২০৩৫ সালে মঙ্গল গ্রহে মানুষ পাঠাতে বদ্ধপরিকর নাসা

0
স্টাফ রিপোর্টারঃ-  ২০৩৫ সালে মঙ্গল গ্রহে মানুষ পাঠাতে বদ্ধপরিকর নাসা। আমাদের প্রতিবেশী গ্রহে প্রথমবারের মতো মানুষের পায়ের ছাপ ফেলতে বিশাল আয়োজন রয়েছে তাদের। মানুষ বহনকারী বিশাল একটি সুপারসনিক মহাকাশযান তৈরি করেছে তারা। এর পরীক্ষামূলক উড্ডয়নের পরিকল্পনা আজকের তারিখে হলেও তা বাতিল হয়েছে। কারণ হিসাবে সমুদ্রের বৈরী আবহাওয়ার কথা তুলে ধরেছে নাসা।মঙ্গলে মানুষ পাঠানোর জন্যে এক বিশাল সুপারসনিক ‘লো-ডেনসিটি ডেসিলেরাটোর স্পেসক্রাফট (এলডিএসডি)’ তৈরী করা হয়েছে। নাসায় এর আগে এত বড় যান আর বানানো হয়নি। দেখতে হুবহু ফ্লাইং সসারের মতো। এটি নিয়েই অদূর ভবিষ্যতে মঙ্গলে পৌঁছাবে মানুষ।

এখন এই যানটি যেন ঠিকমতো উড়াল দেয়, তা অতি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। ইউএস নেভির কুনাইয়ের প্যাসিফিক মিসাইল রেঞ্জ ফ্যাসিলিটি থেকে ফ্লাইং সসারটি আজ পরীক্ষামূলকভাবে উড়ার কথা ছিল। কিন্তু সমুদ্রের বৈরি আবহাওয়ার কারণে সম্ভব হয়নি।

প্রথমে যানটিকে পৃথিবীর বায়ুস্তরের অনেক ওপরে নিয়ে যাবে একটি বেলুন। তারপর সেখান থেকে উড়বে তা। যদি  আগামীকালও আবহাওয়া বৈরি থাকে, তবে ১২ জুন এলডিএসডি পরীক্ষামূলকভাবে উড়াল দিতে পারে।

নাসার এই দানবীয় ফ্লাইং সসারে চেপে মঙ্গলে যাবে মানুষ (ভিডিওসহ)

এলডিএসডি তৈরি করা হয়েছে একেবারে নতুন প্রযুক্তিতে। এর দুটো অংশ কল্পনাকে ছাড়িয়েছে। প্রথমত, দেহটিকে ফ্লাইং সসারের আকৃতি দেওয়া হয়েছে। দ্বিতীয়ত, একে প্রচণ্ড গতিতে উৎক্ষেপণের জন্যে ‘ব্লো-আপ টিউব’ বানানো হয়েছে যার নাম ‘সুপারসনিক ইনফ্ল্যাটাবল অ্যারোডাইনামিক ডেসিলিরাটোর (এসআইএডি)।

২০১৪ সালে পরীক্ষমূলক আরেকটি উড্ডয়নে একে ১ লাখ ২০ হাজার ফুট ওপরে নেওয়া হয়। সেখানকার বায়ুস্তর ছিল একেবারে পাতলা। মঙ্গলে বায়ুস্তর অনেকটা এমন। শব্দের গতির দ্বিগুণ বেগে ছুটতে পারে সসারটি।  ওই উড্ডয়নের ডায়াগ্রামটা দেখে নিন।
নাসার এই দানবীয় ফ্লাইং সসারে চেপে মঙ্গলে যাবে মানুষ (ভিডিওসহ)

সসারটি তৈরি করা হয়েছে দারুণ শক্তিশালী ধাতু দিয়ে। ঘণ্টায় দেড় হাজার থেকে আড়াই হাজারের বেশি মাইল বেগে ছুটলেও এই ধাতুর কিছু হবে না।

দ্বিতীয় পরীক্ষায় উড্ডয়ন সফল হলে বহুদূর এগিয়ে যাবে এ পরীকল্পনা। এখন শুধু অপেক্ষার পালা।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.