা নেমে এসেছে। বিএনপি’র এমন অভিযোগ প্রসঙ্গে ওসি জিয়া মো. মোস্তাফিজ ভুঁইয়ার সাথে যোগাযোগ করে জানতে চাইলে তিনি প্রশ্ন এড়িয়ে বলেন, আচরণবিধি ভঙ্গের অভিযোগের সূত্র ধরে পুলিশ আইনগত ব্যবস’া নিচ্ছে।

এক্ষেত্রে পক্ষপাতদূষ্টতার প্রশ্ন তুললে তিনি তাও এড়িয়ে যান। এ প্রসঙ্গে পেকুয়া উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি ধানের শীষ প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী বর্তমান সদর ইউপি চেয়ারম্যান এম. বাহাদুর শাহ বলেন, স’ানীয় থানা পুলিশ ও উপজেলা প্রশাসন বেছে বেছে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীদের প্রচার-প্রচারণায় অভিযান চালিয়ে অর্থদণ্ড ও প্রচারযন্ত্র জব্দের মাধ্যমে হয়রানি অব্যাহত রাখায় এবারের ইউপি নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু শান্তিপূর্ণ ও নিরপেক্ষভাবে সম্পন হওয়া নিয়ে আমরা সন্দিহান। লেভেলপ্ল্যয়িং ফিল্ড গড়ে তোলা ছাড়াই সরকারিদলের প্রার্থীদের অবাধে প্রচার-প্রচারণার সূযোগ দেয়া হলেও আমি ও আমাদের প্রার্থীরা সে সূযোগ পাচ্ছি না। পেকুয়া উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও ইউএনও মো. মারুফুর রশিদ খানের কাছে বিএনপি’র অভিযোগ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

এ বিভাগের আরও খবর

Comments are closed.