চারটি প্রধান চ্যালেঞ্জ এবারের বাজেটে : বিশ্বব্যাংক

0

সিটিনিউজবিডিঃ ২০১৫-১৬ অর্থবছরের বাজেট বাস্তবায়নে চারটি প্রধান চ্যালেঞ্জের কথা বলেছে বিশ্বব্যাংক। বিশ্বব্যাংকের পক্ষে বিবৃতি তুলে ধরেন বিশ্বব্যাংকের লিড ইকোনোমিস্ট জাহিদ হোসেন। জাহিদ হোসেন বলেন, আগামী বাজেট বাস্তবায়নে চারটি প্রধান চ্যালেঞ্জ রয়েছে। এগুলো হচ্ছে- প্রথমত: ইউরোপ মন্দা থেকে বের হতে পারবে কি না, দ্বিতীয়ত তেলের দাম কম হওয়ায় মধ্যমেয়াদে মধ্যপ্রাচ্যে শ্রমিক চাহিদা কমবে কি না, তৃতীয়ত পোশাক শিল্পের চলতি সংস্কার সঠিকভাবে এবং সময়মতো শেষ হবে কি না এবং চতুর্থত রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় থাকবে কি না।

 সোমবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিশ্বব্যাংক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানানো হয়। এসময় অন্যদের মধ্যে বিশ্বব্যাংক ঢাকা অফিসের অ্যাক্টিং কান্ট্রি ডিরেক্টর সালমান জায়েদী ও জনসংযোগ কর্মকর্তা মেহরীন ই মাহবুব উপস্থিত ছিলেন।

এ ছাড়া ছয়টি ঝুঁকির কথাও তুলে ধরেন তিনি। এগুলো হচ্ছে- রাজস্ব আহরণ, উন্নয়ন প্রকল্পের মান উন্নয়ন, অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ, সুদের হার নিয়ন্ত্রনে রাখা, ভর্তুকি কমার সুফল দরিদ্ররা পাচ্ছেন কি না এবং সংস্কার কার্যক্রম গতিশীল হবে কি না। এছাড়া আগামী বাজেটকে ‘বৃহৎ আকারের গতানুগতিক বাজেট’ বলে উল্লেখ করেছে বিশ্বব্যাংক। সংস্থা মনে করে, এ বাজেট বাস্তবায়নে বড় বাধা হতে পারে ঘাটতি অর্থায়ন। এছাড়া সংস্কারের ক্ষেত্রেও সুনির্দিষ্ট উদ্যোগের ঘাটতি রয়েছে। বিশ্বব্যাংকের উপস্থাপনায় বলা হয়, বাজেটের যে আকার তা আন্তর্জাতিক বিবেচনায় অনেক বড় বলা যাবে না; কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে- সরকার এটি বাস্তবায়ন করতে পারবে কি না।

এতে বলা হয়, পে-স্কেল বাস্তবায়নের কারণে অনুন্নয়ন বাজেটের অর্থ হয়তো খরচ হবে, কিন্তু উন্নয়ন বাজেট বাস্তবায়ন কঠিন হবে। প্রস্তাবিত বাজেটে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্য নির্ধারণকে উচ্চাভিলাষী বলে মনে করে বিশ্বব্যাংক। এ প্রসঙ্গে উপস্থাপনায় বলা হয়, বাজেটে ঘাটতি অর্থায়নে বৈদেশিক সহায়তার যে লক্ষ্য ধরা হয়েছে তা পূরণ করাও কঠিন হবে। প্রস্তাবিত বাজেটে সাত শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জনের যে ঘোষণা অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত দিয়েছেন, তা অর্জন অসম্ভব না হলেও ‘চ্যালেঞ্জিং’ হবে বলে মনে করেন জাহিদ হোসেন। তিনি বলেন, এ বাজেটের ‍আকার ও মিশ্রণ একই। অর্থায়নের দিক থেকে কনস্ট্যান্ট হতে পারে।

জাহিদ হোসেন আরো বলেন, ‘বিনিয়োগ পরিস্থিতির যদি উন্নতি করা যায়, অর্থাৎ এখনকার জিডিপির ২৯ শতাংশ বিনিয়োগ যদি আরও ২ থেকে ২.৫ শতাংশ বাড়ানো যায়, এবং স্থিতিশীল রাজনৈতিক পরিস্থিতি যদি অব্যাহত থাকে, তাহলে প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা অর্জন অসম্ভব হবে না।’ গত অর্থবছরের বাজেটে ৭ দশমিক ৩ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হলেও শেষ পর্যন্ত তা ৬ দশমিক ৫১ শতাংশ হতে পারে বলে পরিসংখ্যান ব্যুরোর ধারণা। অবশ্য গত শুক্রবার ওয়াশিংটন থেকে প্রকাশিত বিশ্ব ব্যাংকের ‘গ্লোবাল ইকোনমিক প্রসপেক্টস-এ বলা হয়, নতুন অর্থবছরে বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৬ দশমিক ৩ শতাংশ ছাড়াবে না।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.