হকারদের শৃঙ্খলায় মাঠে নামছে চসিক

0

গোলাম সরওয়ার :  নগরীর ফুটপাতগুলোতে জনগণের চলাচলের উপযোগী করার জন্য উচ্ছেদ অভিযান শুরু করবে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন । হকাররা যত্রতত্র জায়গায় ব্যবসার কারণে পথচারীদের দূর্ভোগে যেমন পড়তে হয় সাথে নষ্ট হয় চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) সুনামও। তাই দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন হকাদের শৃঙ্খলায় আনার কথা বলে আসছেন। এবার এজন্য একটি কমিটি গঠন ও নীতিমালা তৈরির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। শীঘ্রই এ কমিটি গঠন করে হকারদের জন্য একটি নীতিমালা তৈরি করা হবে।

বুধবার(১ফেব্রুয়ারী) হকারদের শৃঙখলায় আনতে হকার নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময় করেন মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন। নগর ভবনে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় হকারদের শৃঙ্খলায় আনতে একটি কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত হয়। সেই কমিটি হকারদের যাচাই-বাচাই পূর্বক হকারদের তালিকা প্রনয়ন ও পরিচয় পত্র প্রদান করবে। একই সাথে কমিটি একটি নীতিমালা তৈরি করবে। সেই নীতিমালার আওতায় নির্ধারিত সময় ও স্থানে শৃঙ্খলার মধ্যে হকাররা ব্যবসা করার সুযোগ পাবে। কমিটিতে কর্পোরেশনের প্রতিনিধি, হকার সমিতির প্রতিনিধি, সিডিএ প্রতিনিধি, সাংবাদিক, নগর পরিকল্পনাবিদ সহ পেশাজীবীদের রাখা হবে। দ্রুততম সময়ের মধ্যেই এ কমিটি গঠন করা হবে।

মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের হকার উচ্ছেদের কোন পরিকল্পনা নেই। তবে সর্বসাধারনের নির্বিগ্নে চলাচল, যানজট নিরসন, নগরীর সৌন্দর্য বর্ধন এবং হকারদের জীবন জীবিকার স্বার্থ বিবেচনায় হকারদের শৃংখলার মধ্যে আনার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। হকার নেতৃবৃন্দ নগরীর ৬০ লক্ষ নগরবাসীর স্বার্থ বিবেচনায় চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সিদ্ধান্তকে গ্রহণ করে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে যা এক অনুকরনীয় দৃষ্টান্ত হতে পারে।

মেয়র বলেন, স্বদিচ্ছা ও মানুষের কল্যাণ করার মনোভাব থাকলে যে কোন কঠিন বিষয়কে সহজে আয়ত্বে আনা যায়। ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী হকাররাও এ নগরীর নাগরিক। তাদের জীবন জীবিকার বিষয়টি চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করে থাকে। বেকারত্বের অভিশাপ থেকে রক্ষার লক্ষে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন হকারদের শৃংখলার মধ্যে ব্যবসার সুযোগ দেয়ার দায়িত্ব গ্রহণ করেছে। আশা করি, নগরীর ভালমন্দের অংশিদার হকাররা চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সেবাধর্মী কার্যক্রমে সবসময় সহযোগী হবেন।

মতবিনিময় সভায় চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবুল হোসেন, কাউন্সিলর হাসান মুরাদ বিপ্লব, কাউন্সিলর এস এম এরশাদ উল্লাহ, প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ স্থপতি এ কে এম রেজাউল করিম, এডিসি ট্রাফিক (পূর্ব) মো. আকরাম হোসেন, এডিসি ট্রাফিক (পশ্চিম) ছত্রধর ত্রিপুরা,জাতীয় শ্রমিকলীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক শফর আলী, চট্টগ্রাম মহানগরের সভাপতি বখতেয়ার উদ্দিন খান, পাহাড়তলী শিল্পাঞ্চল শাখার সভাপতি মো. শফি বাঙালি, চট্টগ্রাম হকার্স ঐক্য পরিষদের আওতাভুক্ত রেজিষ্টার্ড সংগঠন চট্টগ্রাম ফুটপাত হকার্স সমিতি, রেজিঃ নং-১৬১৪, চট্টগ্রাম হকার্সলীগ, রেজিঃ নং-১৮৫২, চট্টগ্রাম সিটি হকার্সলীগ, রেজিঃ নং-২৩৪৮ এবং চট্টগ্রাম সম্মিলিত হকার্স ফেডারেশন রেজিঃ নং-চট্ট-১৯ এর অন্তর্ভূক্ত চট্টগ্রাম মেট্টোপলিটন হকার্স সমিতি রেজিঃ নং-১৪৫৫, আন্দরিকল্লা টেরি বাজার হকার্স সমিতি রেজিঃ নং-২৪৩৭ এর সভাপতি ও সাধারন সম্পাদকদের মধ্যে ঋষি বিশ্বাস, নুরুল আলম লেদু, মো. মিরন হোসেন মিলন, হারুন রশিদ রনি, মো. জসিম মিয়া, মো.নুরুল আমিন মিয়া, মো. আনোয়ার হোসেন, মো. আজগর আলী, মো. হারুন, নুর আহম্মদ চৌধুরী, ফরিদ আহমদ, তাজুল ইসলাম,মো. হাসান মানিক ও মো. মুরাদ সহ বিভিন্ন ইউনিটের সভাপতি, সাধারন সম্পাদকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.