সিটিনিউজবিডি : চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলায় ডাই অ্যামোনিয়াম ফসফেট (ডিএপি) সার কারখানায় ট্যাঙ্ক ফেটে অ্যামোনিয়া গ্যাস ছড়ানোর কারণ ও ক্ষয়ক্ষতি নির্ধারণে একটি ‘কারিগরি তদন্ত কমিটি’ গঠন করেছে বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশন (বিসিআইসি)।
মঙ্গলবার দুপুরে ডিএপি-১ এর ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে সংলগ্ন সিইউএফএলের রেস্ট হাউজে সাংবাদিকদের বিসিআইসির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ইকবাল বলেন, কমিটিকে তিনদিনের মধ্যে তার কাছে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
সোমবার রাত ১০টার দিকে কর্ণফুলী নদী তীরবর্তী চিটাগাং ইউরিয়া ফার্টিলাইজার কোম্পানি লিমিটেড (সিইউএফএল) সংলগ্ন ডাই অ্যামোনিয়াম ফসফেট (ডিএপি) সার কারখানায় ওই দুর্ঘটনা ঘটে।
বিসিআইসির অধীন ড্যাপ নামে পরিচিত কারখানাটির এক নম্বর ইউনিটের ৫০০ মেট্রিক টন অ্যামোনিয়া গ্যাস ধারণ ক্ষমতার ট্যাঙ্কে ৩০০ মেট্রিক টনের মতো গ্যাস ভরার পর সেটি ফেটে গ্যাস ছড়িয়ে পড়ে।
ছড়িয়ে পড়া গ্যাসের প্রভাবে অসুস্থ হয়ে পড়া মোট ৫২ জনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ভর্তি করা হয়।
ঘটনার পর রাতেই চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসকের নির্দেশে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মমিনুর রশিদকে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি করা হয়।
ওই কমিটি এরই মধ্যে কাজ শুরু করেছে বলে জেলা প্রশাসক মেজবাহ উদ্দিন জানিয়েছেন।
বিসিআইসির ১০ সদস্যের কারিগরি তদন্ত কমিটি দুর্ঘটনার কারণ, ক্ষয়ক্ষতি ও দায়-দায়িত্ব নির্ধারণ করবে জানিয়ে চেয়ারম্যান ইকবাল বলেন, এর পাশাপাশি ডিএপি-১ ও ডিএপি-২ এ অন্য তিনটি ইউনিট বর্তমান অবস্থায় কোনো ঝুঁকিতে আছে কি না তাও নির্ধারণ করবে এবং ভবিষ্যতে যাতে দুর্ঘটনা না ঘটে সেজন্য সুনির্দিষ্ট সুপারিশ করবে।
কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে বিসিআইসির পরিচালক (কারিগরি ও প্রকৌশলী) আলী আক্কাসকে। সদস্য সচিব সিইউএফএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আবু তাহের ভুঁইয়া।
কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন কাফকোর প্রাক্তন পরিচালক মো. সাবের আলী, বুয়েটের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক ড. এ কে এম এ কাদের, কাফকোর সিওও শেখ শফি আহমদ, বুয়েটের কেমি-কৌশল বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ড. এম এ এ শওকত চৌধুরী, সিইউএফএলের সাবেক এমডি বজলুর রহমান খান। এছাড়াও কমিটিতে পরিবেশ অধিদপ্তর, ফায়ার সার্ভিস ও জেলা প্রশাসনের একজন করে প্রতিনিধি থাকবে।