বাঁশখালীতে নাশকতা মামলার আসামীসহ ৬ জলদস্যু আটক

0

বাঁশখালী প্রতিনিধি : বাঁশখালী থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে নাশকতা মামলার আসামীসহ ৬ জলদস্যুকে গ্রেফতার করেছে। এদিকে জলদস্যুদের হামলায় গুলিবিদ্ধ ১ জনকে আশংকাজনক অবস্থায় চমেক হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। এদিকে জলদস্যুদের হামলায় গুলিবিদ্ধসহ আরো বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে বলে জেলে সূত্রে জানা যায়।

পুলিশ আটক জলদস্যুদের নিয়ে প্রত্যন্ত এলাকায় অভিযান পরিচালনা করছিল। আটক নাশকতা মামলার আসামী ও জলদস্যুদের গ্রেফতার বিষয়টি স্বীকার করে অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ আলমগীর হোসেন জানান, এলাকাবাসীর সহযোগিতায় সাগরের চি‎হ্নিত ৬ জলদস্যুকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পাশাপাশি নিত্যদিনের অভিযানে উপজেলা পরিষদ পোঁড়ানোসহ একাধিক নাশকতা মামলার আসামী মোঃ সেলিম (২৮)কেও গ্রেফতার করা হয়েছে। তাছাড়া নিয়মিত অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বঙ্গোপসাগর উপকূলবেষ্টিত এলাকা খানখানাবাদ ইউনিয়নের সাগর এলাকার শঙ্খ মোহনায় সোমবার গভীর রাতে জেলেদের ফিশিং বোটে ডাকাত দল হানা দেয়। ফিশিং বোটে ডাকাত দলের হামলার খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে এলাকাবাসী ডাকাত প্রতিরোধে এগিয়ে আসেন। গ্রামীবাসীর উপস্থিতি টের পেয়ে জলদস্যুরা গুলি ছুঁড়ে। তাদের গুলিতে মোঃ রাজীব (১৮) নামে এক জেলে গুরুতর আহত হয়ে চমেক হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। এক পর্যায়ে এলাকাবাসী ডাকাতদলকে চতুর্দিক থেকে ঘিরে ফেলে।

আটককৃতরা হলেন, বাঁশখালীর গন্ডামারা ইউনিয়নের বড়ঘোনা গ্রামের ছৈয়দুল আলমের পুত্র মোঃ শাহাদত (৩০), ভেট্টার পুত্র প্রঃ আরজু (২০), আবদুল কাদেরের পুত্র আবদুল্লাহ (২০), কবির আহমদের পুত্র আলমগীর (২২), বাদশা মিয়ার পুত্র ইয়াছিন (২৫), তাছাড়া তাদের সঙ্গে থাকা এক কায়ছার (১২) নামে এক কিশোর নিয়ে আসা হয়। তবে ওই কিশোর ফিশিং বোটটিতে মাসিক মাসুয়ারা হারে চাকুরী করত বলে জানা যায়। এদিকে থানা পুলিশের ধারাবাহিক অভিযানে বৈলছড়ি ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের আবু তাহেরের পুত্র মোঃ সেলিমকে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ও রায়কে কেন্দ্র করে উপজেলা সদরসহ সংঘটিত ঘটনায় একাধিক নাশকতা ঘটনার সম্পৃক্ততার অভিযোগে গ্রেফতার করেছে। তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে বলেও থানা পুলিশ জানায়।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.