চট্টগ্রামে যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা কবির মুক্তিযোদ্ধা ভাতা পাচ্ছেন না

0

গোলাম সরওয়ার  :  যুদ্ধাহত কবির এখন জীবন যুদ্ধে পরাজিত সৈনিক। দেশের জন্য জীবন বাজি রেখে একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধে একটি পা হারান বীর মুক্তিযোদ্ধা কবির আহমদ। দেশ মাতৃকার জন্য নিজের জীবনকে মৃত্যুর মুখোমুখি করেছিলেন কবির। দেশ স্বাধীন হয়েছে।

অনেক সরকার এলো গেলো। মুক্তিযোদ্ধা কবিরের জীবনের চাকা থমকে আছে দারিদ্রতার নির্মম কষাঘাতে। এক ছেলে ও এক মেয়ের পিতা মুক্তিযোদ্ধা কবির সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন। পঙ্গু হয়ে চলাফেরাতেও কবির প্রতিদিন প্রতিটি সময় অবর্ননীয় কষ্টের মুখোমুখি হচ্ছেন। জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সরকারের সময় ১৯৭৩ সাল থেকে যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে ভাতা পেয়ে আসছিলেন। কিন্তু তা বন্ধ হয়ে যায়, এরশাদ সরকারের সময়। এরপর ক্ষোভে দু:খে তিনি তদবির করেননি।

বীর মুক্তিযোদ্ধা কবির আহমদ একজন বিএলএফ (মুজিব বাহিনী) সদস্য চট্টগ্রামের কৃতি মুক্তিযোদ্ধা এডভোকেট শফিউল বশর ভান্ডারী, বাবু কমল মিত্র এবং আবু সাঈদ সর্দ্দারের নেতৃত্বে ও তত্ত্বাবধানে চট্টগ্রাম মহানগরীতে সম্মুখ যুদ্ধে বীরত্বপুর্ন ভুমিকা রেখে পঙ্গু হয়ে যান। যার স্বীকৃতিতে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর এককালীন সহায়তা ও প্রশংসাপত্র পান।

পরবতীতে মুক্তিযোদ্ধা কল্যান ট্রাষ্টের ভাতাও পেয়ে আসছিলেন। কিন্তু পরবর্তীতে অজানা কারনে তার ভাতা বন্ধ করা হয়। সম্প্রতি যুদ্ধকালীন মুজিব বাহিনী কমান্ডার ও নগর আওয়ামী লীগ সভাপতি এ বিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী এই পঙ্গু মুক্তিযোদ্ধাকে ভাতা প্রদানের জন্য মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রীকে একটি চিঠি দিয়েছেন।

অভিযোগ রয়েছে, মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষ সরকার ক্ষমতায় থাকার পরও অনেক পঙ্গু মুক্তিযোদ্ধা ও মৃত মুক্তিযোদ্ধার পরিবার রাষ্ট্রিয় ভাতা পাচ্ছেন না। সাময়িক সনদপত্রের অভাবে অনেক মুক্তিযোদ্ধার সন্তানরা রাষ্ট্রীয় সুবিধা বঞ্চিত হচ্ছেন।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.