সিটিনিউজবিডি : যুদ্ধাপরাধী মীর কাশেম আলীসহ সকল যুদ্ধাপরাধীর ফাঁসির দন্ড কার্যকরের বিষয়ে পাকিস্তানের বিরূপ মন্তব্যের প্রতিবাদে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট চট্টগ্রাম জেলার উদ্যোগে প্রতিবাদ সমাবেশ আন্দরকিল্লাস্থ নগরভবনের সম্মুখে সংগঠনের সহ সভাপতি লিটন রায় চৌধুরী’র সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক খোরশেদ আলমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সমাবেশে সিটি মেয়র আলহাজ্ব আ জ ম নাছির উদ্দীন ঘৃণ্য মানবতা বিরোধী অপরাধীর পক্ষে পাকিস্তানের বিবৃতিকে চরম অসভ্যতা উল্লেখ করে বলেন, পাকিস্তানের এই বিবৃতি স্পষ্টভাবে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ এবং ভিয়েনা কনভেনশন লঙ্ঘন। তিনি বলেন,“আন্তর্জাতিক নীতি হচ্ছে কোন অবস্থাতেই অন্যদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে অন্য কোন দেশ কোন ধরণের মন্তব্য করবে না”। স্বাধীন-সার্বভৌমত্ব দেশ হিসেবে অপরাধীদের বিচারের আওতায় নিয়ে আসার অধিকার রয়েছে বাংলাদেশের। পাকিস্তান বাংলাদেশের আভ্যন্তরীণ বিচারের বিষয়ে আপত্তিকর বিবৃতি দিয়ে নিজদের নির্লজ্জ চরিত্র প্রকাশ করেছে।
মেয়র আরো বলেন, পাকিস্তান সংঘাতে পরিপূর্ণ একটি দেশ, যেখানে গণতন্ত্র দূরের কথা সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নেই। তাদের পক্ষে কোন দেশের গণতন্ত্র, ন্যায় বিচার নিয়ে প্রশ্ন তোলার বিষয়টি হাস্যকর। বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক মানদন্ডে ন্যায় বিচারের প্রতিটি শর্ত মেনে আসামীদের আইনসম্মত অধিকার দিয়েই ’৭১ এর মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচার করছে। এই বিচার ন্যায় বিচারের ইতিহাসে মাইলফলক হয়ে থাকবে। দেশের অন্যতম শীর্ষ যুদ্ধাপরাধী আলবদর কমান্ডার ও জামায়াতের অর্থ যোগানদাতা মীর কাশেমের ফাঁসি নিয়ে পাকিস্তানের প্রতিক্রিয়াকে ধৃষ্টতা ও ঔদ্ধত্যপূর্ণ আখ্যায়িত করে বলেছেন পাকিস্তানের এই ধরনের আচরণ বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নগ্ন হস্তক্ষেপের সামিল।
প্রতিবাদ সমাবেশে একাত্বতা প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন প্যানেল মেয়র নিছার উদ্দিন আহমদ মঞ্জু, কেন্দ্রীয় যুবলীগের সাবেক সদস্য রায়হান ইউসুফ, আবদুল মান্নান ফেরদৌস, কোতোয়ালী থানা আওয়ামীলীগ এর সদস্য আহমদ ছোবহান, মহানগর কৃষকলীগের যুগ্ম আহবায়ক কাজী আনোয়ার হাফিজ, নগর যুবলীগ নেতা সুমন দেবনাথ মো. ফারুক, বেলায়েত হোসেন রুবায়েত, সজিব মাহমুদ, জালাল আহমদ দুলাল, এ এম মহিউদ্দিন, আবদুল্লাহ আল মামুন, শ্রীপ্রকাশ দাশ অসিত, তানভীর আহমদ রিংকু, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সহ সম্পাদক ইয়াছির আরাফাত, সংস্কৃতি কর্মী সুভাষ চৌধুরী টাংকু, মোহাম্মদ কামাল হোসেন, সুমন চৌধুরী, ওমর ফারুক সুমন, মোস্তফা কামাল প্রমূখ।
সমাবেশ শেষে পাকিস্তানী সহকারী হাই কমিশনার সামিনা মেহতাব ও পাকিস্তানের পতাকা কুশপুত্তলিকা দাহ করা হয়।