সিটিনিউজবিডি : রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের আশংকায় নগরীর দুটি স্পর্শকাতর প্রবেশপথে অতিরিক্ত সতর্কতা জারি করেছে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি)। এছাড়া বাকি প্রবেশপথগুলোতেও সতর্কতা অবলম্বনের পরামর্শ দেয়া হয়েছে কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যদের।
সিএমপির বিবেচনায় রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের জন্য স্পর্শকাতর প্রবেশপথের একটি হচ্ছে, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার সড়ক দিয়ে নগরীর প্রবেশমুখ শাহ আমানত সেতু। আরেকটি হচ্ছে চট্টগ্রাম আরাকান সড়কের কালুরঘাট সেতু।
মঙ্গলবার (২৯ নভেম্বর) সিএমপি কমিশনার মো.ইকবাল বাহার সতর্কতা জারির বিষয়টি জানিয়েছেন। দুই প্রবেশপথে থাকা সার্বক্ষণিক চেকপোস্টে অতিরিক্ত পুলিশও মোতায়েন করা হয়েছে বলে তিনি তথ্য দিয়েছেন।
সিএমপি কমিশনার বলেন, রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের ঝুঁকি আছে দুইটি প্রবেশপথে। একটি শাহ আমানত সেতু, আরেকটি কালুরঘাট। দুই প্রবেশপথেই আমাদের সার্বক্ষণিক চেকপোস্ট আছে। এখন আমরা বলেছি অতিরিক্ত সতর্ক থাকতে। কোনভাবেই যেন রোহিঙ্গারা নগরীতে আসতে না পারে, সেটা নিশ্চিত করতে অতিরিক্ত ফোর্সও পাঠানো হয়েছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহোদয় নির্যাতিত রোহিঙ্গাদের বিষয়টি মানবিকভাবে দেখার কথা বলেছেন। তো, এই পর্যন্ত যে সিদ্ধান্ত আমরা পেয়েছি সেটা হচ্ছে, যেসব রোহিঙ্গা কক্সবাজারে ঢুকে পড়েছে তাদের নির্দিষ্ট কিছু জায়গায় রাখা হচ্ছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে পাঠিয়ে দেয়া হবে। কিন্তু সেই নির্দিষ্ট জায়গা থেকে ফাঁক গলে কেউ চট্টগ্রামে কিংবা চট্টগ্রাম দিয়ে অন্য কোথাও যাবে সেটা আমরা বরদাশত করতে পারব না।
পুলিশ সূত্রমতে, শাহ আমানত সেতুর দুই প্রান্তে কর্ণফুলী থানা ও বাকলিয়া থানার পৃথক চেকপোস্টে সাতজন করে অতিরিক্ত সদস্য দেয়া হয়েছে। কালুরঘাট সেতুর উত্তর প্রান্তে চান্দগাঁও থানার মোহরা এলাকায় পুলিশের নিয়মিত চেকপোস্টেও সাতজন অতিরিক্ত সদস্য দেয়া হয়েছে।
এর বাইরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের আকবর শাহ থানার সিটি গেইট, চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি সড়কের বায়েজিদ বোস্তামি থানার অক্সিজেন মোড়, চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়কের চান্দগাঁও থানার মোহরা এলাকায়ও পুলিশকে সতর্ক থাকার জন্য বলেছেন সিএমপি কমিশনার।
ইকবাল বাহার বলেন, চট্টগ্রামে ঢুকে এই তিনটি প্রবেশপথ দিয়ে অন্য কোথাও যাওয়ার চেষ্টা হতে পারে। সেখানে তাদের আটকাতে বলেছি।
সম্প্রতি মিয়ানমারের কয়েকটি নিরাপত্তা ফাঁড়িতে হামলায় নয়জন পুলিশ নিহত হওয়ার পর দেশটির রাখাইন অধ্যুষিত এলাকায় ব্যাপক ধরপাকড় ও নির্যাতন শুরু হয়েছে বলে গণমাধ্যমে খবর এসেছে।
এর ফলে গত দুই সপ্তাহ ধরে কক্সবাজারে বিভিন্ন সীমান্তপথ দিয়ে রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করছে। ইতোমধ্যে বিজিবির কঠোর নিরাপত্তা এড়িয়ে প্রায় ২০ হাজার রোহিঙ্গা কক্সবাজারে প্রবেশ করেছে বলেও গণমাধ্যমে তথ্য এসেছে।
অবৈধভাবে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের উখিয়ার কুতুপালং, টেকনাফের লেদা ও শাপলাপুর আনরেজিস্টার্ড ক্যাম্পে রাখা হচ্ছে।