আলোচনায়-সমালোচনায় বাঁশখালী

কল্যাণ বড়ুয়া মুক্তা, বাঁশখালী : শুধু চট্টগ্রাম নয় সারা বাংলাদেশে এখন সরব একটি নাম বাঁশখালী। ২০০৩ সালের পর থেকে বাঁশখালী যেন কারণে অকারণে মিডিয়াসহ সারা দেশের মানুষের মাঝ থেকে বাঁশখালীর নাম কোন ক্রমেই যেন তাদের মুখ থেকে সরানো যাচ্ছেনা। প্রথম বাঁশখালীর নামটি সারাদেশের মাঝে উঠে আসে ২০০৩ সালে। ২০০৩ সালের ১৮ই নভেম্বর বাঁশখালীর সাধনপুরের শীল পাড়ায় ১১ জনকে পুঁড়িয়ে হত্যা করা হয়। এই ঘটনায় সারাদেশে নিন্দার ঝড় উঠে। এখনো পর্যন্ত এই মামলার কোন শেষ হয়নি। এ ঘটনার রেশ যেতে না যেতেই ২০১১ সালের ১৬ ই মার্চ বাঁশখালীর ১১ জেলেকে বঙ্গোপসাগরে মেরে ফেলে জলদস্যুরা।

আবারো বাঁশখালীর নাম সবার মুখে মুখে। এ ঘটনার যেতে না যেতেই ২০১৩ সালের ৩০ মে বাঁশখালীর ১১ জেলেকে বঙ্গোপসাগরে হত্যা করা হয়। আবারো বাঁশখালী নিয়ে ঝড় উঠে আলোচনায়। তখন বঙ্গোপসাগরকে নিরাপদ করতে প্রশাসনিক কর্মকর্তা থেকে শুরু করে সকল স্তরের জনগণ এক কাতারে দাড়ালেও এখনও পর্যন্ত বঙ্গোপসাগরকে নিরাপদ করতে পারেনি। এরপর ২০১৩ সালের ২৮ ফেব্র“য়ারী বাঁশখালীর উপর দিয়ে বয়ে যায় এক মানবিক বিপর্যয়। সেইদিনের ঘটনা বাঁশখালীবাসীকে নিয়ে যায় আরো অর্ধশত বছর পিছনে। পুঁড়িয়ে দেওয়া হয় অফিস আদালত। মেরে ফেলা হয় সংখ্যালঘু পরিবারের দয়াল হরি শীলকে। জ্বালিয়ে দেওয়া দোকানপাট, অফিস আদালত ও বাড়ীঘর।

সেটার রেশ টানতে না টানতেই ২০১৫ সালের ২১শে ফেব্র“য়ারী রাতে বাঁশখালীর সাধনপুর পাহাড়ি এলাকায় র‌্যাব আবিস্কার করে জঙ্গি আস্তানার। আবারো শিরোনাম হয় বাঁশখালী। এখনো পর্যন্ত সেই ঘটনার তদন্ত চলমান। ঘটনার সাথে সংশ্লিষ্টদের নানা ভাবে আদালতে হাজিরা সহ প্রকৃত ঘটনা উদ্ঘাটনে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে প্রশাসন। সর্বশেষ বাঁশখালীবাসীর উপর আঘাত আনে দেশের সর্ববৃহৎ কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্পের পক্ষে বিপক্ষের অতি উৎসাহী জনগণের সংঘাত। এই সংঘাতে অকালেই ঝরে পড়ে ৪টি তাজা প্রাণ। আহত হয় অর্ধশতাধিক নারী পুরুষ ও পুলিশের কর্মকর্তা সদস্যরা। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে সারাদেশের জনগণের এখন আলোচনায় বাঁশখালীর নামটি সর্বাগ্রে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রতিদিন নানা ধরনের রাজনৈতিক নেতাদের আগমন, নতুন নতুন কর্মসূচী, এলাকার ঘটনাকে কেন্দ্র করে নানা ভাবে খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে মিডিয়ার লেখা সব মিলিয়ে বাঁশখালীর নামটি বাংলাদেশের মানুষের মুখে এখন সরব একটি নাম।

এ বিভাগের আরও খবর

Comments are closed.