সন্ত্রাসীদের বিচারের উদ্যোগ নিলেন জাবি উপাচার্য
সিটিনিউজবিডি : জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) সাংবাদিক মারধরের ঘটনায় ৪ মাস অতিবাহিত হওয়ার পর অবশেষে হামলাকারীদের বিচারে উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলাম। বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত সাংবাদিকদের একের পর এক আন্দোলনের মুখে এ উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন তিনি।
আগামী ২০ অক্টোবর বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিসিপ্লিনারি বোর্ড এবং পরদিন ২১ অক্টোবর শুক্রবার বিশেষ সিন্ডিকেট সভায় দোষীদের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান জাবি সাংবাদিক সমিতির উপদেষ্টা অধ্যাপক শাহেদুর রশিদ।
উল্লেখ্য, গত ৮ জুন রাতে এক তরুণীকে অপহরণকারীর হাত থেকে বাঁচাতে গিয়ে শাখা ছাত্রলীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক মহিতোষ রায় টিটুর নেতৃত্বে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের হাতে মারধরের শিকার হন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের জাবি প্রতিনিধি শফিকুল ইসলাম। পরবর্তীতে সাংবাদিকদের আন্দোলনের চাপে জরুরি সিন্ডিকেট সভায় তিনজনকে সাময়িক বহিষ্কার করে এ ঘটনায় একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
গত ২০ আগস্ট তদন্ত কমিটি বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলামের নিকট তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন। অথচ তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার পর প্রায় দুই মাসেরও বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও দোষীদের বিচারে কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
প্রশাসনের এই উদাসীনতায় ক্ষুব্ধ হয়ে অতি দ্রুত দোষীদের বিচার দাবিতে গত ৯ অক্টোবর উপাচার্য বরাবর সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। স্মারকলিপিতে ১৬ অক্টোবরের মধ্যে বিচার করা না হলে প্রশাসনিক ভবন অবরোধের ঘোষণা দেয়া হয়।
পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী আজ সকাল সাড়ে সাতটা থেকে প্রশাসনিক ভবন অবরোধ করে রাখে সাংবাদিকরা। ফলে সকাল সাড়ে ৭টা থেকে ১০টা পর্যন্ত কেউ ভিতরে প্রবেশ করতে পারেননি। পরে সকাল দশটায় উপাচার্যের আশ্বাস পেয়ে অবরোধ তুলে নেয় আন্দোলনকারী সাংবাদিকরা।
এদিকে, আন্দোলনকারীদের সাথে একাত্মতা ঘোষণা করে আন্দোলনের সময় উপস্থিত থাকায় বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন জাবি সংসদ, জাবি ছাত্রফ্রন্ট এবং জাবি সাংস্কৃতিক জোটের নেতা-কর্মীদের ধন্যবাদ জানান জাবি সাংবাদিক সমিতির সভাপতি বেলাল হোসাইন রাহাত। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সুষ্ঠু এবং সুন্দরভাবে দোষীদের যথাযথ শাস্তি নিশ্চিত করবে বলে এ সময় আশা প্রকাশ করেন তিনি।
সিটিনিউজবিডি : জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) সাংবাদিক মারধরের ঘটনায় ৪ মাস অতিবাহিত হওয়ার পর অবশেষে হামলাকারীদের বিচারে উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলাম। বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত সাংবাদিকদের একের পর এক আন্দোলনের মুখে এ উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন তিনি।
আগামী ২০ অক্টোবর বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিসিপ্লিনারি বোর্ড এবং পরদিন ২১ অক্টোবর শুক্রবার বিশেষ সিন্ডিকেট সভায় দোষীদের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান জাবি সাংবাদিক সমিতির উপদেষ্টা অধ্যাপক শাহেদুর রশিদ।
উল্লেখ্য, গত ৮ জুন রাতে এক তরুণীকে অপহরণকারীর হাত থেকে বাঁচাতে গিয়ে শাখা ছাত্রলীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক মহিতোষ রায় টিটুর নেতৃত্বে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের হাতে মারধরের শিকার হন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের জাবি প্রতিনিধি শফিকুল ইসলাম। পরবর্তীতে সাংবাদিকদের আন্দোলনের চাপে জরুরি সিন্ডিকেট সভায় তিনজনকে সাময়িক বহিষ্কার করে এ ঘটনায় একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
গত ২০ আগস্ট তদন্ত কমিটি বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলামের নিকট তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন। অথচ তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার পর প্রায় দুই মাসেরও বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও দোষীদের বিচারে কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
প্রশাসনের এই উদাসীনতায় ক্ষুব্ধ হয়ে অতি দ্রুত দোষীদের বিচার দাবিতে গত ৯ অক্টোবর উপাচার্য বরাবর সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। স্মারকলিপিতে ১৬ অক্টোবরের মধ্যে বিচার করা না হলে প্রশাসনিক ভবন অবরোধের ঘোষণা দেয়া হয়।
পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী আজ সকাল সাড়ে সাতটা থেকে প্রশাসনিক ভবন অবরোধ করে রাখে সাংবাদিকরা। ফলে সকাল সাড়ে ৭টা থেকে ১০টা পর্যন্ত কেউ ভিতরে প্রবেশ করতে পারেননি। পরে সকাল দশটায় উপাচার্যের আশ্বাস পেয়ে অবরোধ তুলে নেয় আন্দোলনকারী সাংবাদিকরা।
এদিকে, আন্দোলনকারীদের সাথে একাত্মতা ঘোষণা করে আন্দোলনের সময় উপস্থিত থাকায় বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন জাবি সংসদ, জাবি ছাত্রফ্রন্ট এবং জাবি সাংস্কৃতিক জোটের নেতা-কর্মীদের ধন্যবাদ জানান জাবি সাংবাদিক সমিতির সভাপতি বেলাল হোসাইন রাহাত। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সুষ্ঠু এবং সুন্দরভাবে দোষীদের যথাযথ শাস্তি নিশ্চিত করবে বলে এ সময় আশা প্রকাশ করেন তিনি।