ঐতিহাসিক ট্রিপল সেঞ্চুরি আজহারের

0

খেলাধুলা : দুবাই ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে পাকিস্তানের টেস্টটি ক্রিকেটের ইতিহাসে দ্বিতীয় দিবা-রাত্রির। এই ঐতিহাসিক টেস্টেই কি না গৌরবময় ট্রিপল সেঞ্চুরি করে ফেললেন পাকিস্তানের ওপেনার আজহার আলি।

১৫৬তম ওভারের পাকিস্তানের চতুর্থ এবং আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ২৫তম ব্যাটসম্যান হিসেবে ট্রিপল সেঞ্চুরি করলেন আজহার আলি। যদিও তার এটা নিয়ে টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে ট্রিপল সেঞ্চুরি হয়েছে মোট ২৯টি। চারজন ব্যাটসম্যান দুবার করে ঐতিহাসিক এই মাইলফলক স্পর্শ করেছিলেন।

৪৬৯ বলেই গৌরবের মাইলফলক স্পর্শ করেন আজহার। ঐতিহাসিক ইনিংসটি সাজিয়েছেন তিনি ২৩টি বাউন্ডারি এবং ২টি ছক্কার সমাহারে। দীর্ঘ ৬৫৮ মিনিট উইকেটে ছিলেন তিনি। দিবা-রাত্রির টেস্টে এটাই প্রথম সেঞ্চুরি, ডাবল সেঞ্চুরি এবং ট্রিপল সেঞ্চুরি।

এর আগে গত বছর অস্ট্রেলিয়ার অ্যাডিলেডে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম দিবা-রাত্রির টেস্ট খেলেছিল অসিরা। ওই টেস্টে কোন সেঞ্চুরি হয়নি। টেস্টের প্রথম দিন সেঞ্চুরি করার পর অপরাজিত ছিলেন ১৪৬ রানে। দ্বিতীয় দিন সেই রানে মাঠে নেমে ক্যারিবীয় বোলারদের বেশ স্বচ্ছন্দেই খেলতে থাকেন পাকিস্তানি এই ওপেনার। ৩৫৭ বলে পূরণ করেন ডাবল সেঞ্চুরি। বাউন্ডারি ছিল তখন ১৯টি এবং ছক্কা একটি। সেটাকে তো ছাড়ালেনই, দিবা-রাত্রির ইতিহাসে প্রথম ট্রিপল সেঞ্চুরিটাও করে ফেললেন। হানিফ মোহাম্মদ, ইনজামাম-উল হক এবং ইউনিস খানের পর চতুর্থ পাকিস্তানি হিসেবে ট্রিপল সেঞ্চুরির গৌরবে নাম লেখালেন তিনি।

এরপর সৃষ্টিকর্তার উদ্দেশ্যে সিজদায় অবনত হলেন তিনি। আজহার আলির ট্রিপল পূরণের সঙ্গে সঙ্গেই ইনিংস ঘোষণা করেন মিসবাহ-উল হক। ৩ উইকেট হারিয়ে ততক্ষণে ৫৭৯ রান করেছে পাকিস্তান।

৯০ রান করেন সামি আসলাম। ৬৭ রানে আউট হন আসাদ শফিক, অভিষিক্ত বাবর আজম আউট হন ৬৯ রান করে। ২৯ রানে অপরাজিত থাকেন মিসবাহ-উল হক। ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে দেবেন্দ্র বিশু নেন ২ উইকেট এবং রোস্টন চেজ নেন ১ উইকেট।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.