গন্তব্য ইনানি বিচ

পর্যটন ও পরিবেশ : কক্সবাজারের সিভিউ রেস্টুরেন্টে দুপুরের খাবার খেয়ে উঠে বসলাম গাড়িতে। গন্তব্য ইনানি বিচ। কক্সবাজার আসা হলেও কখনোই ইনানি যাওয়া হয়নি। তাই এবারে ঠিক করে এসেছিলাম, ইনানি বিচে যাবোই।

গাড়িতে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করার পর গাড়ি চাড়তে শুরু করল। সাগরের পার দিয়ে চলে গেছে রাস্তা। দেখতে খুব চমৎকার। এ যেন সাগরকে সাথে নিয়ে পথচলা। দীর্ঘ ৩০০ কিলোমিটার মেরিন ড্রাইভ। পুরোটা পথে এক পাশে সাগর অন্য পাশে পাহাড়। অপূর্ব সে দৃশ্য দেখে মন ভালো হয়ে যাবে। তবে পুরো রাস্তাটি কাজ চলছে।

যাওয়ার পথে হিমছড়িতে নামলাম। টিকিট কেটে ভেতরে ঢুকলাম। দেখলাম অনেকটাই বদলে গেছে হিমছড়ি। কিছুক্ষণ ঘুরে বেড়ালাম। আগেই ইনানি বিচের ‘লা-বেলা রিসোর্টে’ বুকিং দেয়া ছিল। তাই সরাসরি রিসোর্টেই উঠলাম। দেখতে ছোট হলেও কিন্তু খুব সুন্দর রিসোর্ট। গাছপালা ছাওয়া ছোট ছোট কটেজ। তেমনিই একটি কটেজে উঠে মালপত্র রেখে বের হলাম বিচে যাওয়ার জন্য।

বিচে পৌঁছে মুগ্ধ হয়ে গেলাম। ইনানি বিচটি একেবারেই অন্য রকম। পুরো বিচে ছোট-বড় নানা আকারের অসংখ্য পাথর ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে। কেউ পাথরে থেকে পাথর টপকাতে ব্যস্ত আবার কেউ বা তুলছে সেলফি। সমুদ্রে তখন জোয়ার শুরু হয়েছে। বাতাসের বেগও বাড়ছে। পানিতে পাথরগুলো আস্তে আস্তে ডুবে যাচ্ছে। একটু পরে সূর্যও ডুবে গেল। সন্ধ্যা নামতেই ফাঁকা হতে লাগল সৈকত। আমরাও চলে আসলাম।

বিচে এলে যে ফিরতে ইচ্ছা করে না। বাতাসের শব্দের সাথে সাগরের একটানা গর্জন যেন অন্য জগতে নিয়ে যায়। একটু একটু করে বাড়ছে পানি। পানিতে পাডুবিয়ে দাঁড়িয়ে আছি। অদ্ভুত এক অনুভূতি। পাহাড়ে কিংবা অন্য যেখানেই যাই না কেন, বারবার তাই ফিরে আসা সাগরের কাছে। নাশতা সেরে সব কিছু গুটিয়ে এখনই উঠে বসি গাড়িতে। তারপর আবারো সেই ছকে বাঁধা জীবন আর নিরন্তন ছুটে চলা।

এ বিভাগের আরও খবর

Comments are closed.