সিটিনিউজবিডি : শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘শিক্ষার গুণমান বৃদ্ধি করাটাই এখন আমাদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। তবে এটা একদিনে হবে না, এর জন্য সময় লাগবে। সে সময় আমাদের শিক্ষার্থীদের দিতে হবে। আমরা নতুন প্রজন্মকে বিশ্বমানের শিক্ষায় শিক্ষিত করে তুলতে চাই। শুধুমাত্র জ্ঞান দিয়ে তাদের মাথা ভরতে চাই না, তাদের মধ্যে নৈতিক মূল্যবোধ সৃষ্টি করে একজন আদর্শ মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে চাই।
বুধবার দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সাগর-রুনী মিলনায়তনে সদস্যদের সন্তানদের বৃত্তি ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
অনুষ্ঠানে পিএসসিতে ২৫ জন ও জেএসসিতে ১৭ জন শিক্ষার্থীকে সনদপত্র ও ২ হাজার টাকা বৃত্তি দেয়া হয়।
ডিআরইউ সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন বাদশার সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন আরিফুর রহমান। বক্তব্য দেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস হোসেন ও যুগ্ম-সম্পাদক ফেরদাউস মোবারক। অভিভাবকদের পক্ষে বক্তব্য দেন ডিআরইউ’র সাবেক সভাপতি শাহেদ চৌধুরী, ডিআইজে’র সাবেক সভাপতি ওমর ফারুক ও মধূসুদন দত্ত।
২০১৫-১৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটকে অবাস্তব ও অবিশ্বাস্য বলে মন্তব্য করলেন খোদ শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। তিনি বলেছেন, ‘গত ছয়-সাত বছরে আড়াই গুণ শিক্ষার্থী বেড়েছে। বর্তমানে সারাদেশে ৫ কোটি ৫২ লাখ শিক্ষার্থী রয়েছেন। এই নিয়ে আমাদের শিক্ষা পরিবার। সেই পরিবারের উন্নয়নের জন্য বাজেটের ১০ শতাংশও নেই। এ বাজেট অবাস্তব ও অবিশ্বাস্য।’
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিরুদ্ধে সাড়ে সাত হাজার মামলা রয়েছে- উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমরা সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারছি না। কারণ, বেশির ভাগ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানই বেসরকারি। তারা অনেক নিয়মনীতিই মানতে চাই না। যেমন- আমরা ফলাফলের ভিত্তিতে একাদশ শ্রেণীতে ভর্তির নিয়ম করলাম। কিন্তু নটরডেম কলেজ আদালতে রিট করে ভর্তি পরীক্ষা নিচ্ছে। আমাদের ওপর সাড়ে ৭ হাজার মামলা রয়েছে। আমরা মামলাগুলোতে জিততেও পারি না। আমাদের অর্থ ও জনবল উভয়েরই সঙ্কট রয়েছে।’