বাঁশখালীর বাতাসে লাশের গন্ধ

জুবায়ের সিদ্দিকী : বাঁশখালীতে সংর্ঘষের ঘটনায় দুইদিন অতিবাহিত হলেও এখনও উত্তাল, উত্তেজনা চলছে গন্ডামারায়। ক্ষোভে ফুঁসছে গন্ডামারাবাসী। পুলিশ এখনো গন্ডামারার নিয়ন্ত্রণ নিতে পারেনি।

গতকাল সকল-সন্ধ্যায় হরতাল পালিত হয়েছে। এলাকায় দোকান-পাট ঘটনার পর থেকে বন্ধ রয়েছে। এলাকার পরিস্তিতি এখনো থমথমে।

স্থানীয়রা জানান, সাধারণ মানুষের পরিবেশ বিপর্যয়ের আশঙ্খায় যু্ক্তিসঙ্গত জবাব দিতে প্রকল্প সংশিষ্টরা ব্যর্থ হওয়ায় ও স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদের মুনাফা ভোগী কার্যক্রমের কারণেই বাঁশখালীতে রক্ত ঝরেছে। প্রকল্প কর্তৃপক্ষ সাধারণ মানুষকে পরিবেশ বিপর্যয়ের বিষয়ে সুষ্পষ্ট ধারণা দিতে পারলে এতবড় রক্তক্ষয়ী ঘটনা গন্ডামারায় ঘটতো না।

প্রকল্প কর্তৃপক্ষ সাধারণ জনতার বিরুদ্ধে মারমুখী অবস্থানে ছিল বলেই মানুষ হত্যার মতো ঘটনা ঘটেছে। সরেজমিনে এলাকা পরির্দশনে স্থানীয়রা গতকাল বিকালে বলেন, বাঁশখালীর বাতাসে লাশের গন্ধ। হাসপাতালে আহতের হাতে হাতকড়া। ভিটেমাটি ছাড়া মানুষ এখন দিশেহারা। গন্ডামারাতে সমাবেশে, ১৪৪ ধারা জারী ও গুলিবর্ষণের ঘটনায় বিক্ষুদ্ধ চট্টগ্রামবাসী। স্বজনহারাদের আর্তনাদ গন্ডামারার বাতাসকে ভারী করে তুলেছে।

বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রি বলেছেন, বিদ্যুৎ প্রকল্প নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান বাঁশখালী থেকে সরে আসলে সরকার সহযোগিতা করবে।

এ বিভাগের আরও খবর

Comments are closed.