রামগড় পার্বত্য চট্রগ্রামের দ্বিতীয় মহকুমা

শ্যামল রুদ্র, রামগড়(খাগড়াছড়ি)  : পুরোনো শহর রামগড় পার্বত্য চট্রগ্রামের দ্বিতীয় মহকুমা। ‘২০সালে প্রতিষ্ঠিত এ শহরের ব্যাপ্তি ভারতের ত্রিপুরা সীমান্ত ঘেঁষে। একসময় যে শহর সৌন্দর্যের জন্য পর্যটকদের কাছে কাঙ্খিত ছিল, ক্রমেই তা জৌলুস হারিয়ে এখন কেবলই এক ছোট উপজেলা শহর। তারপরও কালের সাক্ষী হয়ে এখনো অক্ষুন্ন অবস্থানে দাঁড়িয়ে আছে ঐতিহ্যের ধারক মহামুনি বৌদ্ধ বিহার, রামগড় চা বাগানের ৫০ একর আয়তনের পুরোনো দিঘি, মানিকছড়ির রাজবাড়ি, বোটানিক্যাল গার্ডেন। আর আছে লাচাড়ি পাড়া সীমান্তের মনকাড়া রুপ।
উত্তর দিক থেকে পার্বত্যাঞ্চলে প্রবেশের একমাত্র রুট রামগড় হয়েই পার্বত্য চট্রগ্রামের সীমানা শুরু।

প্রতিবছর উল্লেখযোগ্য সংখ্যক পর্যটক রামগড়ে আসেন। রামগড় শহর থেকে পাঁচ কিলোমিটার পশ্চিমে আছে চা বাগান। প্রায় ১৪০০ একরের এই বাগানটি বাংলাদেশের অন্যতম বাগান। এখানকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ৫০ একর আয়তনের দিঘি, চা উৎপাদন প্রক্রিয়া এবং চা শ্রমিকদের কৃষ্টি ও সংস্কৃতির সাথে পরিচিতি হওয়াটাও রামগড় ভ্রমনের অনিবার্য অংশ। চা শ্রমিকদের আদিবাস ভারতের আসাম, ত্রিপুরা, মেঘালয়, মনিপুরসহ বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যে। ব্রিটিশ সরকার তাদের এখানে নিয়ে আসে কয়েক শতাব্দী আগে। সে থেকে এখানেই তাদের বেড়ে ওঠা। যুগ যুগ ধরে নিজস্ব সংস্কৃতি নিয়ে কোন রকমে টিকে আছে। তবে তাদের জীবনযাত্রারমান খুবই নিম্ম। বলা যায়, দু:খেই তাদের জীবন গড়া।

খাগড়াছড়ি যাওয়ার পথে মানিকছড়ির রাজবাড়ি এবং পর্যটন কেন্দ্র আলুটিলা পর্যটকদের অন্যতম আকর্ষণ। আলুটিলার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য সত্যিই মুগ্ধ করার মতো। ভ্রমণ পিপাসুদের কাছে মানিকছড়ির মং রাজবাড়ি অন্যতম দর্শনীয় স্থান। আলুটিলার সুড়ঙ্গপথ এক বিরাট রহস্য। পাহাড়ের ভেতর গুড়া। সে গুড়ায় একদিকে প্রবেশ করে অন্যদিক দিয়ে বের হওয়া যায়। যুগপৎ রোমাঞ্চিত ও বিজরিত হওয়ার মতোই ব্যাপার। খাগড়াছড়ির রহস্যাবৃত আরেকগুহা হচ্ছে আলুটিলা সুড়ঙ্গপথ।

কিভাবে যাবেন: ঢাকা ও চট্রগ্রাম থেকে রামগড় ও খাগড়াছড়ি যাওয়ার সরাসরি কোচ সার্ভিস রয়েছে। রামগড় থেকে সহজেই খাগড়াছড়ি যাওয়া যায়। থাকার ব্যবস্থাও রয়েছে রামগড় ও খাগড়াছড়িতে। ব্যাক্তিমালিকানাধীন বেশ কয়েকটি বোর্ডিং ও আবাসিক হোটেল ছাড়াও পূর্বানুমতিসাপেক্ষে সরকারি রেস্ট হাউসে রত্রিযাপন করা যায়।

এ বিভাগের আরও খবর

Comments are closed.