সিটিনিউজবিডি : চসিক প্রকৌশলীদের সমন্বয় সভায় মেয়র আ.জ.ম নাছির উদ্দীন বলেন, স্ব স্ব ক্ষেত্রে আন্তরিকতার সাথে দায়িত্ব পালন করতে হবে। দায়িত্ব ও কর্তব্য পালনের ক্ষেত্রে অনিহা, গাফিলতি বা অনিয়ম পরিলক্ষিত হলে তার পরিনাম শুভ হবে না। ৪১টি ওয়ার্ডে আলাদা আলাদা ভাবে নির্বাহী প্রকৌশলী, সহকারী প্রকৌশলী, উপ সহকারী প্রকৌশলী ও সড়ক তদারককারীদের দায়িত্ব ভাগ করে দেয়া হয়েছে।
আজ ১৭ অক্টোবর সোমবার দুপুরে নগর ভবনের কে বি আবদুচ ছত্তার মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত প্রকৌশলীদের সভায় চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আলহাজ্ব আ জ ম নাছির উদ্দীন চট্টগ্রামকে বিশ্বমানের পরিবেশ বান্ধব স্মার্ট সিটিতে উন্নিত করার কর্মপরিকল্পনা আগামী ৩ বছরের মধ্যে সম্পাদনের জন্য প্রকৌশলীদের নির্দেশ দেন।
এ ছাড়াও তিনি বলেন, ২০১৯ সনের জুনের মধ্যে নগরীর ৪১টি ওয়ার্ডের সকল সড়ক ও বাইলেইনকে শতভাগ পাকা, পিচঢালা সড়কে উন্নয়নের কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে হবে। এ লক্ষে গৃহিত কর্মপরিকল্পনা ধাপে ধাপে বাস্তবায়ন করতে প্রকৌশলীদের নির্দেশ দেন।
মেয়র বলেন, গুরুত্বের দিক থেকে চট্টগ্রামের গুরুত্ব অনেক। অর্থনীতির প্রাণ কেন্দ্র এ চট্টগ্রাম। চট্টগ্রামের উন্নয়নের সাথে দেশের সার্বিক উন্নয়ন ও গুরুত্ব নির্ভর করে। এ বিবেচনায় চট্টগ্রামকে বিনিয়োগের উপযুক্ত এলাকা হিসেবে এর পরিবেশ উন্নত করা অপরিহার্য। সার্বিক বিবেচনায় চট্টগ্রাম বিনিয়োগবান্ধব ও পর্যটকবান্ধব নগরী- এ বিষয়টিকে প্রাধান্য দিয়েই চট্টগ্রামের উন্নয়ন পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হবে।
সিটি মেয়র প্রকৌশলীদের উদ্দেশ্যে বলেন, নগরীর উন্নয়ন, সৌন্দর্যবৃদ্ধি, আলোকায়ন, অবকাঠামোগত উন্নয়নসহ নাগরিক সেবার বেশীরভাগ কর্মকান্ড প্রকৌশল বিভাগের উপর নির্ভর করে। সে লক্ষে প্রকৌশলীদের অভিজ্ঞতা, প্রজ্ঞা, জ্ঞান ও কৌশলকে কাজে লাগিয়ে নগরীর উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করতে হবে।
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রকৌশলীদের মাসিক সমন্বয় সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধান প্রকৌশলী লে. কর্ণেল মহিউদ্দিন আহমদ। এতে সচিব মোহাম্মদ আবুল হোসেন, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. আনোয়ার হোছাইন, মো. রফিকুল ইসলাম মানিক, মো. মাহফুজুল হক, মনিরুল হুদা, কামরুল ইসলাম সহ ৯টি বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী এবং সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড সমূহের প্রকৌশলীবৃন্দ নিজ নিজ ওয়ার্ডে দায়িত্বের বিষয়ে মতামত তুলে ধরেন। সমন্বয় সভায় ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক সমূহ দিন-রাত কাজ করে মেরামত করার নির্দেশনা প্রদান করা হয়।