পরীক্ষার্থীদের “লুটের টাকা ফিরিয়ে দাও” – ছাত্রলীগ

0

সিটিনিউজবিডি :  এসএসসি পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে ফরম পূরণের নামে অতিরিক্ত টাকা জিম্মি করে আদায় করার অভিযোগ করেছে চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগ। ছাত্রলীগের দাবীর বিষয়ে যুক্তিকতা তুলে ধরে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে আদায়কৃত অতিরিক্ত অর্থ অনতিবিলম্বে ফেরত দেয়ার জোর দাবী জানিয়েছে এসময়। “লুটের টাকা ফিরিয়ে দাও” স্লোগানে গত বছরের মত এবারো স্বোচ্চার আন্দোলনের মাধ্যমে টাকা ফেরত নেওয়ার ঘোষনা দেয়া হয়েছে ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে।

এ বিষয়ে চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগ সভাপতি ইমরান আহমেদ ইমু ও সাধারন সম্পাদক নূরুল আজিম রনি এক যুক্ত বিবৃতিতে অসন্তোশ প্রকাশ করে গণমাধ্যমে জানিয়েছেন “রাষ্ট্রের শীর্ষ অগ্রাধিকার খাত শিক্ষা ব্যবস্থা। বর্তমানে একটা সুষ্ঠ শিক্ষা নীতি উপহার দিয়েছে শেখ হাসিনার সরকার। বাণিজ্যকায়ন বিরোধী মনোভাবের কথা প্রকাশ পেয়েছে এই শিক্ষানীতিতে।এখন শিক্ষা সেবা সমাজের সব শ্রেনী পেশার মানুষকে সমান দৃষ্টিকোন থেকে পৌছে দেয়ার প্রচেষ্টা করছে শেখ হাসিনার সরকার।

সরকার হাজার হাজার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ এ এমপিওভূক্ত করেছে। লক্ষাধিক শিক্ষকের বেতন সরকারীকরণ করা হয়েছে।এসবের মূল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য শিক্ষার্থীদের সর্বোচ্চ শিক্ষা সেবা অধিকার রক্ষা করা। কিন্তু সরকারের এত সব প্রচেষ্টা যেন অর্থহীন হয়ে ফুটে উঠে প্রতি বছর পরীক্ষার ফরম পূরণ ও নতুন বছরের ভর্তি কালীন সময় স্কুলগুলোর বাণিজ্যিকায়ন পর্যবেক্ষণ করলে।

যুক্তবিবৃতিতে নগর ছাত্রলীগের সভাপতি ইমরান আহমেদ ইমু ও সাধারন সম্পাদক নূরুল আজিম রনি এসএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণের নামে চট্টগ্রামের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো ব্যাপক অনিয়ম দূর্নীতি ও অতিরিক্ত অর্থ আদায় করছে এমন অভিযোগ উত্তাপন করে বলেন, নগরীর বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সরকারী, আধা সরকারী, এমপিওভূক্ত, নন এমপিওভুক্ত এমনকি চসিক পরিচালিত কিছু স্কুলগুলোতে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের জিম্মি করে কয়েক গুণ বেশী টাকা আদায় করছে বলে জানান।

এসময় নেতৃবৃন্দ বলেন, আমরা কোন ভাবেই এই অনিয়ম দূর্নীতির মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের নিকট হতে ফরম পূরণের নামে অতিরিক্ত অর্থ লোপাট মেনে নিতে পারিনা। বিগত ২০১৫ সালে এমন ঘটনায় চট্টগ্রামের ছাত্রলীগ প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সামনে দাঁড়িয়ে অবস্থান কর্মসূচী পালন করেছিল। জেলা প্রশাসনের এ বিষয়ে সর্বোচ্চ তৎপরতা লক্ষ্য করেছিলাম।

যার ফলশ্র“তিতে নূন্যতম ২৭ হাজার শিক্ষার্থীদের কাছে থেকে আদায়কৃত অতিরিক্ত অর্থ ফেরত দিতে বাধ্য হয়েছিল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো। এবারো আমরা দেখতে পাচ্ছি কোচিং বাধ্যতামূলক, উন্নয়ন ফি, অতিরিক্ত বেতন ও সেশন ফি, মডেল টেষ্টের নামে কোটি কোটি টাকা লুপাট করা হচ্ছে। আর এই কাঠামোর মাধ্যমে শিক্ষার্থী ও অভিভাবক মহলকে জিম্মি করে রাখা হয়েছে। আমরা এই অনৈতিক কাজকে চরম ভাবে ঘৃনা করি।
তাই আশাবাদ ব্যক্ত করে বলব, শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে বোর্ড নির্ধারিত ফি ব্যাতীত অতিরিক্ত টাকা অনিতিবিলম্বে ফেরত দিতে হবে। অন্যতায় ছাত্রলীগ পুনরায় স্কুল ঘেরাও করে লুপাটকৃত টাকা ফেরতে পুনরায় কঠোর অবস্থান কর্মসূচীর হুশিয়ারি দেন এই দুই শীর্ষ নেতা।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.