শীতে ত্বকের সুস্থতায় যেসব ফল খাবেন

0

সিটিনিউজ ডেস্ক : শীত এলেই ত্বক হয়ে পড়ে শুষ্ক। হারিয়ে যায় ত্বকের উজ্জ্বলতা। তাই আমরা ময়েশ্চারাইজারের প্রতি নির্ভরশীল হয়ে পড়ি। এই সময়টাতে বাইরের ময়েশ্চারাইজারের থেকে ভেতরের ময়েশ্চারাইজার বেশি জরুরি। তাই শীতের সময় খাবারের প্রতিও নজর দিতে হবে। ত্বক সুস্থ রাখতে খাদ্য তালিকায় রাখতে পারেন নানা ফল, যেগুলো ত্বক সুস্থ রাখতে সাহায্য করবে। পাকা পেঁপে ভিটামিন এ’তে ভরপুর।

তা ছাড়া পাকা পেঁপেতে নানা রকম ফ্রুট এনজাইম রয়েছে, যেগুলো ত্বকের জন্য দারুণ উপকারী। খাওয়ার সময় এক টুকরো মুখে মেখেও নিতে পারেন। ১০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। কাজুবাদাম ত্বকে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের কাজ করে। এতে ভিটামিন সি রয়েছে যা ত্বকের গভীরে প্রবেশ করে পুষ্টি জোগায় এবং ত্বককে ক্ষতিকর ইউভি রশ্মি থেকে রক্ষা করে। ভিটামিন সি সমৃদ্ধ আঙ্গুর ত্বকে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের কাজ করে। তাই শীতের দিনে নিয়মিত আঙ্গুর খান। এটি আপনার ত্বককে সুস্থ রাখবে। বেদানায় প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে। ভিটামিন সি’ও ঠাসা বেদানায়। যাদের ব্রণের সমস্যা রয়েছে, তারা শীতে একটু বেশিই সমস্যায় পড়েন। বেদানার ভিটামিন সি লোমকূপকে শক্ত রাখে। ফলে ময়লা জমে না, আবার ত্বকও কুঁচকে যায় না। সকালের নাশতার পর এক গ্লাস বেদানার রস খান নিয়মিত। ত্বক ডিটক্স করার জন্য আমলকীর জুড়ি মেলা ভার। রক্ত পরিশ্রুতও করে আমলকী।

তাছাড়া বিভিন্ন ভিটামিনের সমাহার ত্বক এবং চুলে পুষ্টিও জোগায়। ভিটামিন এ ও সিদুটোই রয়েছে আতায়। ত্বকে আর্দ্রতা ধরে তো রাখেই, তার সঙ্গে ন্যাচারাল স্ক্রাবারের কাজটাও করে। সংক্রমণও দূরে রাখে। আবার আতা যদি রস করে খাওয়া যায় নিয়মিত, তা হলে মরা কোষ ঝরে গিয়ে নতুন ঝকঝকে ত্বক তৈরি হবে ভেতর থেকে। কোথাও কেটে-ছিলে গেলেও আতার রস লাগাতে পারেন। অ্যাভোকাডোতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ, সি এবং ই আছে। ফলটি ত্বকের ময়েশ্চারাইজার ধরে রাখতে সাহায্য করে। এতে ফলিক এসিড, পটাশিয়াম ও ম্যাগনেশিয়াম থাকার কারণে ত্বক হয় সুন্দর ও প্রাণবন্ত। অনলাইন

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.