চট্টগ্রামে বিশুদ্ধ পানির মহাসঙ্কট

0

গোলাম সরওয়ার :  চট্টগ্রামে প্রচন্ড গরমে দির্ঘ দিন ধরে পানির সমস্যায় কষ্ঠ পাচ্ছে  নগরবাসী ।নগরবাসীর সমস্যা সমাধানে কর্তৃপক্ষ  নেই কোন উদ্যেগ। বিশুদ্ধ পানির অভাবে  হাহাকার করছে নগরবাসী । ওয়াসার ৯৬টি গভীর নলকূপ থেকে পানির স্তর অর্ধেক নেমে যাওয়ায় নগরজুড়ে চলছে পানির হাহাকার।

১৯৬৩ সালে চট্টগ্রাম ওয়াসা প্রতিষ্ঠা লাভের পর ১৯৮৭ সালে হালদা নদীর পানি পরিশোধনের মাধ্যমে মোহরা পানি শোধনাগার প্রকল্প স্থাপনের পর আর কোনো প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে পারেনি প্রতিষ্ঠানটি। সম্প্রতি কর্ণফুলী পানি সরবরাহ প্রকল্পের কাজ চলছে। মোহরা প্রকল্পের পাশাপাশি নগরীতে ৯৬টি নলকূপের মাধ্যমে নগরবাসীর চাহিদার মাত্র এক তৃতীয়াংশ পানি সরবরাহ করছে ওয়াসা।

চট্টগ্রাম ওয়াসা কর্তৃপক্ষ বলছে, সংকট নিরসনে পুরনো গভীর নলকূপগুলো সংস্কারের পাশাপাশি নতুন নলকূল বাসানোর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। দীর্ঘদিন বৃষ্টি না হওয়ার কারনে এই অবস্থা বিরাজ করছে বলে জানান কর্মকর্তারা।

গভীর নলকূপ থেকে পানি উৎপাদন কমে যাওয়ায় চট্টগ্রাম ওয়াসার এখন প্রতিদিন পানি উৎপাদনের পরিমাণ  দাঁড়িয়েছে মাত্র ১৫ থেকে ১৬ কোটি লিটার। আগে বেশির ভাগ পানি উৎপাদিত হতো গভীর নলকূপ থেকে।

নগরীতে দৈনিক ৬৬ কোটি লিটার পানির চাহিদা রয়েছে। যার বিপরীতে ওয়াসা দৈনিক গড়ে ২১ থেকে ২২ কোটি লিটার পানি উৎপাদন করে। কিন্তু গত এক বছর ধরে ওয়াসা ৫ কোটি লিটার পানি কম উৎপাদন করছে। এর ফলে পানি সঙ্কটে পড়ছে নগরবাসী।

জানা গেছে, নগরীর জামাল খান, মোমিন রোড, আন্দরকিল্লা, দেওয়ানবাজার, জুবিলি রোড, এনায়েত বাজার, মেহেদীবাগ, ষোলশহর, শোলকবহর, মুরাদপুর, চকবাজার, বাকলিয়া, চাক্তাই, বহদ্দারহাট, আগ্রাবাদ, মাদারবাড়ি, কদমতলী, পাথরঘাটা, পাহাড়তলী, ডবলমুরিং, ইপিজেড, পতেঙ্গা, আগ্রাবাদ সিডিএ, হালিশহর প্রভৃতি এলাকায় বিশুদ্ধ পানির সংকট তীব্র থেকে তীব্রতর হয়ে উঠেছে। এসব এলাকার বাসিন্দাকে ওয়াসা স্থাপিত বিভিন্ন ডিপ টিউবওয়েল থেকে পানি সংগ্রহ করতে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়াতে হচ্ছে।

চট্টগ্রাম ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী একেএম ফজলুল্লাহ সিটিনিউজবিডিকে বলেন, বৈদ্যুতিক লোডশেডিংয়ের কারণে পানি উত্তোলন করতে না পারায় পানি সঙ্কট সৃষ্টি হচ্ছে। প্রচন্ড খরায় গভীর নলকূপগুলোর পানির স্তর কিছুটা নিচে নেমে যাওয়ায় পানি উৎপাদন কম হচ্ছে। পরিস্থিতি মোকাবেলায় আমরা নতুন নলকূপ বসাচ্ছি। পাশাপাশি পুরনো নলকূপগুলো সংস্কার করছি।’

‘বর্তমানে প্রোডাকশন কম ও গরমের কারণে পানির ব্যবহার বেড়ে যাওয়ায় পানির সংকট বেড়েছে। এতদিন রেশনিং করে কোনরকমে চালালেও এখন সব জায়গায় পানি সরবরাহ করা কঠিন হয়ে পড়েছে। পানির সরবরাহ লাইনের শুরুর দিকে বেশী পানি টেনে ফেলায় লাইনের শেষ দিকে গিয়ে পানি পাচ্ছেন না নগরবাসী।’

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.