চট্টগ্রামে সাতদিনের আয়কর মেলায় আদায় ৫১৬ কোটি টাকা

0

নিজস্ব প্রতিনিধি :   চট্টগ্রামে আয়কর মেলার ৭ দিন ব্যাপি’র আয়োজনের মেলা শেষ দিনে এবার মোট আয়কর আদায় হয়েছে ৫১৬ কোটি ৯৬ লাখ ৯০ হাজার ৪৯১ টাকা, যা গত বছরের তুলনায় প্রায় ৩৪ কোটি টাকা বেশি।

২০১৫ সালে মেলায় আয়কর আদায় হয়েছিল ৪৮২ কোটি ৫৫ লাখ ৯৩ হাজার ৫৪৪ টাকা। এবার মেলার শেষ দিন সোমবার আয়কর আদায় হয় ৩৮ কোটি ৪৩ লাখ ৯১ হাজার ২০২ টাকা। এর আগে শুক্র, শনি ও রোববার আয়কর আদায় শত কোটি টাকার সীমা ছাড়িয়েছিল।

শনিবার আয়কর আদায় হয়েছিল ১০৫ কোটি তিন লাখ ৭২ হাজার ৭৬ টাকা। ওই দিন এবারের মেলার সর্বোচ্চ সংখ্যক ৫০ হাজার ৯৭৭ জন করদাতা সেবা গ্রহণ করেছিলেন। এছাড়া রোববার ১০১ কোটি ৮৪ লাখ ১৯ হাজার ৬৬১ টাকা আয়কর আদায় হয়। সেদিন সেবাগ্রহণকারী করদাতার সংখ্যা ছিল ৩৫ হাজার ৯৭১ জন।

শুক্রবার ১০০ কোটি ৯৫৪ টাকা আয়কর আদায় হয়। সেদিন সেবা গ্রহীতার সংখ্যা ছিল ৪৯ হাজার ৫৯ জন।এর আগে মেলার প্রথম দিনে মঙ্গলবার ৩০ কোটি ৭৯ হাজার ৩২২ টাকা, দ্বিতীয় দিন বুধবার ৭০ কোটি ৫৮ লাখ ১২ হাজার ৩৪৯ টাকা এবং তৃতীয় দিন বৃহস্পতিবার ৭১ কোটি ছয় লাখ ১৪ হাজার ৯২৭ টাকা আয়কর আদায় হয়।

মেলার আয়োজনের শেষ দিন আজ সোমবারে বিকালে গ্রাহকদের ভিড়ে সময় আরও এক ঘণ্টা বাড়ানো হয় বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম কর আপিল অঞ্চল-১ এর অতিরিক্ত কর কমিশনার মো. মাহমুদুর রহমান। তিনি বলেন , এবারের মেলায় আয়কর আদায়, সেবা গ্রহিতার সংখ্যা, রিটার্ন জমা সবই গতবারের চেয়ে বেশি হয়েছে । আমাদের লক্ষ্য ছিল গতবারের চেয়ে আয়কর বেশি আদায় হবে। সেই লক্ষ্য পূরণ হওয়ায় আমরা খুশি।

শেষ দিনে মেলার সময় বিকেলে আরও এক ঘণ্টা বাড়ানো হয়। তবু শেষ পর্যন্ত সবাইকে সেবা দিতে পারিনি। এ নিয়ে মেলায় আসা কেউ কেউ হতাশা প্রকাশ করেন।

সোমবার বিকালে নগরীর জিইসি কনভেনশন সেন্টারে সরেজমিন দেখা যায়, সেবা গ্রহণে আগ্রহীদের উপচে পড়া ভিড়। শেষ বিকালে ভিড় আরও বেড়ে যায়। মেলার সময় এক ঘণ্টা বাড়িয়ে সন্ধ্যা ৬টা করা হলেও মেলায় আসা সবাই শেষ পর্যন্ত সেবা নিতে পারেননি।

সেবা গ্রহীতার সংখ্যার হিসেবেও গতবারের মেলার চেয়ে এগিয়ে এবারের মেলা। গত বছরের মেলায় সেবা গ্রহীতা ছিল মোট দুই লাখ ৪৫ হাজার ৬৮৩ জন। এবার মেলায় সেবা গ্রহীতার সংখ্যা দুই লাখ ৭৩ হাজার ২০১ জন। এবার মেলায় পাওয়া রির্টানের সংখ্যা ১৮ হাজার ৩৪৯টি। গত বছর রিটার্নের সংখ্যা ছিল ১৭ হাজার ৪২০টি।

গত বছর নতুন ই-টিআইএন গ্রহণকারীর সংখ্যা ছিল এক হাজার ৬০টি। এবার মেলায় নতুন ই-টিআইএন গ্রহণকারী দুই হাজার ৯০১ জন।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.