সিটিনিউজবিডিঃ রমজানে ঈদের বাড়তি কেনাকাটায় মার্কেটগুলোতে ভিড় বাড়ছে। এই সুযোগকে কাজে লাগাতে এরই মধ্যে সক্রিয় হয়ে উঠেছে জাল নোট কারবারিরা। জাল নোটের চালানসহ ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি চক্র ধরা পড়েছে। এমন পরিস্থিতিতে এবার জাল নোট ঠেকাতে জনসচেতনতা বাড়াতে ১০ উদ্যোগ নিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এসব উদ্যোগ বাস্তবায়নে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধি, ব্যবসায়ী প্রতিনিধি ও সব ব্যাংকের প্রতিনিধিদের নিয়ে আজ বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
আগামী ১ জুলাই থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয় ও সব শাখা অফিসে বিশেষ কাউন্টার খুলে জনসাধারণের জন্য নতুন নোট ছাড়া হবে। পাশাপাশি রাজধানী ও বিভাগীয় শহরগুলোতে বিভিন্ন ব্যাংকে নতুন নোটের জন্য বিশেষ কাউন্টার খোলা হবে। নতুন নোট ছাড়াকে কেন্দ্র করে প্রতি বছর জাল কারবারিরা সক্রিয় হয়ে ওঠায় আগাম সতর্কতা হিসেবে এ বৈঠক ডাকা হয়েছে।
সংশ্লিষ্টদের মতে, জাল কারবারিরা ধরা পড়লেও সাক্ষীর অভাবে তারা উপযুক্ত শাস্তি পায় না। এ কারণে ছাড়া পাওয়ার পর একই ব্যক্তি আবার জাল নোট ব্যবসায় জড়িয়ে পড়ছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্য মতে, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত চার মাসে জাল নোট বিষয়ে ১৪৫ মামলা হয়েছে। মোট মামলার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৯৩৩টি। বছরের পর বছর এসব মামলা চললেও তা থেকে যাচ্ছে অনিষ্পন্ন। এ বিষয়ে করণীয় নিয়েও আজকের বৈঠকে আলোচনা করা হবে।
জেনে নিন ব্যাংক নোটের নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য। ১০০, ৫০০ ও ১০০০ টাকা মূল্যমানের নোট বেশি জাল হয়। এসব নোটের নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্যের অন্যতম হলো, প্রতিটি নোটের মূল্যমান ও বাংলাদেশ ব্যাংকের লোগো সংবলিত নিরাপত্তা সুতা থাকে। নোটটি চিত করে ধরলে মূল্যমান ও লোগো দেখা যায়। কাত করে খাড়াভাবে ধরলে তা কালো দেখায়। আসল নোটের এ নিরাপত্তা সুতা অনেক মজবুত যা নোটের অবিচ্ছেদ্য অংশ। তবে জাল নোটের নিরাপত্তা সুতা নখ দিয়ে নড়াচড়া করলে উঠে যায়। প্রত্যেক প্রকার নোটের উপরের ডান দিকের কোনায় ইংরেজি সংখ্যায় লেখা মূল্যমান রঙ পরিবর্তনশীল কালি দিয়ে মুদ্রিত। জাল নোটে ব্যবহৃত কালি চকচক করলেও তা পরিবর্তন হয় না। আসল নোটের উভয় পাশের ডিজাইন, মধ্যভাগের লেখা, নোটের মূল্যমান ও ৭টি সমান্তরাল সরলরেখা উঁচু-নিচু বা খসখসেভাবে মুদ্রিত। এসব বৈশিষ্ট্য জাল নোটে সংযোজন করা সম্ভব না।