র‌্যাবের নিখোঁজ তালিকার কয়েকজনের সন্ধান

 

ঢাকা : সাম্প্রতিক ঘরছাড়া তরুণদের জঙ্গি হামলায় জড়িত থাকার তথ্য প্রকাশের পর সারাদেশে নিখোঁজ আড়াই শতাধিক ব্যক্তির যে তালিকা র‌্যাব দিয়েছে, তার মধ্যে একজন কারাগারে, একজন কর্মস্থলে এবং আরো আটজন নিখোঁজ হলেও পরে উদ্ধার হয়েছেন বলে অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে।

মঙ্গলবার র‌্যাবের দেয়া ওই তালিকায় ২১৫ নম্বর ক্রমিকে থাকা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র মো. রহমতুল্লাহ রাজশাহীর কারাগারে রয়েছেন বলে স্থানীয় পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে। অন্যদিকে তালিকার ১ নম্বর ক্রমিকে থাকা বগুড়ার ধুনট উপজেলার সাইদুল ইসলাম ঢাকায় তার কর্মস্থলে রয়েছেন বলে জানিয়েছেন। আটজন ফেনীতে নিখোঁজ হওয়ার পর থানায় জিডি হলেও পরে তাদের উদ্ধার করা হয় বলে স্থানীয় পুলিশ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রপ সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী রহমতুল্লাহ নীলফামারী জেলার কিশোরগঞ্জ উপজলোর মাগুরা গ্রামের মোসলেম উদ্দিনের ছেলে।

১৪ মে রাতে নগরীর মতিহার থানায় রহমতুল্লাহর নিখোঁজ হওয়ার তথ্য জানিয়ে একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছিলেন ক্রপ সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক নুরুল আলম। জিডিতে তিনি বলেছিলেন, ১৩ মে সন্ধ্যায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অসুস্থ এক স্বজনকে দেখতে যাওয়ার কথা বলে হল থেকে বের হয়ে যান রহমতুল্লাহ। রাতে তিনি আর হলে ফেরেননি। এর পর থেকে তার মোবাইল ফোনও বন্ধ। বিশ্ববিদ্যালয়ের মাদার বখ্শ হলের ১০৭ নম্বর কক্ষের আবাসিক শিক্ষার্থী রহমতুল্লাহকে নিয়ে জিডি দায়ের করার তিন দিন পর ১৭ মে শিক্ষক রেজাউল হত্যা মামলার তদন্তের অগ্রগতি জানাতে গিয়ে তৎকালীন মহানগর পুলিশ কমিশনার মো. শামসুদ্দিন এই শিক্ষার্থীকে গ্রেফতারের বিষয়টি জানান।

বগুড়ার ধুনট উপজেলার মাধবডাঙ্গার মৃত হায়দার আলীর ছেলে সাইদুল ইসলাম বলেন, স্থানীয় সন্ত্রাসীরা তাকে ধরে নিয়ে গেলে ১৪ জুন তার স্ত্রী হোসনে আরা বনানী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছিলেন। তবে দুই দিন পরেই সন্ত্রাসীরা তাকে ছেড়ে দেয়। তিনি বলেন, খবর পেয়ে বনানী থানায় গিয়ে আজ সাধারণ ডায়েরি প্রত্যাহার করে নেই। আমি এখনো আমার কর্মস্থল পল্টনের ব্যাংক এশিয়ায় পিয়ন হিসেবে কর্মরত আছি।

ধুনট থানার ওসি মিজানুর রহমান বলেন, র‌্যাবের নিখোঁজের তালিকায় থাকা সাইদুলের অবস্থান তারা জানতে পেরেছেন। বগুড়ার নিখোঁজদের তালিকায় গাবতলী থানার তেলিহারা গ্রামের সুজন নামে একটি নাম রয়েছে। তিনি ২০১৬ সালের ২৮ মার্চ থেকে নিখোঁজ বলে তালিকায় জানানো হয়।

গাবতলী থানার ওসি শাহীদ মাহমুদ খান বলেন, সুজন নামের ১২টি পরিবারের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তাদের কেউ নিখোঁজ নেই। তার পরও খোঁজ নেয়া হচ্ছে। এই বিষয়ে জানতে চাইলে র‌্যাবের মুখপাত্র মুফতি মাহমুদ খান বলেন, আমরা আসলে নিখোঁজের এই তালিকা তৈরি করেছি বিভিন্ন থানা থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে। এখন যদি কেউ ফেরত আসে কিংবা কারো সন্ধান পাওয়া যায়, তা জেনে আমরা সংশ্লিষ্ট থানায় যোগাযোগ করে তালিকা হালনাগাদ করব।

এ বিভাগের আরও খবর

Comments are closed.