সিটিনিউজবিডিঃ রমজানে সেহরি খাওয়া সুন্নত। আর এই বরকতময় খাবার খাওয়ার পরই অনেকেই নামাজ পড়ে ঘুমাতে যান। কেউ বই নিয়ে পড়তে বসেন, কেউ টিভি দেখেন আবার কেউবা ফেসবুক নিয়ে মেতে ওঠেন। কিন্তু আপনি জানেন কি সেহেরি খাওয়ার পর পরই এই কাজগুলো স্বাস্থ্যের জন্য কতটা ক্ষতিকর। কাজগুলো শুধু আপনার ওজন বাড়াতেই ভূমিকা রাখে না, একইসঙ্গে হজমেও নানা সমস্যা সৃষ্টি করে। কাজেই সুস্থ থাকতে চাইলে সেহেরির পর কিছু কাজ থেকে আমাদের বিরত থাকা উচিত।
জেনে নিন সেহেরির পর করবেন না কোন কোন কাজ-
* বেশিরভাগই সেহেরি খাওয়ার পর পরই ঘুমাতে যান। এটা কিন্তু ঠিক নয়। এতে স্বাস্থ্যের ক্ষতি হয় অনেক বেশি। এ ধরনের কাজ ওজন বাড়াতে সাহায্য করে। আবার ঘুমিয়ে পড়লে আমাদের মেটাবলিজম হার কমে যায়। এতে হজমে সমস্যা হয়। কাজেই সঙ্গে সঙ্গে না শুয়ে কমপক্ষে আধা ঘণ্টা পর বিছানায় যান। তাতে করে স্বাস্থ্যঝুঁকির হাত থেকে রক্ষা পাবেন।
* সেহেরির পর কখনই একসঙ্গে অনেক পানি পান করা ঠিক নয়। এতে উপকারের চেয়ে ক্ষতি হয় বেশি। বেশি পানি পান করলে পেটে অস্বস্তি হওয়ার পাশাপাশি ঘুমাতেও সমস্যা হয়। কাজেই নির্দিষ্ট পরিমাণ পানি পান করাই শ্রেয়।
* সেহেরির ঠিক পর পরই দাঁত মাজবেন না। খাওয়ার পর দাঁত মাজলে দাঁতের ক্ষতি হয় বেশি। কাজেই খাওয়ার পর কিছুটা সময় বিরতি দিয়ে দাঁত মাজুন।
* ধূমপান সব সময়ই স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। সেহেরির পর ধূমপান করলে সারাদিন অনেক বেশি পানির পিপাসা লাগে। কাজেই ধূমপান একবারে ছেড়ে দেওয়াই স্বাস্থ্যের জন্য ভালো।
* সেহেরির পর অনেকেই টিভি দেখতে বসে যান কিংবা ফেসবুক নিয়ে বসে থাকেন। স্বাস্থ্যের ক্ষতি এড়াতে এসব কাজও বাদ দিন। খাওয়া শেষে বিশ্রাম করুন, তাতে সারাদিন রোজা রাখতে সুবিধা হবে।
* অনেকেই সেহেরির পর গোসল করে ফজরের নামাজ পড়েন। এই কাজটিও ঠিক নয়। কারণ খাওয়ার পর গোসল করলে হজমে সমস্যা দেখা দেয়। তবে গোসল করতে চাইলে তা সেহেরির আগেই সেরে নিন। তাতে স্বাস্থ্যের কোন ক্ষতি হবে না।
* কেউ কেউ সেহেরির পর চা/কফি পান করে থাকেন। এই কাজটিও ঠিক নয়। এসব খাবারে ক্যাফেইন থাকায় তা শরীরকে পানিশূন্য করে ফেলে। ফলে সারাদিন রোজা রাখতে কষ্ট হয়। একইসঙ্গে হজমেও নানা সমস্যা সৃষ্টি করে খাবারগুলো।
* রোজার দিনে সকালবেলা হাঁটা স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর। এতে শরীরের ওপরে চাপ পড়ে বেশি। তবে হাঁটার অভ্যাস থাকলে তা বিকেল কিংবা সন্ধ্যাতেই সেরে ফেলুন।
রমজানে সুস্থ থাকতে উপরোক্ত কাজগুলো এড়িয়ে চলার কোন বিকল্প নেই। তাতে হজমশক্তি বাড়ার পাশাপাশি শরীরও সুস্থ থাকবে। তখন আমাদের জন্য রোজা রাখাও সহজ হবে।