অনলাইন ডেস্ক : আমাদের দেশে করলা একটি অতি পরিচিত সবজি। তেতো স্বাদযুক্ত হওয়ায় অনেকেই এটি খেতে চান না। কিন্তু স্বাদে তেতো হলেও এই করলার রয়েছে অসাধারণ পুষ্টি গুণ। এতে রয়েছে প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেটস, ক্যালসিয়াম, আয়রন, ফসফরাস, ম্যাগনেসিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, ভিটামিন- এ, সি ও বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন- বি। যা রোগবালাই দূর করতে সহায়তা করবে।
* রক্ত পরিষ্কার করে:
করলা প্রাকৃতিকভাবে রক্ত পরিষ্কার করে। রক্তের কারণে অনেক সময় অনবরত মাথা ব্যথা, এলার্জি, ক্লান্তি বৃদ্ধি পায় এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার হ্রাস হয়। রক্তের ইম্পিওরিটিসকে করলা পরিষ্কার অথবা ডিটক্সিফাইং করতে সাহায্য করে।
* ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে:
ব্লাডে গ্লুকোজ লোয়ারিং ইফেক্টের দ্বারা করলা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম।
* লিভারের সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করে:
করলা লিভারের সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে উপকারী ভূমিকা পালন করে। লিভারের ছাঁকন ক্রিয়ায় সহায়তা করে এটি রক্তের অপদ্রব্য পরিষ্কার করে এবং লিভারের ক্ষতিকর টক্সিন দূরীকরণ করে।
* কোলেস্টেরল কমায়:
এই সবজিটি দেহের লো- ডেনসিটি লাইপোপ্রোটিনের মাত্রা কমায়। ফলে হার্ট অ্যাটাক, হার্টের রোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি অনেকটা কমে যায়।
* রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়:
নিয়মিত করলা খেলে দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। তাই যেকোনো ধরনের রোগ বালাই থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
* ক্যান্সার প্রতিরোধে:
করলা ক্যান্সার প্রতিরোধেও সক্ষম। যে ফ্রি র্যাডিকেল ড্যামেজের কারণে বিভিন্ন ধরনের ক্যান্সার হয়, তার বিরুদ্ধে এর মধ্যে থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট কাজ করে।
* ওজন কমাতে সাহায্য করে:
করলা ফাইটোনিউট্রিয়েন্টস ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্টের বড় উৎস, যা দেহের অতিরিক্ত ওজন কমাতে সক্ষম। এই সবজি কার্বোহাইড্রেটের মেটাবোলিজমকে আরো দ্রুততর করে, বিধায় দেহে কম ফ্যাট জমা হয়।
দিনে দুই থেকে তিনটির বেশি করলা খাবেন না।