সুন্দর মন ও সমাজ বিনির্মানে ভালমানের বই পড়তে হবে

0

সিটিনিউজবিডি : ফটিকছড়ি আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও চাকসুর সাবেক ভিপি মুহাম্মদ মাজহারুল হক শাহ্ চৌধুরী বলেন, ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ ছিল বাঙ্গালী জাতির জন্য একটি যুগান্তকারী গৌরবময় অধ্যায়। তা রচনা করতে অসীম ত্যাগ-তিতিক্ষার শিকার হতে হয়েছিল এ জাতিকে। প্রাণ দিয়েছে লক্ষ লক্ষ দামাল সন্তান, তাজা রক্ত ঝরেছে অঢেল, ইজ্জত নষ্ট হয়েছে অগণিত মা-বোনের। স্বপ্ন ছিল স্বাধীন-মুক্ত হওয়া। দেশ শত্রুমুক্ত হলে এদেশে কায়েম হবে একটি শোষণহীন সমাজ ব্যবস্থা। খাদ্য-বস্ত্র, শিক্ষায় দেশ হবে স্বয়ংসম্পূর্ণ। কৃষি, শিল্প, ব্যবসা-বাণিজ্য সুষ্ঠুভাবে বিকশিত হবে। গড়ে উঠবে স্বাধীন জাতির পুঁজি। মানুষের মান সম্মান এবং জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে। দেশে থাকবে আইনের শাসন। মর্যাদার দিক হতে সকল জনগণ হবে সমান। বাঙ্গালি জাতি বিশ্বে লাভ করবে একটি সুখী, স্বাধীন, সমৃদ্ধ সার্বভৌম জাতি হিসেবে।

আজ ১৭ ডিসেম্বর শনিবার বিকালে চট্টগ্রাম মুসলিম হল প্রাঙ্গনে আনজুমানে খোদ্দামুল মুসলেমীন ট্রাস্টের উদ্যোগে ৮ দিনব্যাপী বইমেলা ও চিত্র প্রদর্শনীর সমাপনী দিনের আলোচনা সভায় সাবেক সংসদ সদস্য মুহাম্মদ মাজহারুল হক শাহ্ চৌধুরী প্রধান অতিথি ছিলেন।
ছোবহানিয়া আলিয়া মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মুফতি মুহাম্মদ হারুনুর রশীদের সভাপতিত্বে প্রধান আলোচক ছিলেন জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া আলিয়ার প্রধান ফকিহ মুফতি আল্লামা অছিউর রহমান আলকাদেরী।
প্রধান আলোচক বলেন, স্বাধীনতা পেয়েও যেন পেলাম না তা আজ প্রতিনিয়তই প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে থাকে। আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি, কিন্তু এখনো স্বাধীনতার সুফল পাইনি। স্বাধীনতার ৪৫ বছরেও দেশে বিভিন্ন সেক্টরে কিছুটা সফলতা অর্জন করেছি। আমাদের আরো অনেক দূর এগুতে হবে, এজন্য প্রয়োজন সম্মিলিত প্রচেষ্টা। আমাদের সন্তানদেরকেও মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস তুলে ধরে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় গড়তে হবে। তিনি বলেন, নতুন প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস ও ইসলামের শ্বাশত মূলধারা সম্পর্কে জানতে ভাল মানের বই পড়তে হবে।
মুহাম্মদ সরওয়ার উদ্দিন চৌধুরীর সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদের ডীন ড. মুহাম্মদ সেকান্দর চৌধুরী, ব্যবসায় ও প্রশাসন অনুষদের ডীন প্রফেসর ড.জাহাঙ্গীর আলম।
আলোচক ছিলেন ইসলামিক ফাউন্ডেশন চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিচালক আবুল হায়াত মোহাম্মদ তারেক, বাংলাদেশ ব্যাংকের জয়েন্ট ডিরেক্টর মুহাম্মদ একরাম হোসেন, কবি ও সাহিত্যিক জসিম উদ্দিন মাহমুদ। উপস্থিত ছিলেন সংগঠক নুরুল ইসলাম জেহাদী, মাস্টার আবুল হোসেন, সৈয়দ মুহাম্মদ আবু আজম, মুহাম্মদ ফরিদুল ইসলাম প্রমুখ।
বক্তারা আনজুমানে খোদ্দামুল মুসলেমীনকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ঈদে মিলাদুন্নবী (দঃ) এর আনন্দ ও বিজয় দিবসের আনন্দ একসাথে উপভোগ বইমেলা ও মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক চিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন একটি সুন্দর উদ্যোগ। মেলায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশনায় ছিলেন শায়ের মুহাম্মদ মঈনুদ্দীন কাদেরী, মুহাম্মদ বাহাউদ্দিন, সাইফুল ইসলাম, হাফেজ মুহাম্মদ মনির উদ্দিন, শাকিল রেজা কাদেরী, মায়িশা তাসকিন হোসেনসহ ইমাম শেরে বাংলা সাংস্কৃতিক ফোরামের শিল্পীরা। মেলায় হাফেজ আনিসুজ্জামানের লিখিত প্রিয় নবী (দ.) এর পূর্ব পুরুষগণের ইসলাম এবং সৈয়দ মুহাম্মদ আবু আযম লিখিত সংগীত সমাহার গ্রন্থদুটির প্রকাশনা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়।
মেলার সমাপনী বক্তব্য রাখেন মেলা প্রস্তুতি কমিটির সচিব স উ ম আব্দুস সামাদ। তিনি আগামী বছরও সুন্দরভাবে মেলা আয়োজনের প্রত্যয় ব্যক্ত করেন এবং এ বছরের সহযোগী প্রতিষ্ঠান ও মিডিয়া পার্টনারসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানান।
উল্লেখ্য- মেলার সহযোগিতায় রয়েছেন পিএইচপি ফ্যামিলি, আঞ্জুমানে রাহ্মাতুল্লিল আলামিন ট্রাস্ট, রাহ্মাতুল্লিল আলামিন হজ্ব কাফেলা ও মিডিয়া পার্টনার বিজয় টিভি, দৈনিক আজাদী, দৈনিক পূর্বদেশ ও এস.এন.এন ২৪ ডট কম।
পরে মহান মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় মিলাদ মাহফিল ও দোয়া শেষে অতিথিবৃন্দ পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (দ:) ও মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সম্বলিত ও ইসলামের ইতিহাস-ঐতিহ্যের দুর্লভ চিত্র প্রদর্শনী এবং বুক স্টল পরিদর্শন করেন।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.