কক্সবাজারে চেয়ারম্যান প্রার্থীর হাতে উপজেলা মৎস কর্মকর্তা লাঞ্চিত

চকরিয়া প্রতিনিধি :  কক্সবাজারের চকরিয়ায় ইউপি নির্বাচন পরবর্তী ভোটের ফলাফল বিবরণী চাওয়াকে কেন্দ্র করে আ: লীগ নেতা ও পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থীর হাতে লান্চিত হয়েছেন চকরিয়া উপজেলা সিনিয়র মৎস কর্মকর্তা সাইফুর রহমান। গতকাল ৯ মে সোমবার বিকাল ৫ টায় উপজেলা মৎস কর্মকর্তার কার্যালয়ে ঘটেছে এ ঘটনা। এ সময় তিনি জেলে সম্প্রদায়ের নেতাদের নিয়ে তিনি একটি মিটিং এ ব্যস্ত ছিলেন বলে জানা গেছে।

প্রত্যক্কদর্শীরা জানান চকরিয়া উপজেলার বদরখালী ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন গত ৭ মে শেষ হয়। ওই নির্বাচনে রির্টানিং অফিসার এর দায়িত্বে ছিলেন চকরিয়ার সিনিয়র উপজেলা মৎস কর্মকর্তা সাইফুর রহমান। নির্বাচন শেষ পরবর্তী সময় গতকাল সা মবার বিকাল ৫ টায় প্রত্যেক ভোট কেন্দ্রের ফলাফল বিবচরণীর জন্য রির্টানিং অফিসার এর অফিসে আসেন বদরখালীর আ: লীগ নেতা নুরে হাবিব তসলিম ও তার ছোট ভাই বদরখালী ইউনিয়ন আ:লীগ সভাপতি এবং পরাজিত চেয়ারম্যান প্রর্থী নুরে হোসেন আরিফ।তারা দুজনই মৎস কর্মকর্তার কাছে প্রত্যেক কেন্দ্রের ভোটের ফলাফল বিবরনী চাইলে তিনি তা দিতে অনিহা প্রকাশ করেন।

এতে একপর্যায়ে ক্কিপ্ত হয়ে তসলিম ও আরিফ দুই ভাই মৎস কর্মকর্তা সাইফুর রহমানের উপর চড়াও হয় এবং এক পর্যায়ে তাকে অশালিন ভাষায় গালিগালাজ করে। এ সময় মৎস কর্মকর্তা সাইফুর রহমান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে ফোন করতে চাইলে তারা তার মোবাইল ফোনটি ও কেড়ে নেন বলে মৎস কর্মকর্তা জানান। এ ব্যাপারে মৎস কর্মকর্তা সাইফুর রহমান জানান নির্বাচনে ভোটের ফলাফল বিবরণী কাউকে না দিতে উপরের নিষধ রয়েছে। তারা জোর করে আমার কাছ থেকে তা চাইছিল।

অপরদিকে পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী নুরে হোসেন আরিফ জানান সদ্য শেষ হওয়া নির্বানে মৎস কর্কর্তা ও রির্টানিং অফিসার সাইফুর রহমান টাকার বিনিময়ে খাইরুল বশরকে জিতিয়ে দিয়েছেন।তাই তিনি আমাকে ফলাফল বিবরনী দোচ্ছেনা। তবে নাজেহালের কোন ঘটনা ঘটেনি। এ ব্যাপরে উপজলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাহেদুল আলম জানান বিষয়টি মৎস কর্মকর্তার এখতিয়ার। আমি কিছু জানিনা।