আজ মেট্রোরেলের নির্মাণকাজের উদ্বোধন

ঢাকা : রাজধানীর যানজট নিরসনে ম্যাস র‌্যাপিড ট্রানজিট (এমআরটি) বা মেট্রোরেল ও বাস র‌্যাপিড ট্রানজিটের (বিআরটি) নির্মাণ কাজের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

আজ (২৬ জুন) রোববার সকাল ১০টায় রাজধানীর বঙ্গবন্ধু সম্মেলন কেন্দ্র থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে এর নির্মাণকাজের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। এ সময় প্রকল্প দুটির ডিপো নির্মাণের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী।

বাস্তবায়নাধীন উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত এ মেট্রোরেলের দৈর্ঘ্য হবে ২০ দশমিক ১ কিলোমিটার।
এই প্রকল্পের আওতায় মোট ২৮ জোড়া মেট্রোরেল চলাচল করবে রাজধানীতে। রাস্তার মাঝ বরাবর উপর দিয়ে উত্তরা থেকে শুরু হয়ে মিরপুর-ফার্মগেট হয়ে মতিঝিল পর্যন্ত যাবে এই মেট্রোরেল। সময় লাগবে ৪০ মিনিটেরও কম। প্রতি চার মিনিট পরপর এক হাজার ৮০০ যাত্রী নিয়ে ছুটে চলবে মেট্রোরেল, ঘণ্টায় চলাচল করবে প্রায় ৬০ হাজার যাত্রী।

অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী তার বক্তব্যে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের প্রকল্পটি ফার্মগেট পর্যন্ত সম্প্রসারণের অনুরোধ জানান। এ সময় তিনি বলেন, এ প্রকল্পের কাজ ২০১৯ সালের মধ্যে সম্পন্ন করতে হবে। ঢাকার মানুষ যেন আধুনিক এ যোগাযোগের সুবিধা দ্রুত পায় সে জন্য সড়ক ও সেতুমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ঢাকার চারদিকে বৃত্তাকার সড়ক-নৌ ও রেলপথ নির্মাণের পরিকল্পনা নেয়া হচ্ছে। একটি আধুনিক নগরীর যোগাযোগব্যবস্থা গড়ে তুলতে এসব ব্যবস্থা নিচ্ছে সরকার। পাশাপাশি নগরীর অভ্যন্তরে যোগাযোগব্যবস্থা দ্রুততর করতে ফ্লাইওভারসহ বেশকিছু যোগাযোগ অবকাঠামো গড়ে তোলা হচ্ছে, যা বাস্তবায়িত হলে মহানগরীতে চলাচলে কষ্ট লাঘব হবে যাত্রীদের।
মেট্রোরেল চালু হলে ঘণ্টায় উভয়দিক থেকে ৬০ হাজার যাত্রী পরিবহন করা যাবে। আর বাস্তবায়নাধীন বিআরটিএ লাইন দিয়ে গাজীপুর থেকে এয়ারপোর্ট সড়কে ঘণ্টায় ২৫ হাজার যাত্রী পরিবহন সম্ভব হবে।

মেট্রোরেল প্রকল্প বাস্তবায়নে প্রায় ২২ হাজার কোটি টাকা লাগবে, যার ১৬ হাজার ৫৯৫ কোটি টাকা দেবে জাপানের আন্তার্জাতিক সাহায্য সংস্থা জাইকা। বাকি ৫ হাজার ৩৯০ কোটি টাকা জোগাবে সরকার। ২০১৩ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি এমআরটি লাইন-৬ প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য জাইকার সঙ্গে চুক্তি সই করেছে সরকার।

মেট্রোরেলের ১৬টি স্টেশন হবে উত্তরা (উত্তর), উত্তরা (সেন্টার), উত্তরা (দক্ষিণ), পল্লবী, মিরপুর ১১, মিরপুর-১০ নম্বর, কাজীপাড়া, তালতলা, আগারগাঁও, বিজয় সরণি, ফার্মগেইট, সোনারগাঁও, জাতীয় জাদুঘর, দোয়েল চত্বর, জাতীয় স্টেডিয়াম এবং বাংলাদেশ ব্যাংক এলাকায়।

এ বিভাগের আরও খবর

Comments are closed.