চসিক ডোর টু ডোর আবর্জনা সংগ্রহে ২ হাজার সেবক নিয়োগ

চট্টগ্রাম  :   নান্দনিক ও পরিচ্ছন্ন নগরীর স্বার্থে সিটি মেয়রের ক্লিন ও গ্রিন সিটি’র ভিশন বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে ১ জুন ২০১৬ খ্রি. বুধবার দুপুরে নগরীর থিয়েটার ইনষ্টিটিউট মিলনায়তনে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আলহাজ্ব আ জ ম নাছির উদ্দীন অত্র প্রতিষ্ঠানের পরিচ্ছন্ন বিভাগ, যান্ত্রিক ও বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তা ও তত্বাবধায়ক, পরিদর্শক, সুপারভাইজার, চালকদের সাথে সমন্বয় বৈঠক করেন। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত স্থায়ী কমিটির সভাপতি কাউন্সিলর শৈবাল দাশ সুমন।

জনাব আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, নগরীর স্বাস্থ্য সম্মত উন্নত পরিবেশের স্বার্থে ১ আগষ্ট থেকে ডোর টু ডোর বর্জ্য সংগ্রহ ও অপসারন কার্যক্রম শুরু করা হবে। এ কার্যক্রম ৩১ ডিসেম্বর এর মধ্যে ৪১ টি ওয়ার্ডে সম্প্রসারিত হবে। ডোর টু ডোর আবর্জনা সংগ্রহ ও অপসারন কাজের জন্য ২ হাজার সেবক নিয়োগ দেয়া হবে। এর ফলে বছরে ৩০ কোটি টাকা অতিরিক্ত খরচ বাড়বে। মেয়র বলেন, কর্মকর্তা-কর্মচারী সকলের সুযোগ সুবিধা শতভাগ পূরণের বিনিময়ে সিটি কর্পোরেশন শতভাগ কাজ প্রত্যাশা করছে।

সভায় সচিব মোহাম্মদ আবুল হোসেন, প্রধান প্রকৌশলী লে.কর্ণেল মহিউদ্দিন আহমেদ, মেয়রের একান্ত সচিব মোহাম্মদ মঞ্জুরুল ইসলাম, তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. মাহফুজুল হক, প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা শেখ মো. শফিকুল মান্নান সিদ্দিকী, নির্বাহী প্রকৌশলী শামসুল হুদা সিদ্দিকী, পুল কর্মকর্তা সুদীপ বসাক, পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মোরশেদুল আলম চৌধুরী সহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন। সমন্বয় সভায় সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন বলেন, চট্টগ্রামকে বিশ্বমানের দৃষ্টিনন্দন, শিল্প ও পর্যটক বান্ধব প্রাচ্যের রাণী সাজে সাজিয়ে তোলার প্রয়াস চলছে। এ লক্ষ্যে পরিচ্ছন্ন কার্যক্রম জোরদার করা হচ্ছে। মেয়র বলেন, প্রতিদিন সন্ধ্যা ৭টা থেকে রাত ১১ টার মধ্যেই নগরবাসী তাদের সৃষ্ট আবর্জনা নির্দিষ্ট স্থান, ডাষ্টবিন ও কন্টেইনারে ফেলতে হবে। নির্দিষ্ট সময়ের বাহিরে কোন আবর্জনা কেউ-ই ফেলতে পারবে না। যদি কেউ নিয়ম ভঙ্গ করে যত্রতত্র, যখন তখন আবর্জনা ফেলে নগরীর পরিবেশ দুষিত করে তাহলে তার পরিনামে সংশ্লিষ্টদের বিধিবিধান ও আইনের আওতায় আসতে হবে। সিটি মেয়র বলেন, বন্দর নগরী চট্টগ্রাম গুরুত্বের দিক থেকে অতীব গুরুত্বপূর্ণ। দেশের অর্থনীতির হৃদপিন্ড এ চট্টগ্রাম এর সমুদ্র বন্দর, পাহাড়-পর্বত, সমতল ভূমি, কর্ণফুলী ও সী-বিচকে পরিকল্পিতভাবে উন্নত করা গেলে দেশ ও বিদেশে চট্টগ্রাম এর গুরুত্ব সুনাম আরও বৃদ্ধি পাবে। এ লক্ষ্যে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন কর্ম পরিকল্পনা গ্রহণ করতে যাচ্ছে। দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে কোন ধরনের অবহেলা, গাফিলতি বা ধীরগতি বা অমনোযোগী বা দায়সারা লক্ষণ পরিলক্ষিত হলে তার পরিনাম হবে কঠোর ও ভয়াবহ। মেয়র সুপারভাইজারদের কাজের সুবিধার্থে জ্বালানী সহ মোটর সাইকেল, আবর্জনা বহণের গাড়ী সহ সব ধরনের ভিহিক্যাল ও সরঞ্জামাদি যথা সময় ও নিয়মে সরবরাহের নিশ্চয়তা দেন। বিনিময়ে তিনি শতভাগ কাজ প্রত্যাশা করেন।

এ বিভাগের আরও খবর

Comments are closed.