ঢাকা-চট্টগ্রামে মহাসড়কের সীতাকুন্ড অংশ প্রতিদিন মরণ ফাঁদ 

কামরুল ইসলাম দুলু :  ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সীতাকুন্ড অংশ যেন প্রতিদিন মরণ ফাদেঁ পরিণত হয়েছে।গত বছরের ১ লা আগষ্ট এই রোডে সিএনজি অটোরিক্সা চলাচল বন্ধ করে দেয় সরকার। এরপর থেকে রাস্তা কিছুটা খালি পেয়ে বড় গাড়িগুলো যেন বেশি বেপরোয়া হয়ে পড়েছে, আর এই বেপরোয়ার কারণে ঢাকা-চট্টগ্রামের সীতাকুন্ড অংশে আশংকাজনক হারে বেড়েছে সড়ক দূর্ঘটনা। প্রতিদিনই বাড়ছে মৃত্যুর মিছিল।

থানা ও স্হানীয় সূত্রে জানা যায়,ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সীতাকুন্ড অংশে হটাৎ করেই সড়ক দূর্ঘটনা আশংকাজনকভাবে বেড়ে গেছ। প্রায় প্রতিদিনই উপজেলার কোন না কোন স্হানে গাড়ি চাপা,দুই গাড়ির মূখোমূখি সংঘর্ষ, গাড়ি উল্টে অথবা অন্য কোন ভাবে সংঘটিত সড়ক দূর্ঘটনায় অকালে প্রাণ হারাচ্ছে বহু মানুষ।

এসব ঘটনায় সংশ্লিষ্ট পরিবারগুলো প্রিয়জন হারিয়ে নি:স্ব হয়ে পড়লেও কোন প্রতিকার মিলছেনা। বরণ প্রতিদিনই নতুন নতুন দূর্ঘটনা ঘটেই চলেছে। এই দূর্ঘটনা ঘটছে বেশিরভাগ কভার্ডভ্যান ও আটারো চাকাওয়ালা লরীগুলোতে। এই রোডে এখন সিএনজি অটোরিক্সা না থাকায় বড় গাড়িগুলো বেপরোয়াভাবেই চলাচল করছে। এক পরিসংখ্যানে দেখা যায়, গত ২৪ মে থেকে ১১ জুন পর্যন্ত সীতাকুন্ড উপজেলার ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে প্রায় ১২ টির মতো সড়ক দূর্ঘটনা ঘটেছে। গত ১৭ দিনে সীতাকুন্ডের বিভিন্ন স্হানে সড়ক দূর্ঘটনায় কমপক্ষে ১৯ জন হতাহতের খবর পাওয়া গেছে। তারমধ্যে কয়েকটি ঘটনায় প্রাণ হানির না ঘটলেও আহতের পরিমাণ বেশী।

গত ১৫ দিনে সীতাকুন্ডের বিভিন্ন স্হানে সড়ক দূর্ঘটনায় ৭ জন নিহত হয়। বেশিরভাগ দূর্ঘটনার জন্য গাড়িগুলো আটক করা হয়েছে। কিন্তু দূর্ঘটনা কমেনি বরং তা বেড়েই চলেছে।

এ বিষয় বার আউলিয়ার হাইওয়ে থানার ওসি সালেহ আহম্মদ পাঠান বলেন, এই দূর্ঘটনার জন্য বেশিরভাগ দায়ী ড্রাইভারের অদক্ষতা, উল্টো পথে গাড়ি চালানো এবং দ্রুতগতিতে বেপরোয়াভাবে গাড়ি চলাচল।

এ বিভাগের আরও খবর

Comments are closed.