বারমাসি উপসী উচ্চ ফলনশীলে আগ্রহী কৃষকরা
ছাদেকুর রহমান সবুজ, বোয়ালখালী : সবজি চারা বিক্রি করেন পটিয়ার নলান্দা ইউনিয়নের আয়ুব হাসান রানা। বোয়ালখালী উপজেলার শাকপুরা চৌমুহনী বাজারে নানা জাতের সবজি চারার আঁটি নিয়ে বিক্রি করতে এসেছে সে।
বুধবার (২৫ জানুয়ারি) বিকেলে পটিয়ার নলান্দা ইউনিয়ন থেকে আসা ১৩ বছরের আয়ুব হাসান রানার সাথে। সে জানায়, প্রতি চারার আঁটি ১০টাকা করে। ক্রেতাদের আশ্বস্ত করছে সে ফলন ভালো পাবে বলে। এছাড়া পেঁপে, লেবু, বাতাসা মরিচের প্রতি চারা ২০ থেকে ৩০টাকায় বিক্রি করছে।
ভালো জাতের বাচাইকৃত বীজ থেকে চারা করা হয়েছে জানিয়ে ক্রেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছিল রানা। এসময় ছবি তুলতে গেলে সে হাসি মুখে জানায়, চারা বিক্রি করেই সংসার চলে তাঁর। চাহিদা বেশি থাকায় বোয়ালখালীর বিভিন্ন বাজারে চারা বিক্রি করতে আসে সে। এছাড়া নানা শাক সবজি বীজের পসরা নিয়েও বসেছে মো. সোলেমান। তিনি বলেন, পৌষ-মাঘ মাসে বীজ বিক্রি অন্যান্য সময়ের তুলনায় বেড়ে যায়।
এখন মাঘ মাস। শীত প্রায় যায় যায়। আমনের ধূ ধূ মাঠে ও বসত বাড়ির আঙ্গিনায় লাঙ্গল-কোদাল দিয়ে মাটির ঢেলা ভেঙ্গে গোবর ছাই দিয়ে শাক সবজি লাগানোর ধুম পড়েছে।
মরিচ, তিতকরলা, টমেটো, ফরাস শিম, আলু, চিচিঙ্গা, ঝিঙ্গা, বরবটি, বেগুন, চাল কুমড়া, মিষ্টি কুমড়া, লাউ, শশা, ঢেঁড়স, সরিষা, মুগ, ফেলন, মাষ কলাই, মসূর, খেসারী, তিতি, ক্ষিরা, কচুসহ নানান সবজি চাষ করবে বোয়ালখালীর গৃহস্থরা।
জৈষ্ঠ্যপুরা গ্রামের কৃষক বাদল দে বলেন, আমন ধান ঘরে তোলার পরপরই ২০শতক জমিতে আলু, চিচিঙ্গা, তিতকরলা ও ফরাস শিম চাষাবাদ করেছেন। নিজের জমি না হওয়া অন্য জনের কাছ থেকে খাজনা দিয়ে চাষাবাদকৃত সবজির পরিচর্যা করছেন এখন। একটু বড় হলেই সার ও কীটনাশক ব্যবহার করতে হবে।
কয়েক দিন পরে এর থেকে পরিবারের চাহিদা পূরণের পাশাপাশি হাটেও বিক্রি করে দু পয়সা লাভ করা যায় বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
উপজেলা কৃষি অফিসে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা গৌতম চৌধুরী বলেন, বোয়ালখালীতে পানির ব্যবস্থা না থাকা ও সেচ স্কিম কমে যাওয়ায় বোরো চাষের চেয়ে ডাল জাতীয় শস্য এবং সবজি চাষে ঝুঁকে পড়েছে কৃষকরা। বারমাসি উপসী জাতের উচ্চ ফলনশীল সবজির বীজ বা চারা রোপনে আগ্রহী কৃষকরা।