সিটিনিউজবিডি : বরেণ্য বুদ্ধিজীবী ও টেলিভিশন ব্যক্তিত্ব, বর্ষিয়ান সাংবাদিক আবেদ খান বলেছেন, আমরা বিশ্বাস করি একটি জাতির ইতিহাস অসম্পূর্ণ এবং কবন্ধ থেকে যাবে যদি সেই ইতিহাসে নারীর অধিকারের যথাযথ উল্লেখ না থাকে। এই অমোঘ সত্য আমাদের বিশ্বাসের অন্তর্গত। তাই আমাদের বিনীত উপস্থিতি কথাশিল্পী জান্নাতুল ফেরদৌসের ৭টি বইয়ের মোড়ক পাঠ উন্মোচন আয়োজনে। আমাদের এই বিনীত প্রয়াস মানবজাতির কোনো অংশকে অমূল্যায়ন করে নয়, অবমূল্যায়িত অংশকে তার যথার্থ মর্যাদায় অভিষিক্ত করার প্রয়োজনে।
মানুষ হিসেবে আমরাও ক্রটি-বিচ্যুতির উর্ধ্বে নই। সেইটুকু অনিচ্ছাকৃত বিচ্যুতির বাইরে লেখকদের যা কিছু অর্জন তার সবটুকুই পাঠকদের ভালোবাসাকে আশ্রয় করেই। কথাশিল্পী জান্নাতুল ফেরদৌসের গ্রন্থাবলি পাঠকের মন জয় করুক, তিনি অনেকদূর এগিয়ে যান, সেই প্রত্যাশা করি।
লেখিকার বহুমাত্রিক সৃজনশীল কর্মযজ্ঞের ভূয়সি প্রশংসা করে তিনি আরো বলেন, বহুমুখী প্রতিভাধর জান্নাতুল ফেরদৌস যদি মনে-প্রাণে বিশ্বাস করেন ঐক্য আমাদের শক্তি, যুক্তি আমাদের পাথেয়, সামাজিক দায়িত্ব পালন আমাদের লক্ষ্য, মানবকল্যাণের সাধনা আমাদের মন্ত্র-তবেই তাঁর স্বপ্নযাত্রা স্বার্থক হবে।
আমরা করবো জয়-এর আজীবন সদস্য এবং চট্টগ্রাম উইমেন চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ড্রাস্ট্রির সম্মানিত সদস্য কথাশিল্পী জান্নাতুল ফেরদৌসের ৭টি বইয়ের পাঠ উন্মোচন আয়োজনে জনাব আবেদ খান মুখ্য আলোচকের বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
আজ ১৯ ডিসেম্বর সোমবার সন্ধ্যায় আমরা করবো জয় (ডাব্লিউএসও)’র উদ্যোগে নগরীর একটি অভিজাত রেস্তোরায় আমরা করবো জয়’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও লেখক-সাংবাদিক শওকত বাঙালির সভাপতিত্বে ও সঞ্চালনে প্রধান অতিথি ছিলেন সংসদ সদস্য সাবিহা মুসা। প্রধান আলোচক ছিলেন সংসদ সদস্য ওয়াসিকা এ.খান। সম্মানিত অতিথি ছিলেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব প্রফেসর হাসিনা জাকারিয়া বেলা ইসলাম, চসাই’র প্রাক্তন সভাপতি দৈনিক পূর্বকোণের সাহিত্য সম্পাদক কবি এজাজ ইউসুফী ও তাঁর সহধর্মিনী আফরোজা ইউসুফী, দ্য ডেইলি সানের ব্যুরো প্রধান সাংবাদিক আবদুল্লাহ আল মাহমুদ, সাপ্তাহিক স্লোগান সম্পাদক মোহাম্মদ জহির, পদ্মা ওয়েল কোম্পানি লিমিটেড’র এইচ.আর অ্যান্ড অ্যাডমিন জিএম শেখ ইজাবুর রহমান প্রমুখ।
সংসদ সদস্য সাবিহা মুসা বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। লেখিকা জান্নাতুল ফেরদৌস সেই এগিয়ে যাওয়া নারীদের অন্যতম। সংসারধর্ম পালন করার পরও বহুমাত্রিক কর্মযজ্ঞে নিজেকে নিয়োজিত রেখে তিনি সমাজে একজন ব্যতিক্রমী নারী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন।
সংসদ সদস্য ওয়াসিকা এ. খান বলেন, জান্নাতুল ফেরদৌসের উপন্যাসে তার শব্দ এবং বাক্য কাব্যময়তার জাদুতে কখন স্থির, কখনো চলিষ্ণু, পাঠককে একটি পরিভ্রমণের মুখোমুখি আনে, এর বর্ণনা পাঠককে ঘোরগ্রস্ত করে। জান্নাত শক্তিমান কথাশিল্পী হিসেবে নিজস্ব আসন পোক্ত করবেন নিজের যোগ্যতায়।
সভাপতির বক্তব্যে শওকত বাঙালি বলেন, জান্নাতুল ফেরদৌসের স্বপ্ন ছিলো হয়তো একদিন বড় কথাশিল্পী হবেন। সেই স্বপ্ন এখন আর স্বপ্ন নয়। মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় হয়। যে যত বড় স্বপ্ন দেখতে পারেন এবং বড় স্বপ্নের পথে হাটতে পারেন, নিজেকে নিয়ে যেতে পারেন ঠিক ততখানি উচ্চতায়। হতাশার কৃষ্ণবক্ষ বিদীর্ণ করে আশার আলোকময় পথ সৃষ্টি করার দায়িত্ব আজ নতুন প্রজন্মের। জান্নাতুল ফেরদৌস তারই প্রতিনিধি।