সিটিনিউজবিডিঃ শরীরকে ফিট রাখার ক্ষেত্রে পেটের মেদ বা ভুঁড়ি একটি অন্যতম প্রধান সমস্যা। অনেক সময় দেখা যায় শরীরের অন্যান্য অংশে তেমন মেদ নেই, কিন্তু পেটের মেদ আপনার ফিটনেস নষ্ট করছে আর আপনাকে দেখতেও ভীষণ খারাপ লাগছে। জেনে নিন ভুঁড়ি কমানোর কিছু উপায়।
হুলাহুপ: বেশিরভাগ শিশুই ছেলেবেলায় হুলাহুপ নিয়ে মজার মজার খেলা খেলে। একটি বড় গোল রিং নিয়ে কোমরের চারদিকে ঘোরাতে থাকে। সেই রিংয়ের সঙ্গে ব্যালেন্স রেখে কোমর দোলাতে হয়। এই হুলাহুপই পেটের বাড়তি মেদ দারুণভাবে ঝরিয়ে ফেলতে পারে। এই খেলায় আপনিও মেতে উঠতে পারেন। হুলাহুপের বিটের সঙ্গে তাল মেলানোর কায়দা আয়ত্ত করতে একটু সময় লাগবে ঠিকই, কিন্তু খুব দ্রুত ভুঁড়ির সমস্যা থেকে রেহাই পেয়ে যাবেন।
নেচে ভুঁড়ি কমানো যায় : নাচের মধ্যে দিয়ে ভুঁড়ি কমিয়ে ফেলা যায়। নাচ শুধু মন ভালো করে না, শারীরিক কসরতও বাড়ায়। এর জন্য নাচের স্কুলে ভর্তি হওয়ার দরকার নেই। বাড়িতে বসে নিজের বেডরুমেই পছন্দের গান চালিয়ে কিছুক্ষণ নেচেকুঁদে নেওয়া যায়। সামনে আয়না থাকলে তো কথাই নেই। আয়নায় প্রতিচ্ছবি দেখতে দেখতে নাচ করুন। প্রয়োজনে অনলাইন ভিডিও দেখেও নাচ করতে পারেন।
বড় বড় পা ফেলে চলা: হাটার সময় বড় বড় পা ফেলে চলুন। সিঁড়ি দিয়ে ওঠার সময় দু’-একটা সিঁড়ি ডিঙিয়ে উঠুন। প্রতিনিয়ত এভাবে চলাফেরায় ভুঁড়ি কমতে বাধ্য।
দাঁড়িয়ে ব্যায়াম: ভুঁড়ি কমাতে হলে বসে বসে ব্যায়াম করার বদলে দাঁড়িয়ে করাই ভালো। এতে বেশি ক্যালোরি ক্ষয় হয়।
ক্রাঞ্চ করুন: ক্রাঞ্চে সবচেয়ে ভালো ভুঁড়ি কমানো যায়। মেঝেতে চাদর পেতে লম্বা হয়ে শুয়ে পড়ুন। হাঁটু ভাজ করুন। হাত দুটো মাথা বরাবর সোজা রেখে একটু উঠে বসুন। আবার শুয়ে পড়ুন। এভাবে তিনটে সেটে কুড়ি বার করতে পারলে পেটের মেদ কমে যাবে। কিন্তু প্রথম দিনই তিনটে সেট করতে যাবেন না। প্রথম পাঁচ দিন এক সেট, পরের দশ দিন দু’সেট। তারপর থেকে তিন সেট করেই ক্রাঞ্চ করতে পারেন।