ঘুরে আসুন মিরসরাইয়ের খৈয়াছড়া ঝর্না থেকে

0

পর্যটন ও পরিবেশ : সবুজের অরণ্য, ঝরনার স্রোতধারা কলকল শব্দে নেমে যায় সমতলে। নাম না জানা বাঁশবন, বুনোফুল ও ফলের গাছ অপার সৌন্দর্য যে কাউকেই মুগ্ধ করবে। প্রকৃতির অপূর্ব সৃষ্টি চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ের এই বুনো ঝরনাধারা আর জল প্রপাতগুলো।

এরই মধ্যে দেশি-বিদেশি অনেক পর্যটক বলেছেন, মাধবকুণ্ড থেকে দৈর্ঘ্য-প্রস্থসহ পানির লেবেল এবং প্রাকৃতিক বৈচিত্রে এ ঝরনাগুলো কোনো অংশেই কম যায় না। এদের অপরূপ সৌন্দর্য থেকে চোখ ফেরানোর উপায় নেই।

যাতাযাত: আপনি ঢাকা থেকে বা চট্টগ্রামের যে প্রান্ত থেকে হোক না কেন আপনাকে মিরসরাই বাসস্ট্যান্ডে নামতে হবে। এরপর সিএনজিচালিত অটোরিকশায় করে যাওয়া যাবে ঝরনাগুলোর কাছাকাছি স্থানে। তবে বেশিরভাগ ঝরনা পর্যন্ত পৌঁছতে হলে হাঁটতেই হবে আপনাকে। এমন বুনো পাহাড়ের পথে হাঁটার সুযোগটাইবা হাত ছাড় করবেন কেন!

খৈয়াছড়া ঝরনা: স্বচ্ছ পানি পাহাড়ের শরীর বেয়ে পড়ছে পাথরের গায়ে। গুঁড়ি গুঁড়ি জলকণা আকাশের দিকে উড়ে গিয়ে তৈরি করছে কুয়াশার আভা। দেড়শ’ ফুট উপর থেকে গড়িয়ে পড়া স্রোতধারা কলকল শব্দে পাথরের পর পাথর কেটে এগিয়ে চলেছে তার গন্তব্যে। তৈরি করছে জলধারা। সে যে এক সুন্দর পরিবেশ না দখলে বিশ্বাস করা যাবে না। এরপর কিছুক্ষণ হাটলে পাবেন ২টি ঝরনা। প্রথমটি হচ্ছে কুপিকাটাকুম ও পড়ে মিঠাছড়ি।

নাপিত্তাছড়া ঝরনা: পাহাড় ও অরণ্যঘেরা নাপিত্তাছড়া ঝরনা। নানা রকম চেনা-অচেনা পাখির কলতান, অরণ্যের নিবিড় স্তব্ধতার মাঝে নানা শব্দ, আদিবাসিদের মাছ ধরা—আরো কত কি! যদি আপনি ঘণ্টা দেড়েক হাঁটলেই পেয়ে যাবেন এই ঝরনাটি।

বাওয়াছড়া ঝরনা : সবুজের গা বেয়ে উপজেলার ওয়াহেদপুর ইউনিয়নের বাওয়াছড়ায় কতো না হাজার বছর ধরে প্রবহমান এই ঝর্নাধারা। ঝর্নার জল পড়ার ধ্বনি, সবুজ অরণ্য আর পাখির কলতান মন জুড়িয়ে দেবে নিমিষেই। চট্টগ্রাম শহর থেকে ৪০ কিলোমিটার উত্তরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মিরসরাইয়ে ছোট কমলদহ বাজার থেকে দেড় কিলোমিটর পূর্বে পাহাড়ের পাদদেশে রয়েছে এ ঝরনা।

মহামায়া ঝরনা: মহামায়া যেন শিল্পীর ক্যানভাসে কল্পনার রঙে আঁকা ছবি। সবুজে মোড়ানো পাহাড় বেয়ে নামছে স্বচ্ছ জল। রাঙামাটির কাপ্তাই লেকের পর দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম মহামায়া প্রাকৃতিক লেক ও ঝর্নায় ইদানিং প্রচুর পর্যটকের আগমন ঘটছে।

এছাড়াও মিরসরাই অংশে রয়েছে হরিণমারা, হাটুভাঙ্গা, বাঘবিয়ানী, বোয়ালিয়া, অমরমাণিক্য, বাউশ্যাছড়া, নেহাতেখুম, উঠান, বান্দরখুম সহ আরো অনেক ঝরনা ও জলপ্রপাত।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.