সিটিনিউজবিডি ঃ এম এ আজিজ স্টেডিয়াম। ফুটবল, অ্যাথলেটিক থেকে শুরু করে সব ধরণের খেলা হয় এ মাঠে। রয়েছে সুরম্য স্টেডিয়াম ভবন। প্রতিটি ফ্লোরে রয়েছে ক্রীড়া সংস্থার কর্তাদের কার্যালয়। কিন্তু যাদের লেখনিতে বেঁচে আছে এসব খেলা সেই সাংবাদিকদের জন্য বসার কোন জায়গা নেই। রোদে পুড়ে, বৃষ্টিতে ভিজে সংবাদ সংগ্রহ করেন তারা।
শুক্রবার(৩ জুন) বিকালে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগের মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়া চক্র ও চট্টগ্রাম আবাহনী লিমিটেডের মধ্যকার খেলা চলছিল। যথারীতি সংবাদ সংগ্রহে যান সাংবাদিকরা। কেউ স্টেডিয়ামের গ্যালারিতে দর্শকদের সঙ্গে বসে ঠেলা-গুঁতা হজম করে সংবাদ সংগ্রহ করেন। কেউ কেউ কোথাও বসার জায়গা না পেয়ে জেলা ক্রীড়া সংস্থার সভাপতির কক্ষে বসে সংবাদ সংগ্রহ করতে দেখা গেছে।
এটি এখানকার নিত্যদিনের চিত্র। অথচ হসপিটালিটি বক্স থেকে শুরু করে চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থার বিভিন্ন কর্মকর্তাদের কার্যালয়ে বসে খেলা দেখছেন বহিরাগতরা।
অনেক অপরিচিত লোকজনের আনাগোনাও চোখে পড়েছে। দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরাও দখলে নিয়েছেন একটি কক্ষ। কিন্তু সাংবাদিকদের জন্য কোন বসার স্থান নেই।
ম্যাচ কাভার করতে গিয়ে সাংবাদিকরা নির্দিষ্ট কোথাও বসতে পারেন না। প্রতিটি স্টেডিয়ামে টাচলাইন বরাবর প্রেসবক্স থাকে। কিন্তু এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে কোন প্রেসবক্স নেই। যেখানে ক্রীড়া সংস্থার পিয়ন থেকে শুরু করে কর্তাদের আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধুদের পর্যন্ত বসার জায়গা আছে সেখানে সাংবাদিকদের বসার কোন জায়গা নেই। এটা দুঃখজনক।’
চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থার অতিরিক্ত সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ শাহাবুদ্দিন শামীম বলেন,‘সাংবাদিকদের জন্য প্রেসবক্সের প্রয়োজনীয়তার আমরাও উপলব্দি করছি। শিগগির স্টেডিয়াম ভবনের একটি অংশে সাংবাদিকদের জন্য বসার ব্যবস্থা করা হবে।’
চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থার সভাপতি ও জেলা প্রশাসক মেজবাহ উদ্দিন বলেন,‘সাংবাদিকদের জন্য প্রেসবক্স না থাকাটা দুঃখজনক। ১২ জুলাই জেলা ক্রীড়া সংস্থার মিটিং আছে। সেখানে এ বিষয়ে আলোচনা করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।