পটিয়ায় বেতন বঞ্চিত প্রাথমিক শিক্ষকদের ক্ষোভ

0

পটিয়া প্রতিনিধি : পটিয়া উপজেলায় কর্মরত অধিকাংশ প্রাথমিক শিক্ষক এখনো জুলাই মাসের বেতন পাননি। ফলে তারা ২৮ আগস্ট (রোববার) উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে জড়ো হয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোতাহার বিল্লাহ সন্তোষজনক কোন উত্তর দিতে না পারায় শিক্ষকরা বাধ্য হয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ আবুল হাশেম এর স্মরণাপন্ন হলে তাঁর আশ্বাসের প্রেক্ষিতে শিক্ষকরা আপাতত শান্ত হয়ে ফিরে আসেন।
সরেজমিনে দেখা গেছে প্রায় দু’শতাধিক শিক্ষক উপজেলা শিক্ষা অফিসে বিকাল ৫টার দিকে জড়ো হয়ে শিক্ষা কর্মকর্তা মোতাহার বিল্লাহর কাছে তাদের বেতন না হওয়ার কারণ জানতে চান। তিনি ট্রেজারী অফিসের উপর দোষ চাপিয়ে বিষয়টির কোন সুরাহা করার আগ্রহ না দেখায় শিক্ষকরা বাধ্য হয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের স্মরণাপন্ন হলে তিনি শিক্ষা কর্মকর্তা এবং ট্রেজারী কর্মকর্তা উভয়কে ডেকে আগামী রোববারের মধ্যে শিক্ষকদের সকল পাওনা পরিশোধের নির্দেশনা প্রদান করেন। তাঁর আশ্বাসের প্রেক্ষিতে শিক্ষকরা স্বস্তি নিয়ে ফিরে আসেন বলে জানা গেছে।
শিক্ষকদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, সারাদেশের শিক্ষকরা নতুন উন্নীত বেতন স্কেলে বেতন ভাতাসহ সকল বকেয়াদি পেলেও একমাত্র পটিয়া উপজেলার শিক্ষকরা এখন পর্যন্ত নতুন উন্নীত বেতন স্কেলের বকেয়াদি পায়নি। শিক্ষা কর্মকর্তা ও অফিস কর্মচারীদের অবহেলা এবং অদক্ষতার কারণে এ সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে বলে শিক্ষকদের দাবী। বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন অজুহাতে ট্রেজারী অফিসের কথা বলে শিক্ষকদের বেতন ভাতাদি নিয়মিত করার কথা বলে নির্দিষ্ট হারে অবৈধ ঘুষ দিতে হয় বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক শিক্ষক জানান। তারা বলেন, পটিয়া উপজেলা শিক্ষা অফিসে ঘুষ ছাড়া কোন কাজ হয়না।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার শিক্ষকদের নিয়মিত বেতন ও বকেয়া পাওনা পরিশোধ না হওয়ার কারণ জানতে চাইলে শিক্ষা কর্মকর্তা ট্রেজারী অফিসের সমস্যার কথা বলেন। কিন্তু বৈঠকে উপস্থিত ট্রেজারী অফিসার শিক্ষা অফিসের অযোগ্যতা, অদক্ষতা ও ব্যর্থতা বলে অভিমত ব্যক্ত করেন।এই পরিস্থিতিতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার উভয় অফিসকে সমন্বয় করে আগামী রোববারের মধ্যে শিক্ষকদের সকল বকেয়া পরিশোধের নির্দেশ দেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চট্টগ্রামের প্রতিটি উপজেলার শিক্ষকরা ইতোমধ্যে নতুন বেতন স্কেলের সকল পাওনা ইতোমধ্যে পেয়ে গেছেন। শুধুমাত্র পটিয়া উপজেলার শিক্ষকরা এখনো তা পাননি বলে জানা গেছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোতাহার বিল্লাহ পরে কথা বলবেন বলে বিষয়টি এড়িয়ে যান।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.