স্বস্তির বৃষ্টিতে তলিয়ে গেছে , চট্টগ্রাম নগরীর অধিকাংশ এলাকা

0

মো: শহিদ:  প্রচন্ড তাপদাহের পর তিন ঘন্টার মুষলধারে বৃষ্টিতে চট্টগ্রামবাসী কিছুটা স্বস্তি পেলেও তলিয়ে গেছে নগরীর অধিকাংশ এলাকায়। বৃহস্পতিবার দুপুর ১ টায় হঠাৎ করে আসা স্বস্তির বৃষ্টি ভোগান্তিতে ফেলেছে নগরবাসীকে। টানা বর্ষণের ফলে বন্দর নগরীর অনেক এলাকা হাঁটু পানিতে ডুবে জলবদ্ধতার সৃষ্টি হওয়ায় সব চেয়ে বেশী ভোগান্তিতে পড়েছে স্কুল কলেজগামী শিক্ষার্থীরা।

এদিকে নবনির্বাচিত নতুন মেয়র দায়িত্ব নেয়ার আগে জলাবদ্ধতা নিরসনে জন্য চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে বিভিন্ন সময়ে বৈঠক করে বিভিন্ন দিকনির্দেশনা দিয়েও তা কাজে আসেনি। চট্টগ্রাম নগরীর জলবদ্ধতার পুরোন ছবি আগের মত পরিস্কার ফুটে উঠেছে বলে অভিযোগ নগরবাসীর। তবে চসিকের দায়িত্বরত কর্মকর্তারা বলছেন, জলবদ্ধতা নিরসনের জন্য ৩০ মে থেকে নগরীর চাক্তাই খাল, নাছির খাল, হিজড়া খাল ও মহেশ খাল খনন কর্মসূচি শুরু করা হয়। এই খালগুলি পুরোপুরি ভাবে খনন করা হলে জলবদ্ধতা অনেক আংশে কমে আসবে বলে তারা জানান।

নগরীর আগ্রবাদ এলাকার বাসিন্দ সাংবাদিক জুবায়ের সিদ্দিকী বলেন, বর্ষা মৌসুম আসলে আমাদের আতংকিত করে তুলে। কারণ এ মৌসুমে সামান্য বৃষ্টিতে পুরো নগরীতে জলবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। পুরো নগরীর মত আমাদের এলাকাও পানিকে ডুবে যায়। তিনি বলেন, সিটি কের্পোশনের ড্রেনেজ ব্যবস্থপনা না থাকায় নগরবাসীকে এই দূভোগে পড়তে হচ্ছে। খাতুনগঞ্জের ব্যবসায়ী আবেদ হোসেন বলেন, প্রতিবার সিটি কর্পোরশেন নির্বাচনের আগে মেয়র প্রার্থীরা নগরীর জলবদ্ধতাটাকে যে পরিমারন গুরুত্ব দিয়ে প্রচারণা চালায় যেন নির্বাচনের আগে নগরীর জলবদ্ধতা যাদু দিয়ে দূর করে দিবেন।

নির্বাচিত হওয়ার পরে জলবদ্ধতা প্রসঙ্গটা সহজে বলতে চাইনা তারা। তিনি বলেন, নিবার্চনে ভোট আদায়ের জন্য তারা এসব নীতি কথা শোনায়। আর নির্বাচন চলে গেলে জনগণের হাজারো কথা নির্দিষ্ট স্থানে পৌঁছাইনা। আমরা নগরবাসী জলবদ্ধতা থেকে কবে নাগাত মুক্তি পাবো তা এখনো অনিশ্চত বলেন তিনি।

তিন ঘন্টার বৃষ্টির পানি জমে নগরীর আগ্রাবাদ সিডিএ আবাসিক এলাকা, হালিশহর, শুলকবহর, চকবাজার, বহদ্দারহাট, মুরাদপুর, বহদ্দারহাট, কাতালগঞ্জ, কাপাসগোলা, শুলকবহর, সুন্নিয়া মাদ্রাসা রোড, চানমিয়া সওদাগর রোড, বাকলিয়া, ডিসি রোডসহ নগরীর অধিকাংশ স্থান তলিয়ে গেছে। পানিতে ডুবে গেছে পাইকারি বাণিজ্য কেন্দ্র চাকতাই-খাতুনগঞ্জ। এসব এলাকায় বাসাবাড়ি ও দোকানপাটে পানি ঢুকে পড়ায় জনদুর্ভোগ চরমে উঠে।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.