চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন জাতীয় শোক দিবসে মানবপ্রাচীর সহ নানা কর্মসূচি পালন

0

সিটিনিউজবিডি :   জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর রক্তে রঞ্জিত ১৫ আগষ্ট। জাতির রক্তঋন শোধের দিন। জাতীয় শোক দিবস ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ৪১ তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষ্যে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন ‘শোকের শক্তিতে রুখো সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদ’ এ স্লোগানে নগরীর ৪০ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে লক্ষাধিক জনতার মানবপ্রাচীর কর্মসূচি পালন করে। সকাল সাড়ে ৯ টা থেকে সকাল সাড়ে ১০ টা পর্যন্ত ১ ঘন্টার মানবপ্রাচীর চট্টগ্রাম নগরীর শাহ আমানত ব্রীজ বশিরুজ্জামান চত্বর থেকে বহদ্দারহাট, মুরাদপুর, সিডিএ এভিনিউ, শেখ মুজিব রোড, এম এ আজিজ রোড হয়ে কাটগড় কামাল আতাতুর্ক এভিনিউ পর্যন্ত।

এ ছাড়াও দেওয়ানহাট থেকে অলংকার, ষোলশহর ২নং গেইট থেকে বায়েজিদ বোস্তামী রোড হয়ে অক্সিজেন এবং বহদ্দারহাট থেকে কাপ্তাই রাস্তার মাথা পর্যন্ত প্রায় ৪০ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে প্রচন্ড গরম উপেক্ষা করে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন পরিচালিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষাথীর্, চসিকের ৮ হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারী সহ নগরীর বিভিন্ন স্তরের জনগন অংশ গ্রহণ করে। মানবপ্রাচীর কর্মসূচিতে সাংসদ ও সাবেক মন্ত্রী ডা. মো. আফছারুল আমীন, সাংসদ আলহাজ্ব এম. আবদুল লতিফ তাদের নির্বাচনী এলাকায় চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন আয়োজিত মানবপ্রাচীরে নেতৃত্ব দেন। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের ৪১টি ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলরগণ তাদের নির্ধারিত স্থানে মানববন্ধনে নেতৃত্ব দেন।

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আলহাজ্ব আ জ ম নাছির উদ্দীন শাহ আমানত ব্রীজ থেকে নগরীর বিভিন্ন সড়কের মানবপ্রাচীরে অংশ গ্রহণকারীদের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় শেষে টাইগার পাস এলাকায় এসে মানবপ্রাচীর কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে সমাপনী ঘোষনা করেন। বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথম বারের মত চট্টগ্রামে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আলহাজ্ব আ জ ম নাছির উদ্দীনের নেতৃত্বে এবং আহবানে ঐতিহাসিক এ মানবপ্রাচীর অনুষ্ঠিত হয়। সমাপনী কর্মসূচিতে সিটি মেয়র আলহাজ্ব আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলায় জঙ্গীবাদ ও সন্ত্রাসবাদ আস্তানা গাড়তে পারবে না। তিনি বলেন, চট্টগ্রাম শান্তি ও নিরাপদ এলাকা। চট্টগ্রামে অলি আউলিয়াদের পূন্যভূমি।

এ চট্টগ্রামে জঙ্গী ও সন্ত্রাসীদের কোন স্থান নেই। জনাব আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, চট্টগ্রামবাসী ধর্মপ্রাণ, সহজ সরল প্রকৃতির মানুষ। এখানে ধর্ম-বর্ণ-সম্প্রদায়-দল-মত নির্বিশেষে সকলে মিলেমিশে শান্তিতে সৌহার্দপূর্ণ পরিবেশে স্ব স্ব ধর্ম-কর্ম পালন করে যাচ্ছে। সিটি মেয়র বলেন, ১৯৭১ সনের মহান মুক্তিযুদ্ধ চট্টগ্রাম থেকে শুরু হয়। চট্টগ্রাম থেকে বাংলার স্বাধীনতা’র ঘোষনা বঙ্গবন্ধুর পক্ষে ঘোষিত হয়। মেয়র স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের কিছু অংশ তুলে ধরে বলেন, চট্টগ্রামের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র থেমে নেই।

সকল ষড়যন্ত্রের দাঁত ভাঙ্গা জবাব চট্টগ্রামবাসী দিতে প্রস্তুত আছে। জনাব আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, জাতির পিতার রক্তঋন পরিশোধে বাংলার মানুষ ১৯৭৫ সন থেকে প্রতিবাদ করে আসছে। প্রসঙ্গক্রমে তিনি বলেন, বর্তমানেও যারা যারা চট্টগ্রামের উন্নয়নে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করতে চাচ্ছে তাদেরকেও প্রতিহত করেই চট্টগ্রামের উন্নয়ন এগিয়ে নেব। আজ ১৫ আগষ্ট ২০১৬ খ্রি. সোমবার, জাতীয় শোক দিবস ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এঁর ৪১ তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে ভোরে নগর ভবনে বঙ্গবন্ধু চত্বরে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পন করেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আলহাজ্ব আ জ ম নাছির উদ্দীন।

দুপুরে নগর ভবনের কে বি আবদুচ ছত্তার মিলনায়তনে খতমে কোরআন, মিলাদ মাহফিল ও বিশেষ মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়। মোনাজাত শেষে এতিমদের মাঝে তবারুক বিতরন করা হয়। এ সকল কর্মসূচিতে প্যানেল মেয়র চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনী, মিসেস জোবাইরা নার্গিস খান, জাতীয় শোক দিবস উদযাপন কমিটির আহবায়ক কাউন্সিলর নাজমুল হক ডিউক, ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবুল হোসেন, প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা মিসেস নাজিয়া শিরিন, প্রধান প্রকৌশলী লে. কর্ণেল মহিউদ্দিন আহমেদ, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মোহাম্মদ মঞ্জুরুল ইসলাম, সিটি ম্যাজিস্ট্রেট সনজিদা শারমিন সহ সাধারণ ও সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর, চসিকের বিভাগীয় ও শাখা প্রধান সহ সর্বস্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ। মিলাদ মোনাজাত পরিচালনা করেন মাওলানা হারুন অর রশিদ।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.