নিজস্ব প্রতিনিধি : চট্টগ্রাম মহানগরীসহ বৃহত্তর চট্টগ্রামে অটোরিকশার দৈনিক জমা ৬০০টাকা নির্ধারণ, সড়ক ও সেতু মন্ত্রণালয়ের ঘোষণা অনুযায়ী বিআরটিএর প্রজ্ঞাপন মোতাবেক ৪০০০ সিএনজি চালিত অটোরিক্সার রেজিষ্ট্রেশন প্রদান, নগরীর গুরুত্বপূর্ণ স্থানে পাকির্ং ব্যবস্থা নশ্চিত করণ, সহজ শর্তে চালকদের লাইসেন্স প্রদান, নবায়নসহ পুলিশী হয়রানী বন্ধ ও বাস, ট্রাক, প্রাইম মুভার এর জন্য টার্মিনাল নিমার্ণ এর দাবীতে আগামী ২৯ শে নভেম্বর মঙ্গলবার সর্বাত্মক ধর্মঘট সফল করার লক্ষ্যে আজ শনিবার (২৬ নভেম্বর) বিকাল ৩টায় নতুন ব্রীজ এলাকায় এক বিশাল শ্রমিক সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল চট্টগ্রাম অটোরিক্সা অটোটেম্পু শ্রমিক ইউনিয়নের শাখা সভাপতি পেয়ার মোহাম্মদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন চট্টগ্রাম আঞ্চলিক কমিটির সভাপতি মুহাম্মদ মুছা, প্রধান বক্তা ছিলেন চট্টগ্রাম অটোরিক্সা-অটোটেম্পু শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক শ্রমিক নেতা হারুনুর রশীদ।
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সম্পাদক মোহাম্মদ সোলায়মান, সহসম্পাদক শহিদুল ইসলাম, লায়ন সেক্রেটারী সিরাজুল ইসলাম, মো: মনির, সহ প্রচার সম্পাদক মুহাম্মদ মুনির, কালামিয়া বাজার সভাপতি মো: সাবু, রাজাখালী সভাপতি আলা উদ্দিন, রাহাত্তারপুল শাখার ইয়াছিন, মাসুদুর রহমান, মো: জয়নাল, মো: খোকন প্রমুখ
প্রধান অতিথি মুহাম্মদ মুছা, বলেন, ২৮ নভেম্বরের মধ্যে অটোরিক্সা শ্রমিক ইউনিয়নের ৮দফা দাবী এবং বাস, ট্রাক ও প্রাইম মুভার এর জন্য টার্মিনাল নিমার্ণ করার সিদ্ধান্ত না নিলে বৃহত্তর চট্টগ্রামে ২৯ নভেম্বর সর্বাত্মক ধর্মঘট পালন করা হবে। এ ধর্মঘটে পুরো চট্টগ্রাম অচল থাকবে। ধর্মঘটে কোন প্রকার বাধা দেয়া হলে বা অন্য যে কোন পরিস্থিতির জন্য প্রশাসন দায়ী থাকবে।
চট্টগ্রাম অটোরিক্সা-অটোটেম্পু শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক শ্রমিক নেতা হারুনুর রশীদ বলেন, চালক ও মালিকদের স্বার্থ চিন্তা করে চট্টগ্রামের জন্য পৃথক নীতিমাল করতে হবে। চট্টগ্রাম নগরীর জনসংখ্যা বিবেচনায় আরো ৪হাজার সিএনজি গাড়ীর রেজিষ্ট্রেশন দিতে হবে অন্যতায় আমদানীকৃত নাম্বার বিহীন গাড়ী গুলো চলাচলের ব্যবস্থা করতে হবে। এরপরও আমাদের দাবী পূরণ না হলে পরবর্তীতে আরো কঠোর কর্মসূচী দেয়া হবে। সমাবেশ শেষে এক বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।