নিরাপত্তার স্বার্থে রোহিঙ্গাদের পুনর্বাসনের সিদ্ধান্ত

0

সিটিনিউজ ডেস্ক::সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, কক্সবাজার আন্তর্জাতিক পর্যটননগরী। কিন্তু স্রোতের মতো অতিরিক্ত রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের কারণে এই পর্যটননগরী অত্যন্ত ঝুঁকিতে আছে। তাই পর্যটনের নিরাপত্তার স্বার্থে রোহিঙ্গাদের টেঙ্গারচরে পুনর্বাসনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এটি যে কোন মূল্যে বাস্তবায়ন করা হবে।
রোববার দুপুরে কক্সবাজার শহরের কলাতলীতে ‘লিংকরোড মোড় জাতীয় মহাসড়কের (এন-১১০) কলাতলী (ডলপিন স্কয়ার) হতে সমুদ্র সৈকত পর্যন্ত সড়কের সৌন্দর্যবর্ধন ও প্রশস্তকরণ কাজ’ উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। ১৭০ মিটার দৈর্ঘ্যরে চার লেনের এই সড়কের সৌন্দর্যবর্ধন ও প্রশস্তকরণ প্রকল্পে ৩ কোটি ১৭ লাখ টাকা।
তিনি বলেন, কক্সবাজারে দেশি বিদেশি পর্যটকেরা বিনোদনের জন্য আসে। পর্যটন এলাকার সৌন্দর্যের বিষয়টি চিন্তা করে রোহিঙ্গাদের মানবিক কারণে হাতিয়ার টেঙ্গাচরে পুনর্বাসন করা হবে। সেখানে তাদের জীবন জীবিকা এবং শিক্ষার ব্যবস্থাও করা হবে- যতদিন মিয়ানমার সরকারে তাদের স্বদেশে ফিরিয়ে না নেয়।
মন্ত্রী বলেন, ইতোমধ্যে ৭৮ কিলোমিটার দীর্ঘ মেরিন ড্রাইভ সড়কের কাজ শেষের পথে। ২ কিলোমিটার মিসিং লিংক এর কাজ দ্রুত শুরু হবে। আগামী এপ্রিল মাসেই কক্সবাজার মেরিন ড্রাইভ সড়ক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেই উদ্বোধন করবেন। সড়কটি পর্যটন বিকাশে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, হোটেল শৈবাল পয়েন্ট পর্যন্ত ‘ওয়াকওয়ে’-এর কাজ নিয়ে জটিলতা কেটে গেছে। টাকার জন্য কাজ আটকে থাকবেনা। সেনা বাহিনীর তত্ত্বাবধানে কাজ চলবে।
তিনি আরো জানান, পর্যটনের কথা চিন্তা করে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ককে চারলেনে রূপান্তরের কাজও শিগগিরই শুরু করবে সরকার। শিগগিরই বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিনিধিদল বাংলাদেশে আসবেন। তাদের সঙ্গে সড়কে অর্থায়নের ব্যাপারে কথা হবে। মিয়ানমার এবং ভারতের সঙ্গে সংযুক্ত ৮০২ কিলোমিটার ‘সীমান্ত সড়ক’ নির্মাণেরও উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এ কাজে সরকার ৫ হাজার কোটি টাকার প্রকল্প তৈরি করেছে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- কক্সবাজার-৪ আসনের এমপি আব্দুর রহমান বদি, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোস্তাক আহমদ চৌধুরী, কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান লে. কর্নেল (অব.) ফোরকান আহমদ, জেলা প্রশাসক মো. আলী হোসেন, সড়ক ও জনপদ বিভাগের তত্ত্বাবধায়ক তারেক ইকবাল, নির্বাহী প্রকৌশলী রানা প্রিয় বড়ুয়া, পুলিশ সুপার ড. ইকবাল হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাড. সিরাজুল মোস্তফা, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সালাহ উদ্দিন আহমদ সিআইপি, পৌর মেয়র (ভারপ্রাপ্ত) মাহবুবুর রহমান, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) নজিবুল ইসলাম।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.